রাজধানীতে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরির সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার
জাতীয়
রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরির একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন (সিটিটিসি) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত জঙ্গির নাম সাদ মোহাম্মদ কামরান (৩০)।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৯ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির মিডিয়া উইং থেকে বলা হয়, অনলাইন প্লাটফর্মে খিলাফত রাষ্ট্রের নীতিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান সংগঠক হিসেবে সাদ মোহাম্মদ কামরান একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। যার শিরোনাম ছিল ‘পুঁজিবাদী ব্যবস্থা, সীমাহীন দুর্নীতি ও লকডাউনের ফলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে অর্থনীতি নেতৃত্বশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় খিলাফত রাষ্ঠের নীতিসমূহ।’
বিজ্ঞাপন
আরও জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (১৮ অক্টোবর) অভিযান পরিচালনা করে তাকে রাজধানীর পল্টনের কালভার্ট রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি রাজধানীর একটি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ সময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল ফোন, ১টি মেমোরি কার্ড, ১টি ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, মাইক্রো এসডি কার্ড, আব্দুল কাদিম জাল্লুম রচিত খিলাফত সংক্রান্ত বইসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরির বেশ কিছু লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অংশ হিসেবে সাদ মোহাম্মদ কামরান একটি গোপন সেল প্রতিষ্ঠা করে। যার উদ্দেশ্য ছিল তথা কথিত ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য হিযবুত তাহরির পক্ষে বিভিন্ন উগ্রবাদী বক্তব্য ও অনলাইন সম্মেলনের লিংক প্রচার করা।
সাদ মোহাম্মদ কামরানের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল জ্যাকবকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ড শেষে কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আমজাদ হোসেন তালুকদার এবং রুপনগর থানাধীন এলাকায় শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা মামলায় জ্যাকবের ৩ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুপনগর থানার উপ-পরিদর্শক মামুন মিয়া।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক দুই বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তার ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠানো আদেশ দেন আদালত।
গত ১ অক্টোবর ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল জ্যাকবকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
রবি মৌসুমের শুরুতে লালমনিরহাটের বাজারে সার সংকট দেখা দেয়ায় কৃষকদের মাঝে হাহাকার উঠেছে। নভেম্বর মাস শেষ দিকে এসেও চলতি মাসের বরাদ্দের সারের ২০-২৫ শতাংশ সারও পৌঁছেনি বাফার গুদামে।
এছাড়াও অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে নতুন বরাদ্দও দেয়নি বিসিআইসি। ফলে সার সংকটে কারণে রবি চাষাবাদ নিয়েও বেশ দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রবি মৌসুম চলে। এসময় আলু, ভুট্টা, সরিষা, গমসহ নানান সবজি চাষাবাদ হয়। রবি মৌসুমের শুরুতে জমিতে পর্যাপ্ত সার প্রয়োগ করেন চাষিরা। ফলে রবি মৌসুমে সারের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। মৌসুমের শুরুতেই চাহিদামতো সার ন্যায্যমুল্যে না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কোথাও কোথাও অধিক মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
হাতীবান্ধার ভুট্টা চাষি আসাদুজ্জামান বলেন, ভুট্টা চাষাবাদ শুরু হতেই বাজার থেকে সার উধাও হয়েছে। গোপনে বেশি টাকা দিলে সার মিলছে প্রান্তিক বিক্রেতাদের কাছ থেকে। বাংলা টিএসপি প্রতিবস্তা ১৩৫০ টাকার স্থলে ১৫০০ টাকা এবং বাংলা ডিএপি ১০৫০ টাকার স্থলে দুই হাজার টাকা দামে কিনতে হচ্ছে অনিবন্ধিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে। শুরুতে এমন ধাক্কা খেয়ে উৎপাদন খরচ যেমন বাড়ছে তেমনি চাষাবাদ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আদিতমারীর দেওডোবা গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, তামাক চাষ করতে প্রচুর পরিমান সার লাগে। শুরুতেই সারের সংকট দেখা দিয়েছে। অনিবন্ধিত বিক্রেতারা বাংলা টিএসপি ও ডিএপি সার বস্তা প্রতি দুইশত থেকে ৬ শত টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। নিবন্ধিত বিক্রেতাদের গুদামে কোন সার নেই। তারা দাবি করছেন বাফার গুদামে না কি সার পৌঁছেনি। তাই সংকট তৈরি হয়েছে। কতদিনে বাফার গুদামে সার পৌঁছবে? মৌসুম শেষে চাষাবাদ করলে ফলন কম হওয়ারও আশংকা রয়েছে। সার নিয়ে বড় চিন্তায় আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডিলার বলেন, লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ৩টিতে ব্যাপক হারে তামাক চাষ হয়। বাকী পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধায় ব্যাপক ভাবে চাষ হয় ভুট্টা। তামাক চাষেও প্রচুর পরিমান সার লাগে। তাই তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে তামাকের জন্য কোন সার বরাদ্দ চায় না কৃষি বিভাগ।
নিবন্ধিত সার বিক্রেতারা জানান, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কোন সার বরাদ্দ দেয়নি বিসিআইসি। এ ছাড়াও নভেম্বর মাসে বিএডিসি যে পরিমান সার কাগজ কলমে বরাদ্দ দিয়েছে তার ২০/২৫ শতাংশ সার এখন পর্যন্ত বাফার গুদামে এসে পৌঁছেনি। গুদামে সরবরাহে ঘাটতির কারণে বাজারে কিছুটা সংকট পড়েছে। সামনের সপ্তাহে ডিসেম্বর মাসের বরাদ্ধে পৌঁছে গেলে এ সংকট কেটে যাবে। প্রান্তিক পর্যায়ে অনিবন্ধিত কিছু অসাধু সার বিক্রেতা আগাম সার কিনে মজুদ করে সুযোগ বুঝে এখন বেশি দামে বিক্রি করছে। অনিবন্ধিতদের মজুদদারীর কারণে এ কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে। যা মনিটরিং করে দ্রুত আইগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তবে সামনের সপ্তাহে সংকট কেটে যাবে বলেও তারা দাবি করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমের জন্য নভেম্বর মাসে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভায় বরাদ্দ আসে টিএসপি এক হাজার ৯২৬ মেঃটন, ডিএপি ৩হাজার ৪১২ মে.টন, ও এমওপি দুই হাজার ৭০ মে. টন। যা উপজেলা ভেদে ৩০ ও ৪০ শতাংশ সার এখন পর্যন্ত বাফার গুদামে পৌছেনি। পর্যাক্রমে আসছে এবং তা ডিলারদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, গত দুই মাসে বিসিআইসি'র সার আসেনি এবং নভেম্বর মাসের বরাদ্দের কিছু অংশ এখন পর্যন্ত বাফার গুদামে পৌঁছেনি। যে পরিমান আসছে তা তাৎক্ষণিক ডিলারদের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে। সারের কোন সংকট নেই। কিছু অসাধু ব্যক্তি গুজব সৃষ্টি করে সংকট তৈরি করছে। এসব অসাধু ব্যক্তি ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলা, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামাসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট দীর্ঘ দিনের যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ফলে যানজটের নিরসন ঘটিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র সবগুলো ট্রাফিক বিভাগ।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই ধারাবাহিকতায় যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ।
গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) একদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। একই সঙ্গে অভিযানকালে ৩২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৬টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক দিনে অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩টি মামলায় ৩২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৬টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
এদিকে এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সমর্থনে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর শেষ হলো আজ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক প্রেস নোটে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম. ফে রদ্রিগেজ এবং লেবার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি আন্ডারসেক্রেটারি থিয়া লি। এ সফরে তাদের সঙ্গে ছিলেন ইউএসএআইডি-এর প্রতিনিধি, আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব, এবং আন্তর্জাতিক শ্রম বিশেষজ্ঞ ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের মহাসচিব ক্রিস্টি হফম্যান এবং ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা।
এ সফরে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ছিল গ্যাপ ইনকর্পোরেটেড, পিভিএইচ কর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্পোরেশন, যারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ১.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ক্রয় করে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও শাসন ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই মুহূর্তে শ্রম অধিকার চর্চার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করা জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, এবং জেন্ডার সমতা ও অন্তর্ভুক্তির জন্য অপরিহার্য।
যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শ্রমিকদের মঙ্গল নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের, ক্রেতাদের, নিয়োগদাতাদের, নিয়ন্ত্রকদের এবং শ্রম ইউনিয়নগুলোর যৌথ দায়িত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে। এর মধ্যে রয়েছে সুরক্ষিত ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং বিশেষভাবে তৈরি পোশাক খাতে সমিতি গঠনের স্বাধীনতা ও যৌথ দর-কষাকষির অধিকার শক্তিশালী করার মাধ্যমে শ্রমিক অধিকারের উন্নয়ন।
শ্রম সংস্কার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানায় । শ্রমিকদের স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও যোগদানের অধিকার এবং উন্নত কর্মপরিবেশের জন্য যৌথ দর-কষাকষি করার অধিকারকে শক্তিশালী করতে আমরা বাংলাদেশকে আরও উৎসাহিত করি।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন শিল্প খাতের কার্যক্রম স্থিতিশীল কর্মসংস্থান, মানসম্পন্ন কর্মপরিবেশ এবং জীবিকা নির্বাহের উপযোগী মজুরি নিশ্চিত করে, যা বাংলাদেশের শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের উন্নতি নিশ্চিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্র গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। আমরা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ এবং ঢাকায় একত্রিত হয়ে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন, বাংলাদেশের শ্রমিক এবং তাদের নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে পেরে গর্বিত।