সিইসি-কমিশনার-কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তে দুদকে আবেদন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনারসহ (ইসি) কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন তারা।।
প্রসঙ্গত, তাদের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ভাতার নামে সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচ করে সরকারি অর্থের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ রয়েছে। এ খরচে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মানা হয়নি। তাই আইনজীবীরা দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা এবং মামলা দায়েরের অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগ দায়ের করা আইনজীবীরা হলেন– আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, মো. আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জুবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আর রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জিএম মুজাহিদুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদ ছাড়াই ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স পরিচালক’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’ হিসেবে ভাতা নেওয়া, নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি এবং খাত পরিবর্তন করে ভাতা নেওয়ার অভিযোগ আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনাররা, বর্তমান সচিব, সদ্য সাবেক সচিব এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকে এ অনিয়মের সাথে জড়িত ছিল। উল্লিখিত ব্যক্তিরা সরকারের মোট সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৫১১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আবেদনে উপরোক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ১৭(ক), ১৭(খ), এবং ১৭(গ) ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা এবং মামলা দায়েরের অনুরোধ জানানো হয়েছে।