'এনপিপির হার্ট রওয়ানা দিয়েছে, আমরা এখন নির্ভার'



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রূপপুর (পাবনা) থেকে ফিরেঃ হার্ট যখন রওয়ানা দিয়েছে এখন আর কোনো চিন্তা নেই। নির্ধারিত সময়েই রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র (এনপিপি) উৎপাদনে আসবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪ টাকার মতো পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সবচেয়ে ভারি এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ভিভিইআর-১২০০ (VVER-1200) চুল্লিপাত্র (রিয়্যাক্টর ভেসেল)। যন্ত্রটির ওজন ৩৪৭ টন। গত সপ্তাহে রাশিয়ার নভোরোসিয়েস্ক থেকে নদী পথে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে এটি। আর এই খবরে ২২ আগস্ট রূপপুরে ছুটে যান মন্ত্রী। সেখানে গিয়ে জেটি পরিদর্শন করেন, খোঁজ নেন ভারি এই মেশিনের ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতির খুঁটিনাটি। যন্ত্রপাতি খালাসের জন্য পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন স্থাপিত জেটি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার আতিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, রিয়্যাক্টর ভেসেল আনার জন্য নদীর নাব্যতা প্রয়োজন সাড়ে ৪ মিটার। বর্তমানে প্রায় ১২ মিটারের মতো গভীরতা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও ৫ থেকে সাড়ে ৬ মিটার নাব্যতা রেকর্ড করা হয়েছে। সে কারণে যখনেই আসুক নাব্যতা সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। ভেসেল জেটিতে নামানোর জন্য দু’টি ক্রেন বানানো হচ্ছে। একেকটির ধারণ ক্ষমতা হবে ৩০৮ টন। আর এই ক্রেন দু’টি অ্যাসেম্বেল করার জন্য আরও ৬’শ টন ধারণ ক্ষমতার একটি ক্রেন আনা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুর রহমান বলেন, রাশিয়া থেকে কৃষ্ণসাগর, ভূমধ্যসাগর হয়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসতে সময় লাগে ২০ দিনের মতো। আর মংলা থেকে রূপপুরে আসতেও সময় লাগবে গড়ে ২০ দিনের মতো। সে হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে ভেসেল আসবে অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ। সেভাবেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই প্রকল্পের পরিচালক শৌকত আকবর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভেসেল স্থাপনের জন্য চুল্লির কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দৃশ্যমান হয়েছে ৩৪.৫ মিটার। জিরো মিটারের নিচে রয়েছে আরো ৩৫ মিটার। আর ডোমের (মসজিদের গম্বুজ আকৃতি) উচ্চতা হবে ৩৮ মিটার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, করোনায় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই যথা সময়ে রিয়্যাক্টর ভেসেল শিপমেন্ট এই বড় ঘটনা। এটি হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির হার্ট। অবশিষ্ট যন্ত্রপাতিও যথা সময়ে আমরা পেয়ে যাবো। সেভাবেই সব এগিয়ে চলছে। আমাদের পক্ষ থেকে ইপিসি ঠিকাদার রাশিয়াতে তদারকি করছে কাজের অগ্রগতি। সম-সাময়িককালে কাজ শুরু করা অনেকে দেশ যথা সময়ে কাজ করতে না পারায় তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা সেদিক থেকে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছি।

ভেসেল জেটিতে নামানোর জন্য দু’টি ক্রেন বানানো হচ্ছে

মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া যে ঋণ দিচ্ছে এই ঋণের টাকা ২৮ বছরে পরিশোধযোগ্য। আমরা আশা করছি ২০ বছরের মধ্যে এর বিনিয়োগ উঠে আসবে। এরপর পুরো প্রফিটে চলবে আমাদের স্বপ্নের এই স্থাপনাটি। বার্তা২৪.কম’র এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হ্যাঁ এখন বলার সময়ে হয়েছে। এখন বলতে পারি আমাদের প্রতি ইউনিট খরচ পড়বে ৪ টাকার মতো।

মন্ত্রী বলেন, এটি শুধু একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। এর মাধ্যমে জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা অনেক বেড়ে যাবে। আমরা হবো ৩৮তম পরমাণু বিদ্যুতের দেশ। তখন দেখবেন আমাদের প্রকৌশলীদের মর্যাদাও বেড়ে যাবে। বিদেশিরা বলবে ওরা প্রযুক্তিধর দেশের লোক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে নিরাপত্তাই প্রথম, নিরাপত্তাই শেষ কথা'। জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সবকিছু করা হচ্ছে। আমরা কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করে কোরক্যাচার স্থাপন করেছি। ফুকুশিমার মতো কোনো ঘটনা ঘটলে চুল্লির তেজস্ক্রিয় পদার্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোরক্যাচার মাটির নিচে সিল্ড করে ফেলবে। বাইরে বেরিয়ে জন নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারবে না। রাশানরা বলেছেন এই কোরক্যাচার হয়তো কোনো দিনেই কাজে আসবে না। এতে আমাদের খরচটাও কিছুটা বেড়ে গেছে। তবুও আমরা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই বাড়তি মিলিয়ন খরচ করেছি।

মন্ত্রী বলেন. এটি শুধু আমাদের নিজস্ব আইন নয়, আন্তর্জাতিক সকল অথরিটির আইন এবং সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কাজ চলছে। আইইএ মনিটরিং করছে, তাই এখানে ইচ্ছা করলেই নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপোষ করার সুযোগ নেই।

বিশাল আকৃতির সুরম্য ভবন একটি টাউনশীপে রূপ দিয়েছে

প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মেশিনগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবে ২০২৩ সালের এপ্রিলে। অর্থাৎ ১৫ মাস থাকবে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে ২০২৪ সালে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত, প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। ভারি সব যন্ত্রপাতি রাশিয়ায় তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। মূল পাঁচটি অংশের মধ্যে ৯০ শতাংশ যন্ত্রপাতি শিপমেন্ট হয়েছে। আরো ১০ শতাংশ ম্যানুফেকচারিং চলমান।

ভিভিইআর-১২০০ চুল্লিবিশিষ্ট পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে 'থ্রি-প্লাস (৩+)' জেনারেশন শ্রেণীভুক্ত। এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে নতুন 'নিষ্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা (passive safety systems)' উদ্ভাবনের মাধ্যমে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপারেটরের সহায়তা ছাড়াই কাজ করতে পারে, এমনটি পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও।

এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে রাশিয়া ৯০ শতাংশ দেবে ঋণ হিসেবে। অবশিষ্ট অর্থ যোগান দেবে বাংলাদেশ। কয়েক বছর আগে যারা রূপপুরকে দেখেছেন এখন গেলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। প্রতিদিনেই বদলে যাচ্ছে রূপপুর। বিশাল আকৃতির সুরম্য ভবন একটি টাউনশীপে রূপ দিয়েছে। প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশের মতো বলা হচ্ছে।

   

টাঙ্গাইলে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. সাইম (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সাইম। পরে তার বন্ধুরা সাইমকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় সাইমের মা ছেলের কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলে মাচায় (বাঁশ দিয়ে তৈরি বসার স্থান) থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। পরে সাইমের মাথায় পানি ঢালতে গিয়ে স্বজনরা দেখে তার বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাড়াতাড়ি টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইমকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের মেম্বার সাদ্দাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত সাইমকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন বলেন, সাইম সারা দিন রোজা ছিলো। ওর বন্ধুর ডাকে সাইমরা চার বন্ধু ওই গ্রামের ওবায়দুল পাগলার বাড়িতে যান। ওবায়দুল পাগলার বাবার সাথে তাদের কোন এক বন্ধুর পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওবায়দুল ছুরিকাঘাত করে। তখনই সাইমের মৃত্যু হয়। পরে ওবায়দুল পাগলাকে পালিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

তালতলীতে বৈদ্যুতিক পাখা ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আফজাল মাতুব্বর (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আফজাল মাতুব্বর একই গ্রামের ফুলমিয়া মাতুব্বরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পেতে নিজ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখা (ফ্যান) মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আফজাল মাতুব্বর। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে দুপুরে ঘরের পুরাতন বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ডা. আইরিন আলোম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন আফজাল মাতুব্বর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিৎ কুমার সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট-এ মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো, তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ঔষধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো, সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশী এবং কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো, ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহিত হয়।

;

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শরিফুল ইসলাম শরিফ (৪২) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

শরিফ মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মৃত নাদের আলী মণ্ডলের ছেলে।

শরিফ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের তাঁতিবন্ধ এলাকায় জেটিআইয়ের সামনে পাখি ভ্যানের (তিন চাকার গাড়ি) সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে শরিফ গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

;