যৌতুকের জন্য স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে হত্যা, স্বামী কারাগারে
নোয়াখালীর সূবর্ণচরে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চর উরিয়া গ্রামে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে মারধর ও পেটে লাথি মেরে হত্যার ঘটনায় আটক স্বামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুর পৌনে ৩টার বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটক স্বামী মো. রাসেল (২৫), চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চর উরিয়া গ্রামের জয়নাল আবদীন ছেলে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। নিহত গৃহবধূ রুনা বেগম (২১), চরক্লাক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মো.জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
অপরদিকে, গৃহবধূ রুনা বেগমের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ঘাতক স্বামীকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এর আগে, গত (২৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার চরক্লাক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চর উরিয়া গ্রামে নিহত গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের চাচা সিরাজ বেপারী অভিযোগ করেন, একই ইউনিয়নের রাসেলের কাছে দুই বছর আগে তার ভাতিজিকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় যৌতুক হিসেবে স্বামীকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার অজুহাতে টাকার কথা বলে রাসেল তার স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক ভাবে একাধিক বার বৈঠক হয়। গত (২৭ ফেব্রুয়ারি) যৌতুকের টাকার জন্য ফের সে তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে এবং লাথির আঘাতে রুনার নাড়ি ছিঁড়ে ফেললে চিকিসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূর পিতা জামাল উদ্দিন অভিযুক্ত স্বামীসহ ৩জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার আলোকে আটক আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।