চীনা টিকাকরণের জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম

  করোনা টিকা
  • আবুল খায়ের মোহাম্মদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিনোফার্মের তৈরি প্রায় এক লাখ (৯১ হাজার ২০০) ডোজ চীনা টিকা চট্টগ্রামে এসেছে। শুক্রবার (১৮ জুন) ছয় সদস্যের ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ টিকা গ্রহণ করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুন) চীনা এ টিকা চট্টগ্রামের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেওয়ার মাধ্যমে টিকাকরণ শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে এ টিকাদান শুরু হবে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকাদানে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক কর্তৃপক্ষ। এজন্য সিডিউল করা আছে। সিডিউল অনুযায়ী টিকাদান কার্যক্রম চলবে। নার্সসহ টিকাদানে পর্যাপ্ত টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি জেলায় কেবল একটি কেন্দ্রেই সিনোফার্মের এ টিকা দেওয়া হবে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, যে জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই এ টিকা দেয়া হবে। আর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল না থাকা জেলাগুলোতে জেলা সদর হাসপাতাল অথবা কমিটির সাথে আলোচনা পূর্বক সিভিল সার্জন যে কোনো একটি হাসপাতালকে কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করবেন। সে হিসেবে চট্টগ্রামে কেবল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রেই এ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিনোফার্মের এ টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। প্রথম ডোজ গ্রহীতাদের এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে এক মাস পর। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং কলেজ, আইএইচটি ও ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা এ টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এবার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কেবল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া করোনায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্য থেকে নিবন্ধন করেও কেউ যদি টিকা না পেয়ে থাকেন, তবে তারাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকার প্রথম ডোজ পাবেন। এর বাইরে যে কেন্দ্রে সিনোফার্মের টিকাদান চলবে, ওই কেন্দ্রে টিকা গ্রহণের জন্য পূর্বে অনলাইনে নিবন্ধনকারীরাও এ টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। কয়েকটি বড় প্রকল্পে কর্মরতদের পাশাপাশি চীনা নাগরিক বিদেশগামী কর্মীদেরও এ টিকার অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে।

এদিকে, অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, সরকারি নার্সিং কলেজ, আইএইচটি ও ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ না পেলেও প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেখিয়ে এ টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দুই দফায় সব মিলিয়ে ৮ লাখ ডোজের সামান্য বেশি (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার) টিকা পায় চট্টগ্রাম। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ টিকাদান উদ্বোধনের পর গত ৮ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হয় চট্টগ্রামে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৫ হাজারের মতো টিকাগ্রহীতা তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

এর আগে চট্টগ্রামের (মহানগরসহ জেলায়) মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নেন। প্রথম ডোজ নেয়া আরও প্রায় লক্ষাধিক টিকা গ্রহীতা দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। এরই মাঝে প্রথম ডোজ গ্রহণের পর অনেকের সময়ের ব্যবধান তিন মাস পার হতে চলেছে। অনেকের আরও বেশি সময় হয়েছে বলেও জানা গেছে।