সঙ্গীর সাথে বাসা থেকে অফিসের কাজে খেয়াল রাখুন ৩ বিষয়
করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে ও বিস্তার রোধে সঙ্গরোধে থাকতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে। সাথে যুক্ত হয়েছে লকডাউন। ফলে ঘরে থেকেই অফিসের কাজ করতে হচ্ছে বেশিরভাব কর্মীদের। বাসায় নিজের চির পরিচিত ও আরামদায়ক পরিবেশে অফিসের কাজ করার অভিজ্ঞতা অনেকের জন্যই নতুন। ফলে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনেককেই।
বিশেষত স্বামী ও স্ত্রী দু’জনকেই যখন বাসাতেই নিজ নিজ অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে, তখন পরিস্থিতি হয়ে যায় আরও ভিন্ন ও ক্ষেত্র বিশেষে কঠিনও। এমতবস্থায় পারস্পরিক বোঝাপড়াটা খুবই জরুরি। সেই সাথে একে অন্যকে সমর্থন করাও। এমন পরিস্থিতি প্রধান চারটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে পারলে বাসা থেকে অফিসের কাজ করাটা উভয়ের জন্যই সহজ হয়ে যায়।
একে অন্যকে নিজের প্রয়োজনের কথা জানানো
এটা মাথায় রাখা জরুরি যে কেউই মনের কথা পড়ে সব বুঝে ফেলতে পারেন না। তাই সঙ্গীকে জানাতে ও বোঝাতে হবে বাসায় বসে অফিসের কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনের কথা। সেটা হতে পারে নির্দিষ্ট সময়, কাজের স্থান, কাজের সময়ে চারপাশের পরিবেশ অথবা অন্য কিছুও। সঙ্গীকে নিজের অবস্থার বিষয়ে সঠিকভাবে জানাতে পারলে ও তার অবস্থার বিষয়ে অবগত হতে পারলে দু’জনেই ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।
খেয়াল রাখে একে অন্যের
অফিসের কাজ ও বাসার কাজের ব্যস্ততার মাঝেও একে অন্যের প্রতি খেয়াল রাখার ধারাটি বজায় রাখতে হবে। একজনের কাজের ব্যস্ততা বেশি হয় তবে অন্যের উচিৎ হবে তার হাতে সকালের নাশতা কিংবা দুপুরের খাবার এনে দেওয়া। কাজের মাঝে সময় করে একসাথে শরীরচর্চা করা। অথবা দু’জনে পাশাপাশি বসে কাজ করার সময় চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া। সঙ্গীর কোন কিছু প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা কিংবা নিজের কাজের পরিবেশের সাথে সঙ্গীর কাজের পরিবেশ গুছিয়ে দেওয়া- সামান্য এই কাজগুলোই সাহায্য করবে বাসায় বসে কাজ করার ক্লান্তি দূর করতে।
দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া
একটি সংসারে কম কাজ থাকে না। বাসায় বসে অফিসের কাজ করা মানে ঘরের কাজের সাথে অফিসের কাজও সমান তালে সামলে চলা। যা একার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই সংসারের যাবতীয় কাজ ভাগ করে নিতে হবে এবং সেভাবে কাজ করতে হবে। এত করে কারোর জন্যে কাজের চাপ বেশি মনে হবে না এবং একইসাথে ঘরের কাজ ও অফিসে কাজ একসাথে ঠিকভাবে শেষ করা সম্ভব হবে।