চুলের সমস্যার সমাধানে ক্যাস্টর অয়েল
অন্যান্য তেলের চাইতে ভারি ঘরানার ক্যাস্টর অয়েল সবচেয়ে বেশি পরিচিত চুলের বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুসারে বলা হয়ে থাকে, অন্যান্য যেকোন তেলের চাইতে চুলের বৃদ্ধিতে ক্যাস্টর অয়েল সবচেয়ে উপকারী। এছাড়াও চুলের শুষ্কভাব কমাতে, নতুন চুলের বৃদ্ধিতে এবং চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা রোধেও কাজ করবে উপকারী এই তেলটি। জেনে নিন ক্যাস্টর অয়েলে তৈরি তিনটি সহজ ব্যবহারবিধি সম্পর্কে।
ক্যাস্টর অয়েল ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ
এই মিশ্রণটি বিশেষভাবে চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। ব্যবহারের জন্য দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল, দুই টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল, দুই টেবিল চামচ তিলের তেল ও এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
তৈরিকৃত মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে অন্তত ৬০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। একবার তেলের মিশ্রণ তৈরি করলে সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করা যাবে।
ক্যাস্টর অয়েল ও অলিভ অয়েল
যাদের চুল পড়ার পাশাপাশি চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারে আসবে এই মিশ্রণটি। ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল প্রয়োজন হবে। দুইটি তেল মিশিয়ে চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে ম্যাসাজ করে হেয়ার ক্যাপ পরে এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে চুল শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
অ্যালোভেরা ও ক্যাস্টর অয়েল
চুল পড়া কমানোর পাশপাশি চুলের সার্বিক পরিচর্যার দিকেও খেয়াল রাখতে চাইলে ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে অ্যালোভেরা পাতার ফ্রেশ জেল। এই মিশ্রণটি তৈরির জন্য দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, আধা কাপ অ্যালোভেরা পাতার জেল, এক চা চামচ তুলসি পাতার গুঁড়া ও এক চা চামচ মেথি গুঁড়া।
সকল উপাদান একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি হাতের সাহায্যে আলতোভাবে পুরো চুলে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর সাধারণ নিয়মে চুল ধুয়ে নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার এই মিশ্রণটি ব্যবহারেই উপকার পাওয়া যাবে।