গাইবান্ধায় মুকুলের ঘ্রাণ!
ঋতুরাজ বসন্তে গাইবান্ধায় বইছে শুষ্ক আবহাওয়া। পাল্টে যাচ্ছে প্রকৃতি। যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। চারিদিকে এখন সবুজের সমাহার। এরই মধ্যে সবুজ পাতার ফাঁকে দুলছে সোনালি আমের মুকুল। এই মুকুলের সুবাসে মুগ্ধ হয়ে উঠছে গাইবান্ধার মানুষ।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধার বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে দেখা যায় থোকা থোকা আমের মুকুলের চিত্র। দখিনা হাওয়ায় গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে মৌ মৌ গন্ধ। একই সঙ্গে লেবু, লিচু ও কাঁঠাল গাছেও উঁকি দিচ্ছে নানা রঙের মুকুল। যেন প্রকৃতির খেয়ালে আবহমান গ্রামবাংলায় ধারণ করেছে নতুন রূপ।
জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার বসতবাড়ি, অফিস-আদালত ছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় দেশি-বিদেশি জাতের আম। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে। ইতোমধ্যে আম গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।
গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ি এলাকার নুর আলম খন্দাকার জানান, গাইবান্ধার ৭টি উপজেলার এমন কোন বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। তাই প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়ছে আমের মুকুল। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে।
সাঘাটা উপজেলার বাসিন্দা আমিনুর রহমান বলেন, গত ১০ বছর ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমচাষ করছি। এ বছরে আশানুরূপ মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আমের দাম ভালো থাকলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, আম চাষিদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা অধিক ফলন ও ভালো মূল্য পায়।