পিকনিকে যাচ্ছেন? খেয়াল রাখুন ৭ বিষয়ে
এ সময়টা পিকনিকে যাওয়ার জন্য খুবই উপযুক্ত। শীতের তীব্রতা নেই, নেই গরমের তাণ্ডব। পরিবার, বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের সাথে পছন্দসই স্থানে পিকনিকে যাওয়ার এইতো সুন্দর সময়। যেহেতু পিকনিক মানেই আনন্দ, উৎসব, প্রিয়জনদের ঘিরে থাকা, তাই পিকনিকে শুধু নিজের দিকে নয়, খেয়াল রাখতে হয় প্রিয়জন ও সঙ্গী সাথীদের দিকেও।
পিকনিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন, তার কয়েকটি এই ফিচারে জানানো হল।
১. বহন করার জন্য সাথে একেবারেই প্রয়োজনীয় ও অল্প জিনিস নিন। সকাল-বিকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, চা-বিস্কুটের মতো খাবারগুলো পিকনিকেই দেওয়া হয়। তাই বাড়তি খাবার নেওয়া হবে ঝামেলাপূর্ণ।
২. যেহেতু অল্প জিনিস নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তাই হাতের ব্যাগটিও ছোট রাখুন। বড় ব্যাগ বহন করা কষ্টকর হবে। ব্যাকপ্যাক এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক। তবে লম্বা স্ট্র্যাপের ব্যাগও বহনের জন্য ভালো হবে।
৩. প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সাথে রাখলে জরুরি মুহূর্তে কাজে আসবে। বমিভাব, গ্যাসের সমস্যা, মাথাব্যথা বা জ্বরের মতো উপসর্গের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক ওষুধ সাথে রাখা যেতে পারে। এছাড়া অনেকেরই নির্ধারিত সময়ে ওষুধ সেবন করতে হয়, তাই মনে করে সেই ওষুধগুলো নিতে হবে। এ বিষয়টি একেবারেই ভোলা যাবে না।
৪. নারী ও পুরুষ উভয়ের পোশাকের ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে সাধারণ ও আরামদায়ক পোশাক নির্বাচনের জন্য। যেহেতু পিকনিক মানেই খোলা স্থানে ঘুরাঘুরি, খেলাধুলার আয়োজন, সেক্ষেত্রে ভারি ও জাঁকজমক পোশাক অস্বস্তি তৈরি করবে। দিনের আলোতে থাকা হবে বিধায় হালকা রঙ প্রাধান্য দিতে হবে। পুরুষদের জন্য ক্যাজুয়াল পোশাক হবে আরামদায়ক।
এছাড়া শিশুদের পোশাকের দিকে খেয়াল রাখাটা বেশ জরুরি। পরিধেয় পোশাক যদি আরামদায়ক না হয় তবে শিশুরা কান্নাকাটি ও বিরক্ত করবে। বর্ণীল হলেও নরম পোশাক হবে শিশুদের জন্য উপযুক্ত। সাথে বাড়তি এক সেট পোশাক, ডায়াপার, ন্যাপকিন রাখতে হবে জন্য।
৫. পোশাকের পর কথা হয় জুতা নিয়ে। ছবি তোলার জন্য কিংবা পোশাকের সাথে মিল রেখে অনেকেই হিল জুতা পরেন। যেটা হবে একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। পিকনিক স্পটে হাঁটাহাঁটি করতে হয়। মাঠের মতো স্থানে হিল জুতা পরে দীর্ঘসময় কাটানো একেবারেই স্বস্তিদায়ক হবে না। এ কারণে হিলবিহীন স্লিপারের মতো জুতা পরা হবে উপযুক্ত।
পুরুষদের জন্য শু জুতা এড়িয়ে যাওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। স্নিকার্স বা স্টাইলিশ চপ্পল হতে পারে পারফেক্ট চয়েজ।
৬. যেহেতু রোদে থাকা হবে দীর্ঘসময়, সানস্ক্রিন ব্যবহারের কথা একেবারেই ভোলা যাবে না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই উচিৎ মুখ, গলা, হাত ও পায়ের উন্মুক্ত স্থানে ভালোভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
৭. অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মাঝে ছাতা, কাপড়ের ক্যাপ, ছোট তোয়ালে বা রুমাল, ছোট এক বোতল পানি, ব্যান্ডএইড, সার্জিক্যাল মাস্ক সাথে রাখলে উপকার হবে। বিশেষত ধুলাবালি ও বাতাসে থাকা জীবাণু থেকে দূরে থাকার জন্য মাস্ক ব্যবহারে জোর দিতে হবে।