কোরবানির ঈদের যাবতীয় পরিছন্নতা
কোরবানির ঈদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ থাকে কোরবানির স্থান ও বাড়িঘরের পরিচ্ছন্নতা। যত দ্রুত সম্ভব কোরবানির স্থানের রক্ত ও আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি বাড়িঘর পরিষ্কার করার তাড়া থাকে।
বাড়িঘর পরিষ্কারের জন্য যাবতীয় জিনিসপত্র হাতের কাছে গোছানো থাকলে এই কাজটি অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়। ঈদের একদিন হাতে থাকতেই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জিনিসপত্র কিনে রাখতে হবে। অনেকেই ঘর পরিষ্কারের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করেন না, যেটা অনুচিত। হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারে ত্বক ক্ষতিকর উপাদানের থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।
কোরবানির স্থানের রক্ত ও আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য ব্লিচিং পাউডারে ব্যবহার সবচেয়ে ভালো হবে। এতে করে গন্ধ ও ময়লা উভয়ই দ্রুত দূর হবে। সেই সাথে ব্যবহার করতে হবে গরম পানি। গরম পানিতে ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার করা সহজ হয়।
ঘরের পরিছন্নতায় ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার না করাই শ্রেয়। ঘরের জন্য ব্যবহার করতে হবে গরম পানি ও লেবুর রস। লেবুর রসের অ্যাসিডিক ধর্ম ঘরকে পরিষ্কার করতে এবং ঘর থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ দূর করতে চমৎকার কাজ করবে।
ঘর পরিষ্কার করতে ছোট এক বালতি গরম পানিতে (হাত ডুবানো যাবে এমন সহনীয় মাত্রায় গরম) দুইটি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণের সাহায্যে ঘর পরিষ্কার করে পরবর্তীতে সাধারণ পানিতে ঘর মুছে নিতে হবে। নতুবা ঘরে লেবুর রস শুকিয়ে চটচটে ভাব দেখা দিবে।
এরপরে আসবে রান্নাঘর ও বারান্দার পর্ব। যেহেতু কোরবানির মাংস এই দুই স্থানেই কাটাকাটিসহ ভাগ করা হয়, এদিকেও বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। মাংস কাটা, ভাগ করা ও প্যাকেট করার পর্ব শেষ হলে প্রথমেই গরম পানি ঢেলে শলার ঝাড়ুর সাহায্যে ঝাঁট দিয়ে নিতে হবে। এতে করে মেঝেতে থাকা রক্ত ও মাংসের ময়লা সরে যাবে। এরপরের ধাপে ফিনাইল ছিটিয়ে দিয়ে শলার ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দিতে হবে। এতে করে কোন গন্ধ অবশিষ্ট থাকবে না। সবশেষে পানির সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে।