‘পিটুনি খেয়ে’ পালিয়েছে সাভারের ওই মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী



মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
হাত-পা বেঁধে ছাত্র পিটিয়ে গণপিটুনির শিকার শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে ছাত্র পিটিয়ে গণপিটুনির শিকার শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেখানে দ্বীনের আলোয় আলোকিত করে, প্রকৃত মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার কথা, সেখানেই দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী। এমন শিক্ষকের বর্বরতার শিকার হয়েছে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নতুননগর মথনেরটেক এলাকার জাবালে নুর মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।

আশুলিয়ার ওই মাদরাসাটিতে আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় কর্মজীবী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সুশিক্ষার জন্য ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু সন্তানদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের বর্ণনা শুনে অনেকেই মাদরাসাটি থেকে সন্তানদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হন।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার। তার ৬ তলা ভবনের ৪ তলায় মাদরাসাটি অবস্থিত। মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে দু’জন হাফেজকে নিয়োগ দেন তিনি। তাদের একজন কুমিল্লার হোমনা থানার দুর্গাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম (৪৮), অন্যজন আবদুল্লাহ।

শুরুতে মাদরাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪৫ জন। তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ কারণে পিটুনি ও নির্যাতনের শিকারসহ বিভিন্ন কারণে মাদরাসা ধীরে ধীরে মাদরাসা ছেড়ে চলে যায় ২৩১ শিক্ষার্থী। অবশিষ্ট ছিলো মাত্র ১৪ জন।

এই ১৪ জনের দু’জনকে ১১ সেপ্টেম্বর অমানবিকভাবে পেটায়। একজনকে পেটানোর আগে হাত-পা বেঁধে নেয়। বর্তমানে মাদরাসাটি তালাবদ্ধ। শিক্ষার্থীরা ভয়ে বাড়ি চলে গেছে।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়ার স্ব-নির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য লিমা।

আশুলিয়ার জাবালে নুর মাদরাসা, ছবি: সংগৃহীত

লিমা বলেন, প্রায়ই এই মাদরাসায় শিক্ষার্থী নির্যাতনের খবর পাওয়া যেতো। কিন্তু এমন অমানবিক নির্যাতন করা হতো, তা জানা ছিলো না। এমন শিক্ষকের বিচার অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিলো বলেও মত দেন লিমা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, পেটানোর সময় দু’জনই অনেক অনুনয়-বিনয় করে শিক্ষকের মার থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। তবুও তার মনে দয়া হয়নি, উল্টো তাতে বিরক্ত হয়ে আরও বেশি মারধর করেন।

পিটুনির শিকার শিক্ষার্থী রাকিবের চাচা কিরন সরকার বলেন, একজন শিশুকে এভাবে নির্যাতন করা অন্যায়, আমি এই অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার চাই।

এলাকাবাসী হারুন জানান, মাদরাসা থেকে কয়েক দিন পরপরই অভিভাকরা এসে তাদের সন্তানদের নিয়ে যেতো। কিন্তু তারা কখনও মুখ খোলেননি। শুধু তারা এসে তাদের সন্তানদের নিয়ে যেতেন।

নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ১৪ সেপ্টেম্বর সিসি টিভির ফুটেজ দেখে, নির্যাতনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারি। এক পর্যায়ে মানুষ উত্তেজিত হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষককে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে আটক করে নিয়ে যায়।

নির্যাতনের শিকার রাকিবের বাবা ইমাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গণধোলাইয়ের শিকার ওই শিক্ষক আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়ার স্ব-নির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হবে।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মামলা দাযের করেছে। আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একটু সুস্থ হলে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার রাকিব ঘটনার পর থেকে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই এলাকার জাবালে নুর মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তন্মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর আগে হাত-পা বেঁধে নেয়। ওই অবস্থায় বেত দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকবার লাথিও মারে। অন্যজনকে স্বাভাবিকভাবে পেটায়। এভাবে দু’জনকে পিটিয়ে একজনকে গুরুতর আহত করে। পিটুনির শিকার ও আহত শিক্ষার্থীসহ অন্যদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে। ঘটনা জানাজানি হলে, ওই শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন: হাত-পা বেঁধে মাদরাসার ‘ছাত্র পেটানো’ সেই শিক্ষক আটক

   

পটুয়াখালীতে ভেসে গেছে ১৫ হাজার মাছের ঘের, ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমাল’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালী জেলার অধিকাংশ এলাকা। ভেসে গেছে প্রায় ১৫ হাজার মাছের ঘের। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি নির্ধারণ করেছে জেলা মৎস্য অফিস।

রোববার (২৮ মে) সকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় জেলার ৮টি উপজেলায় ১৪১৫০টি পুকুর ও ৭৭৮টি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ২৯ কোটি ৬৯ লক্ষ্য ৬৪ হাজার টাকার ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পটুয়াখালী সদরে ১ কোটি ২৯ লক্ষ্য টাকা, কলাপাড়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা, বাউফলে ৪ কোটি বিশ হাজার, গলাচিপায় সাড়ে ৬ কোটি, মির্জাগঞ্জে ১ কোটি, দশমিনায় ২ কোটি ৩৯ লক্ষ্য, দুমকিতে ৩৫ লক্ষ্য ও রাঙ্গাবালীতে ৯ কোটি ৩ লক্ষ্য টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল’র আঘাতে পটুয়াখালীতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার মধ্যে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপায় এলাকায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ২৯ কোটি ৬৯ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করেছি। এই ক্ষয়ক্ষতির তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদফতর এই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

;

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুর মৃত্যু

আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মো. মান্না (১২) উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের মোক্তার বাড়ির নবীর উদ্দিনের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৮মে) সকাল ১০টার দিকে দিকে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার মো. দিনাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেয়ারের স্রোতে রাস্তা ভেঙ্গে গভীর গর্ত তৈরি হয়। মান্না আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে সড়কের ওই গভীর গর্তে পড়ে পানিতে ডুবে মারা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম জোয়ারের পানি ও টানা বর্ষণে ডুবে যায়। এতে স্থানীয়রা মানুষের পাকা ভবনে আশ্রয় নেয়। মান্না ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়। পরে মঙ্গলবার সকালে দিকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে মান্না অসাবধানতাবশত রাস্তার গর্তে পড়ে মারা যায়।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীস চাকমা বলেন, শিশুটি নরমালি পানিতে পড়ে মারা গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে পানিতে পড়ে মারা যায়নি।

;

নরসিংদীতে ইটের নিচে চাপা পড়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুরে এক ব্যবসায়ীর স্তুপ করে রাখা ইটের নিচে চাপা পড়ে এক বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, ছগরিয়াপাড়া এলাকার মৃত আক্কেল আলীর ছেলে কালু মিয়া (৭৫) এবং তার স্ত্রী সবমেহের বেগম (৬০)।

নিহতের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া জানান, ভোরে সম্ভবত নামাজ আদায় করছিলেন তারা। টানা বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে বিশাল স্তুপ করে রাখা ইট ঘরের উপর ধসে পড়ে। এসময় টিনের বেড়া এবং চালা ভেঙে তাদের উপর পড়ে। এসময় আশপাশের লোকজন ইট সরিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হক স্বপন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। ঘরের পাশেই এক ব্যবসায়ীর ইটের স্তুপ ভেঙে পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

;

খালে কেউ ময়লা ফেললে জরিমানা করা হবে মেয়র: আতিক



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খালে কেউ ময়লা ফেলেছে এটা ধরতে পারলে তাকে জরিমানা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাথে আরবান রেকিলিয়েন্স এবং গবেষণার জন্যে আগামী অর্থবছরে ৫ কোটি টাকা বাজেট রাখার ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘৮ম আরবান ডায়ালগ-২০২৪’ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে টেকসই নগরায়ণ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডায়ালগটি ঢাবির ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কনসোর্টিয়াম আরবান আইএনজিও ফোরামের মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত হয়।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকার খালগুলো আমরা দখলমুক্ত করেছি। এখন সময় এসেছে খালগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার। আমরা নিজের কথা ভেবেই সব খাল মেরে ফেলেছি, আমরা শুধু আমি'কে নিয়ে ভাবি, কেও আমরা'কে নিয়ে ভাবি না। আমাদের কথা ভাবলে সেগুলোকে নষ্ট করতাম না। মানুষ সচেতন না, ময়লা ফেললে জরিমানার ব্যবস্থা করা হলে মানুষের মাঝে কিছুটা সচেতনতা বাড়বে। সিটি কর্পোরেশন থেকে খালের আশেপাশে অনেকগুলো উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কেউ খালে ময়লা ফেলেছে এটা প্রমাণিত হলে তাদের শনাক্ত করে তাদেরকে জরিমানা করতে হবে।'

মেয়র আতিক বলেন, 'বিশ্বের উন্নত ছয়টি দেশ কার্বন এমিশনের জন্য দায়ী। তাদেরকেই বিশ্বের সমস্যা দূর করতে এগিয়ে আসতে হবে। তারা যুদ্ধের জন্য যা ব্যয় করছে তার ১০ শতাংশও যদি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ব্যয় করতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এত ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতো না। তারা কথার ঝুড়ি নিয়ে ভালো ভালো সবক দেন কিন্তু তারাই আসলে মূল অপরাধী। বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বাঁচাতে বড় ফান্ড গঠন করতে হবে।'

তিনি ডিএনসিসির কাজ নিয়ে বলেন, 'আমরা স্মার্ট সিটি কর্পোরেশন গড়তে ২৪টি পার্ক উদ্ধার করেছি, ৫৪টি খাল দখলমুক্ত করেছি। আমাদের ট্যাক্স প্রদানে সমস্যা দূর করতে অনলাইনে করেছি। ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন ভিত্তিক করেছি। অনলাইনে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। ‘সবার ঢাকা অ্যাপস’ চালু করেছি যেখানে কেউ সমস্যার ছবি তুলে জানাতে পারবে। ফলে আমাদের লোকেরা সাথে সাথে সেখানে গিয়ে সমস্যা সমাধান করে আসবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করেছি। এডিস মশা দূর করার জন্য অভিযান চালাচ্ছি।'

তিনি সকলকে অনুরোধ করে বলেন, 'শুধু গাছ লাগানোই নয়, যার যার বাড়ির সামনের গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিন। এই গাছ আপনাকে অক্সিজেন দেবে, ছায়া দেবে।'

এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, 'উন্নত দেশগুলো আগে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারপর আরবান এলাকা গঠন করে। কিন্তু আমাদের দেশে আগে আরবান এলাকা তৈরি হয় পরবর্তীতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যদিও বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ আরবান এলাকায় বসবাস করে। অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠায় সেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। যা বড় রিস্কের তৈরি করে থাকে। তাছাড়া আমাদের সবুজায়ণ কমে গেছে, নদী-খাল-বিলের পরিমাণও কমেছে। ফলে প্রতিনিয়তই শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে।'

উল্লেখ্য, ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক এর ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী, কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিশ কুমার আগারওয়াল, গ্লোব ওয়ানের কান্ট্রি ডিরেক্টর রায়হান মাহমুদ কাদেরীসহ প্রমূখ।

;