লকডাউনে চুল বেশি পড়ছে যে সকল কারণে
লকডাউনে বাসাতে থাকা হলেও অনেকেই অভিযোগ করছেন চুল বেশি পড়ার সমস্যাটির ব্যাপারে। বাইরে বের হওয়া না হলে সাধারণভাবেই চুল পড়ার সমস্যাটি কমে যাওয়ার কথা। কারণ এ সময়ে বাইরের আবহাওয়া ও ক্ষতিকর রোদের আলোর সংস্পর্শে আসে না চুল। কিন্তু ঘটনা যখন উল্টে যায় তখন চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। বাসায় থাকার সময়েও চুল বেশি পড়ার পেছনে যে কারণগুলো কাজ করে সেটাই তুলে আনা হয়েছে আজকের ফিচারে।
অনিয়মিত চুল ধোয়া
যেহেতু এ সময়ে একেবারেই বাড়ির বাইরে যাওয়া হচ্ছে, চুল ধোয়ার সাধারণ ও নিয়মিত সময়ে চুলও ধোয়া হচ্ছে না। কারণ বাইরে যাওয়া না হলে চুল ধুলা ও ময়লার সংস্পর্শেও আসছে না। কিন্তু ঘরে থাকাকালীন সময়েও মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল নিঃসৃত হচ্ছে ঠিকই। সাথে জমছে মরা চামড়াও। এছাড়া কাজ করার সময় মাথার ত্বকও ঘেমে যায়, ফলে ঘামও সংযুক্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে চুল ধোয়ার নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার দরুন চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ফলাফল স্বরূপ বেশি চুল পড়ছে। তাই বাড়িতে থাকা হলেও প্রতি ২-৩ দিন অন্তর চুল শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চুল না আঁচড়ানো
যেহেতু বাসার বাইরে যাওয়া হচ্ছে না, তাই চুল আঁচড়ে পরিপাটি করে রাখার ঝক্কিও নেই। এমনটা ভেবে অনেকেই দিনের পর দিন চুল না আঁচড়িয়ে থাকছেন এবং চুল বেশি পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। প্রতিদিন চুল না আঁচড়ানোর ফলেই মূলত চুল বেশি পড়ে। কারণ মাঝারি থেকে মোটা দাঁতের চিরুনির সাহায্যে চুল আঁচড়ানো হলে মাথার ত্বকের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং ত্বকের নিচে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। যা চুলের গোড়া শক্ত করে। এছাড়া পরপর কয়েকদিন চুল না আঁচড়ানো হলে সহজেই চুলে জট পাকিয়ে যায়। এই জট ছাড়ানোর সময়েও অতিরিক্ত চুল পড়ে ও চুল ছিঁড়ে যায়।
পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া
লকডাউনের এ সময়ে নিত্যদিনের সকল নিয়মেই ব্যাঘাত ঘটেছে। যার মাঝে খাদ্যাভ্যাসও রয়েছে। বাসায় থাকার ফলে অনেকেই প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসের বাইরে এসে মুখরোচক ও সহজলভ্য জাংক ফুডের দিকে ঝুঁকছেন। পুষ্টিজনিত অভাবের ফলে চুল পড়ার হার খুব দ্রুত বেড়ে যায়। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি সহজেই চুলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলেই সুস্থ চুল পেতে সঠিক ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাসের প্রতি জোর দেওয়া হয়।