সন্ধ্যা নামলেই কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে



ইমাম খাইর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে কিশোর গ্যাং আতঙ্ক ভর করেছে। সন্ধ্যা নামলে খোলা মাঠ ও এক ভবন থেকে অন্য ভবনে ঘুরে বেড়ায় বখাটেরা। তাদের কারণে অনিরাপদ হয়ে গেছে সেখানকার ওঠতি বয়সী তরুণীদের চলাচল।

ইতোমধ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিচার দিলেও প্রতিকার মেলে না। উল্টো দোষারোপ করা হয়। তাই চিন্তিত-উদ্বিগ্ন অসহায় ৬০০ পরিবার।

এদিকে, গত সপ্তাহ দু’য়েক ধরে এরকম অভিযোগ আসার পরে সরেজমিন গিয়ে কথা হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সাথে। তারা জানিয়েছে দুঃখের কথা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছেন ৬০০ পরিবার। ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি। যেখানে ৬০০ উদ্বাস্তু পরিবারের স্থান হয়েছে।

প্রবাল ভবনের ৫০৬ নং ফ্ল্যাটের বাসিন্দা সায়রা বেগম (৪৫) জানান, স্বামী ও ৩ সন্তানসহ সেখানে তাদের বসবাস। ছেলে রবিউল আলম (১৬) কে স্থানীয় ১০/২০ জনের কিশোর গ্যাং মিলে বিনা কারণে মারধর করে। এমনভাবে মেরেছে যে, মলদ্বার দিয়ে পায়খানা বেরিয়েছে। অমানুষিক নির্যাতিত হয়েও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। ঘটনাটি সপ্তাহখানেক আগের।

একই সময় সোপান ভবনের ৩০৬ নং ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মুহাম্মদ হানিফ (৩৮) নামের আরেক যুবককে ছুরিকাঘাত করেছে খুরুশকুলের কিশোর গ্যাং। বিচার দিয়ে প্রতিকার পাননি। উল্টো আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন➥ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০০ পরিবার

ঘটনার বর্ণনায় হানিফ জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু বখাটে প্রায় সন্ধ্যায় তাদের ভবনের দরজা-জানালা লক্ষ্য করে বৈদ্যুতিক টর্চলাইট মারে। যে কারণে ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ভয় পেয়ে যায়। এমন না করতে বলায় তার ওপর চড়াও হয় বখাটেরা। সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় মুবিন, আরমান, বাবুল, মিন্টু নামের আরো বেশ কয়েকজন আহত হন।

বখাটেদের কারণে লোকজন অতিষ্ঠ। ছবি: বার্তা২৪.কম

কামিনী ভবনের ৪০৬ নং ফ্ল্যাটের বাসিন্দা জেসমিন (৩৫) আকতারের অভিযোগ, তার মেয়ে উম্মে হাফসা কক্সবাজার সিটি কলেজের একাদশের ছাত্রী। পরিবারের খরচ যোগাতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে যেত মেয়ে। কিন্তু বখাটেদের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ছেলে রাকিবও ভয়ে বাসা থেকে বের হয় না।

তিনি জানান, স্থানীয় একজন টমটম চালক মেয়ে উম্মে হাফসাকে উত্যক্ত করে আসছিল। প্রতিবাদ করায় তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণেরও হুমকি দিয়ে যায় ওই বখাটে। তবে অভিযুক্ত বখাটের নাম জানাতে পারেন নি জেসমিন।

কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে কাপড়-চোপড় নিয়ে চলে গেছেন কামিনী ভবনের ৩০৮ নং ফ্ল্যাটের হাশেম উদ্দিন। জানালেন তার সত্তরোর্ধ বয়সী মা মুহছেনা।

এসব ঘটনার পর থেকে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিকার চায় ভুক্তভোগীরা।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আকতার সুইটি জানান, সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলো তারা সমাধান করেছেন। এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সাথে বসে করণীয় ঠিক করেছেন।

ইউএনও জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই এখানে একটা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প হবে। এখন এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে।

আঘাতের যন্ত্রণায় সারারাত ছটফট করলেও হাসপাতালে যেতে সাহস পাননি নজরুল। ছবি: বার্তা২৪.কম

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বস্তির কুঁড়েঘরে থাকা জলবায়ু উদ্বাস্তুরা এত ভালো ডিজাইনের দামি ফ্ল্যাটে থাকবে এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এই প্রকল্পের আশপাশের গ্রামবাসী ও রাজনৈতিক পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা। এ কারণে তারাই এই প্রকল্পের বাসিন্দাদের মারধর করছে, ভয় দেখাচ্ছে। যাতে তারা এখানে আর না আসে। কিংবা নামমাত্র মূল্যে ফ্ল্যাটের মালিকানা বিক্রি করে অন্য কোথাও চলে যায়। তবে কে বা কারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

এদিকে, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে ১৮ অক্টোবর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছুটে যান কক্সবাজার পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১,২,৩) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহেনা আকতার পাখি। সে সময় তার সঙ্গে দেখা প্রতিবেদকের।

স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ দিচ্ছেন বাসিন্দারা। ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহেনা আকতার পাখি জানান, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার ফসল। জলবায়ু উদ্বাস্তুদের প্রতি তিনি আন্তরিক বলেই এত বিরাট কাজটি করেছেন। কিন্তু ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের প্রতি প্রতিনিয়ত এমন ঘটনার সংবাদ খুবই দুঃখজনক। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০০ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি তুলেন কাউন্সিলর পাখি।

আরও পড়ুন➥ পানির কষ্টে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা 

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে উদ্বাস্তু হওয়া মানুষগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী গড়ে তোলেন খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প। কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার উত্তরে বাঁকখালী তীর ঘেঁষে নির্মিত হয়েছে ২০টি দৃষ্টিনন্দন ভবন।

ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা। ছবি: বার্তা২৪.কম

গত ২৩ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রথম ধাপে তৈরি ২০টি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন। এখানে নির্মাণাধীন ১৩৭টি পাঁচতলা ভবনের প্রতিটিতে ৬৫০ বর্গফুট আয়তনের ৩২টি করে ইউনিট (ফ্ল্যাট) থাকছে। সেখানে আশ্রয় নেবে ৩২টি করে পরিবার।

এ প্রকল্পে ১০ তলার আরেকটি দৃষ্টিনন্দন ভবন হচ্ছে। ভবনটির নামকরণ হয়েছে ‘শেখ হাসিনা টাওয়ার।’

খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য বাঁকখালী নদীর ওপর তৈরি হচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ সেতু ও সংযোগ সড়ক।

   

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন। 

একইসঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ -এর মালিক গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

;

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

রোববার (১৯ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাজার সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশন আজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় কানাডা। অবকাঠামোগত প্রকল্প, সাইবার নিরাপত্তা একইসাথে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা। ক্যানোলা তেল রফতানি হতে পারে এদেশে, এ তেলের ফ্যাক্টরি এখানে স্থাপন হলে তেল প্রক্রিয়া করা আরও সহজ হবে বলে জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, কমার্সিয়াল কাউন্সিলর দেবরা বইয়েস, এশিয়া-প্যাসিফিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের চিফ স্টাফ ব্র‍্যাড কোয়েল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডিজি) খন্দকার মাসুদুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আজ সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এসময় দু'দেশের বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেগোসিয়েশন হবে, যা শেষ হবে বৃহস্পতিবার (২৩ মে)।

;

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং বন্ধ রয়েছে যান চলাচল

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন। 

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশার চালকেরা লাঠি ও ইট-পাটকেল ছুড়ে বাসে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত নেমে পড়েন। দুপুরের ওই ঘটনার সময় আন্দোলনকারীরা মিরপুর-১০ নম্বরে বিআরটিসি ও আলিফ পরিবহন ছাড়াও কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালান।

এদিকে, গণপরিবহনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিলেও পরে তারা আবারও ভাঙচুর চালায়। এদের পেছনে কেউ আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

;

চুয়াডাঙ্গায় নকল স্যালাইন জব্দ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নকল ওরস্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ও হাটবোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহল আহমেদ। অভিযানে সার-কীটনাশক, মুদি দোকান, স্যালাইনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন তিনি।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া এলাকায় মেসার্স মারিফুল স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে এসএমসির ওরস্যালাইন এন-এর নকল স্যালাইন বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় প্রায় ১ কার্টুন (৫০০ প্যাকেট) নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও সারের ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মারুফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪৫ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মারুফুলকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে নকল ওরস্যালাইন-এর সাপ্লায়ার মেসার্স লিটন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামান প্রথমে নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার বাড়ি ও গোডাউন তল্লাশি করতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে ৬ কার্টুন (৩ হাজার প্যাকেট) নকল এসএমসির ওরস্যালাইন এন জব্দ করা হয়। নকল ভেজাল স্যালাইন বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামানকে ৪১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা নকল স্যালাইন আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সবাইকে যথাযথভাবে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় কোনো পণ্য ক্রয়ের আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে কেনার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করেন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

;