হাতীবান্ধায় ধান ক্ষেতে বিষ, অর্ধশতাধিক হাঁসের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কাউকে না জানিয়ে ধান ক্ষেতে পোকা দমনকারী বিষ প্রয়োগ করেন রফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষক। এতে করে ওই ক্ষেতে নেমে প্রায় অর্ধশতাধিক হাঁস মারা গেছে।
বুধবার (৩ মার্চ) বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম উপজেলার সিংগীমারী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত গয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
আর ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, একই এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মাসেদুল ইসলাম ও নূর ইসলামের স্ত্রী হালিমা বেগম।
জানা গেছে, কৃষক রফিকুল ইসলাম কাউকে না জানিয়ে ধান ক্ষেতে পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন (বাদা) নামের কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করেন। এতে করে আশপাশের বাড়ির লোকজনের হাঁস সেই ধানের ক্ষেতের পানি খেয়ে মারা যায়। স্থানীয়রা ধান ক্ষেতে হাঁস মরে থাকতে দেখে ভুক্তভোগীদের খবর দেয়।
ভুক্তভোগী মাসেদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী সংসারের পাশাপশি হাঁস পালন করেন। প্রতিবেশী রফিকুল কাউকে না জানিয়ে ধান ক্ষেতে বিষ দিয়েছেন। আর এতে করে আমার ৩০টি হাঁস মরে গেছে। আমি এর বিচার চাই। আমি থানায় মামলা করবো।
একই কথা বলে ভুক্তভোগী হালিমা বেগম জানান, আমার স্বামী গ্রামে ঘুরে ঘুরে কটকটি বিক্রয় করেন। সংসারে সাহায্য করতে হাঁস পালন করছি। হাঁসগুলো ডিম দিচ্ছে। আমার ১০টি হাঁষ বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে রফিকুল। আমি এর সঠিক বিচার চাই?
এ বিষয়ে জানতে কৃষক রফিকুলের ফোনে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা আইনের আশ্রয় নিবেন। মৃত হাঁসগুলো পরিক্ষার জন্য পাঠানোর পর তা প্রমাণিত হলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।