ভারতে করোনার নতুন প্রজাতি, দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা
করোনা টিকাভ্যাকসিনের দ্রুত প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ হ্রাসের পটভূমিতে দুঃসংবাদ পাওয়া গেছে ভারতে। জিনের ‘সিকোয়েন্স’ করে জানা গিয়েছে, ভারতে করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়ে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, তাতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (সেকেন্ড ওয়েভ) আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রতিটি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। করোনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর উপরেও নতুন করে জোর দেওয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়ের কোনও বাসিন্দা কলকাতা বিমানবন্দরে নামলেই তার শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। কর্তৃপক্ষ সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
চিকিৎসকদের মতে, 'লকডাউন পূর্বে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে যে সচেতনতা গড়ে উঠেছিল। যে আতঙ্ক ছিল, তা এখন নেই। অনেকেই ভাবছেন, আমরা করোনাকে জয় করে ফেলেছি। কিন্তু কেরল, মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাবে যে ভাবে করোনা আবার থাবা বসিয়েছে, তা দেখে সচেতন না হলে বড় খেসারত দিতে হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ১ জানুয়ারি বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজারের উপর। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে। একটা সময়ে দৈনিক সংক্রমণ ২০০-রও নীচে নেমে গিয়েছিল। তার পর আবার বুধবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০২ জন। তার আগে শেষবার ওই সংখ্যা ২০০-র উপর ছিল গত ১২ ফেব্রুয়ারি। তার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায় রাজ্যে সুস্থতার হার (ডিসচার্জ রেট) পৌঁছে গিয়েছে ৯৭.৬৩ শতাংশে।
কিন্তু পরিস্থিতির দ্রুত বদল ঘটছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এখনই সচেতন না হলে আবার লকডাউন পর্বের মতোই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ফিরতে পারে রাজ্যে। এক চিকিৎসকের কথায়, 'রাজ্যেবিধানসভা ভোট নিয়ে যতটা ঢাকঢোল পেটানো হচ্ছে তা সংক্রামণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।