খেয়াল রাখুন মোবাইল ফোন পরিষ্কারেও!
সারাদিন সবচেয়ে বেশি বার ব্যবহার করা হয় কোন জিনিসটি? অবশ্যই হাতে থাকা মোবাইল ফোন। দিনের শুরু থেকে একদম শেষ অব্দি এই একটি গ্যাজেটের উপরেই ভরসা করতে হয় নানাবিধ কাজের জন্য। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সঙ্গরোধে থাকাকালীন এই সময়ে মোবাইলের ব্যবহার বেড়ে যায় আরও বেশ অনেকটা বেশি।
প্রতিদিন যে জিনিসটা ব্যবহার করা হচ্ছে মিনিটে মিনিটে, সেটা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যাপারে কি কখন ভাবা হয়েছে? বিশেষত এ দুর্যোগপূর্ণ সময়ে হাতে থাকা মোবাইলটি পরিষ্কার রাখা যখন খুবই জরুরি, তখন কি এ বিষয়ে সচেতনতা কাজ করছে?
জেনে হয়ত অবাক হবেন, নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি হল জীবাণুর সবচেয়ে ভালো আবাসস্থল। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার গবেষকেরা তার পরীক্ষা থেকে দেখেছেন, নিয়মিত যে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করা হয়, সেটা টয়লেট সিটের চাইতে অন্তত দশগুণ বেশি জীবাণুবাহী। একবার ভাবুন তো, এটাই প্রতিদিন ব্যবহার করছেন এবং মুখের ত্বকের সংস্পর্শে রেখে কথা বলছেন। দেখা গেছে এক একটি স্মার্ট ফোনে ১৭ হাজারের বেশি ব্যাকটেরি ও ভাইরাস থাকতে পারে। যা বেশ ভীতিকর।
এমনটা হওয়া কারণ হল, ময়লা ও আধোয়া হাতের সাহায্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এবং যত্রতত্র মোবাইল ফোন রেখে দেওয়া। এছাড়া একটি মোবাইল ফোন বহুজনের হাতেও যায়। যা থেকে বেড়ে যায় জীবাণুর সংখ্যা। এ কারণেই কিছুদিন পরপর মুখের ত্বকে ব্রণজনিত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
তবে বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা বেশি জরুরি। কারণ গবেষকেরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলের উপর ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। এদিকে আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য মোবাইল ফোনের উপাদানের মাঝে প্লাস্টিকের উপস্থিতি থাকে। এ কারণে হাতে ধোয়ার পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে মোবাইল ফোন পরিষ্কার রাখার উপরেও। তবে হাত যত বেশি বার ধোয়া যাবে, মোবাইল ফোনকে তত বেশি পরিষ্কার রাখা সহজ হয়ে যাবে
এর পাশাপাশি ওয়েট টিস্যু পেপারের সাহায্যে প্রতিদিন অন্তত দুইবার সম্পূর্ণ মোবাইল মুছে ফেলতে হবে। এতে করে মোবাইলের সাথে থাকা জীবাণুর বেশিরভাগ ধ্বংস হয়ে যাবে।
যদি হাতের কাছে ওয়েট টিস্যু না থাকে তবে পরিষ্কার কাপড়ে জীবাণুনাশক তরল (ডেটল, স্যাভলন) নিয়ে মোবাইলে পরিষ্কার করতে হবে এবং এরপর শুকনো কাপড়ের সাহায্যে মুছে নিতে হবে।