সামাজিক দূরত্ব যেভাবে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে
সবার থেকে দূরে, নিজ বাসায় কাটাতে হচ্ছে সবাইকে। প্রিয়জন, বন্ধু কিংবা যে সহকর্মীদের সাথে প্রতিদিন দেখা হত, তাদের চেহারাও যেন ভুলতে বসেছেন অনেকে সঙ্গরোধের (কোয়ারেন্টাইন) এ সময়ে।
তবে নিজ বাসায় দিনের দিন সময় কাটানোর মতো বিরক্তিকর বিষয়টির মাঝেও রয়েছে মুদ্রার অপর পিঠ। ঘরে থাকার ফলে করা হচ্ছে এমন কিছু কাজ, যা সচরাচর করা হয়ে ওঠে না নানান ব্যস্ততার মাঝে সময় স্বল্পতার জন্য। এখানে এমন কিছু কাজ তুলে আনা হল, যা সঙ্গরোধে থাকাকালীন সময়ে করছেন অনেকেই। মিলিয়ে নিন আপনার সাথেও।
রান্না
রান্না করা যতটা শিল্প ঠিক ততটাই বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু অনেকেই রান্নাকে ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যান। সঙ্গরোধে থাকাকালীন এ সময়ে রান্নার মত কিছুটা ঝামেলার ও অনেকটা মজার বিষয়টাকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। কিংবা বহুদিন ধরে কোন বিশেষ খাবার রান্নার ইচ্ছা থাকলেও রান্না করা হয়ে উঠছিল না। তারাও এ সময়ে হাত পাকিয়ে নিচ্ছেন। কিংবা যারা কখনই নিজ হাতে রান্না করেননি, তারাও টুকটাক রান্না শিখে নিচ্ছেন এ ফাঁকে।
বই পড়া
বই পড়ুয়াদের কাছে এ সময়টা যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। অফিস ও ঘরের কাজ সামলে যারা বই হাতে নেওয়ার সময় পাচ্ছিলেন না, এ সময়ে জমে থাকা বই পড়ে নিচ্ছেন আরাম করে। এমনকি যারা বই পড়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন না কখনই, তারাও সময় কাটানোর জন্য বই নাড়াচাড়া করছেন।
ঘর গোছানো
ঘরের সাধারণ কাজগুলোও অনেকের করা হয়ে ওঠে না ব্যস্ততার জন্য। সেখানে মনের মত ঘর গোছানো বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। সঙ্গরোধে থাকাকালীন সময়ে হাতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়ায় এর মাঝে অনেকেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী ঘর সাজিয়ে ও গুছিয়ে নিচ্ছেন। যা একই সাথে মন ভালো রাখতে ও কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
শরীরচর্চা
যারা প্রতিদিন প্রতিজ্ঞা করেন- আজ থেকেই শরীরচর্চা শুরু করব, কিন্তু শেষমেশ আর করা হয়ে ওঠে না তাদের জন্য এ সময়টা দারুণ। প্রতিদিন সকালে কিংবা বিকালে ঘন্টাখানেক সময় নিয়ে খুব ভালভাবে শরীরচর্চা কিংবা যোগব্যায়াম করা সম্ভব এখন।
সৃজনশীলতা
অনেকেই হয়তো চমৎকার ছবি আঁকতে পারেন, নাচতে পারেন কিংবা গান গাইতে পারেন। সাধারণ জীবনযাপনের ব্যস্ততায় এই সৃজনশীল কাজগুলো হয়তো অনেকটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল, যা সঙ্গরোধে নিজ বাসায় সময় কাটানোর ফলে পুনরায় চর্চা করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পুরনো শখের কাজগুলো পুনরায় ঝালিয়ে নেওয়ার দারুণ এই সুযোগ কেউই নিশ্চয় মিস করতে চাইবে না।
সিনেমা, সিরিজ
চাকুরীজীবীদের সবচেয়ে বেশি আফসোসের জায়গাটি হল, হাতে সময় না থাকায় সিনেমা কিংবা সিরিজ দেখতে না পারা। পুরো সপ্তাহের ব্যস্ততার সাথে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলো কেটে যায় জমে থাকা নানান কাজে। এ সময়টিকে অনেকেই কাজে লাগাচ্ছেন দীর্ঘদিনের জমে থাকা সিনেমা ও সিরিজ দেখে।