চুলের যত্নে উপকারী চার ঘরোয়া উপাদান
আবহাওয়ার পরিবর্তনে চুল ও ত্বকের ওপর সবার আগে প্রভাব দেখা দেয়। গরম মৌসুমে চুল পড়ার সমস্যাটি অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে বেড়ে যায় বহুগুণ। চুলের গোড়ায় ঘাম জমে থাকার দরুন এমনটা হয় সাধারণত। তবে চুলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে খুব বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই মোটেও। ঘরে থাকা পরিচিত কিছু উপাদানই চুলের যত্নের কাজটি করে দিতে পারবে।
টকদই
বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহারের জন্য সবার ঘরেই টকদই থাকে। চুলের যত্নে টকদই থেকে দারুণ উপকারিতা পাওয়া যাবে, কারণ চুলের বৃদ্ধিতে অবদান রাখে টকদই। চুলে ব্যবহারের জন্য টকদই ও মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে অ্যাপ্লাই করতে হবে। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন এভাবে টকদইয়ের ব্যবহার চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে কাজ করবে।
মেথি
মেথি বীজ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিকোটিনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের গোড়াকে শক্তিশালী ও মজবুত করে। এছাড়া মেথি থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। ব্যবহারের জন্য মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে সারারাত। পরদিন মেথি ছেঁকে সে পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে খুশকি কমার সঙ্গে চুল পড়াও কমবে।
পেঁয়াজের রস
যেকোন রান্নায় সবার প্রথমেই প্রয়োজন হয় পেঁয়াজ। এই পেঁয়াজই চুল পরা কমানো, খুশকির সমস্যা দূর করা ও চুলের বৃদ্ধির জন্য অন্যতম কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ধর্ম চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। ব্যবহারের জন্য পেঁয়াজ বেটে তার রস ছেঁকে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে ভালোভাবে। এভাবে আধাঘন্টা রেখে দেওয়ার পর শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
মেহেদি পাতা
চুলের যাবতীয় সমস্যায় সবার আগে যে উপাদানটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তা থেকে কাঙ্ক্ষিত উপকারিতা পাওয়া যায় সেটা নিঃসন্দেহে মেহেদি পাতা। প্রাকৃতিক এই উদ্ভিদটি চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি। মেহেদি পাতা বাটার সাথে ডিম ও টকদই মিশিয়ে চুলে অ্যাপ্লাই করলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।