হাতিরঝিল আমাদেরকে দিন: মেয়র আতিক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হাতিরঝিল আমাদেরকে দিন: মেয়র আতিক

হাতিরঝিল আমাদেরকে দিন: মেয়র আতিক

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়াসার খালের মতো হাতিরঝিলের দায়িত্বও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে দিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, হাতিরঝিল আমাদেরকে দিয়ে দেন। হাতিরঝিল যদি মেইনটেইন করতে না পারেন হাতিরঝিল আমাদের দিয়ে দেন। আর যদি মেইনটেইন করতেই হয় তাহলে আপনি (রাজউক চেয়ারম্যান) পরিপূর্ণভাবে মেইনটেইন করুন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে মধুবাগ এলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এসব কথা বলেন। 

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গাবতলা, বাংলা গলি, তালতলা গলি, মিস্টি গলি, জাহাবক্স লেন, মহিলা গলি,নয়াটোলা এই এলাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকত। কারণ এখানে পানি নিষ্কাশনের নেটওয়ার্ক ছিল না। আমরা পূর্ণাঙ্গ ম্যাপিং করেই কাজ করছি। এই বর্ষাকালে আশাকরি এই এলাকার পানি সম্পূর্ণভাবে নিষ্কাশন করতে পারবো; এই বিশ্বাস আমাদের আছে।

‘কিন্তু পানি যেখান দিয়ে যাবে ওটি আবার রাজউকের ড্রেন। রাজউকের ড্রেন পরিস্কার করবে কে? এই যে সমন্বয়হীনতা অব্যবস্থাপনা এটিকে সমাধান করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের সমন্বয় করেই কাজ করতে হবে। আমরা ড্রেন করে ফেলেছি এই অল্প একটু (রাজউকের ড্রেন) কাজের জন্য আমি বসে থাকব না। আগামী ২৫ এপ্রিল রোববার রাজউক চেয়ারম্যানকে ডেকেছি। ওই দিন হয় রাজউক করবে না হয় রাজউককে বলতে হবে হাতিরঝিল আমাদেরকে ছেড়ে দেবে। হাতিরঝিল যদি মেইনটেইন করতে না পারেন, হাতিরঝিল আমাদের দিয়ে দেন। আর যদি মেইনটেইন করতেই হয় তাহলে আপনি পরিপূর্ণভাবে মেইনটেইন করুন। মেইনটেইন না করতে পারলে আমাদের দিয়ে দিতে হবে। আশাকরি ২৫ এপ্রিল এটির সমাধান হয়ে যাবে।’

হাতিরঝিল পরিদর্শনে মেয়র আতিক

মেয়র বলেন, হাতিরঝিল মেইনটেইনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজউককে। আমি মনেকরি হাতিরঝিলও  উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আসতে হবে। যেমন করে ওয়াসার খাল দেওয়া হয়েছে। সেরকম পানি উন্নয়ন বোর্ডের যত ধরণের স্থাপনা ডিএনসিসি এলাকায় আছে সেটিও আমাদের দিতে হবে। তাহলে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারব। হাতিরঝিলের কিছু অংশ আমি করছি, কিছু অংশ রাজউক করবে এতে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ডিএনসিসি এলাকায় যত খাল, হাতিরঝিল, লেক অন্যান্য যা জলাশয় আছে যতদ্রুত সম্ভব আমাদের যদি দেওয়া হয় আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করব।

হাতিরঝিরের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলে পানির দুর্গন্ধ দূর হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা চেষ্টা করব। চেষ্টা করলে অবশ্যই সমাধান করা যাবে। শুধু সিটি কর্পোরেশন কেন নগরবাসীরও দায়িত্ব আছে। আমরা কেন নিজেরা বাসায় সেফটি ট্যাংক করব না? আমরা কেন পানিটাকে সরাসরি ফেলে দেব বিভিন্ন লেকে, ঝিলে, খালে? প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব আছে নগরকে সুন্দর রাখার।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে খেজুর বাগান এলাকায় আর পানি জমবে না। তাছাড়া পানি কোথায় কোথায় জমত সেই স্পটগুলো কিন্তু আমরা নির্ধারণ করে ফেলেছি। এসব সমস্যা সমাধানে স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস গত বারের চেয়ে এবার ভালো কিছু উপহার দিতে পারব নগরবাসীকে।

হাতিরঝিল পরিদর্শনে মেয়র আতিক

ওয়াসা থেকে খাল বুঝে নেওয়ার পর খালগুলোর সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে মেয়র বলেন, খাল আগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনায় ছিল। আমরা দেখেছি যেভাবে খাল পরিস্কার করার কথা ছিল, যেভাবে খালকে মেনটেইন করার কথা ছিল সেটি কিন্তু হয়নি। এর ক্ষতিকর প্রভাব নগরবাসীকে ভুগতে হয়েছে। প্রায় তিন যুগের ওপরে এই খাল রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় নাই। আমরা গত ৩০ ডিসেম্বর দায়িত্ব নিয়েছি তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম করেছি। এটি একটি বিশাল যজ্ঞ। তাই ধাপে ধাপে করতে হবে। তবে নগরবাসী গত বছর থেকে এবছর ভালো বেনিফিট পাবে।

হাতিরঝিল পরিদর্শনে মেয়র আতিক

জলাবদ্ধতার জন্য বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীও দায়ি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আফতাব নগর স্টার্ণ হাউজিং ওখানে খালগুলো বন্ধ করে মোটা মোটা পাইপ দিয়ে রাস্তা করেছে। তারা এটা করতে পারে না। তাদের উচিত কালভার্ট করে দেওয়া, তাহলে পানি প্রবাহ হবে। কিন্তু ওনারা এটা করেন নাই। আফতাবনগর থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাউজিং তারা অনেক টাকার মালিক তারা অনেক ব্যবসা করেন কিন্তু তারা একটি বারও চিন্তা করেন নাই নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা। আমাদের প্রায় ৯৫ কিলোমিটার খাল আছে। এই খালগুলোকে চেষ্টা করছি যতটুক সম্ভব জলাবদ্ধতা যাতে না হয় তার ব্যবস্থা করতে। খালের সাথে আমাদের প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার স্ট্রম ড্রেন আছে এই ড্রেনটাও পরিস্কার করতে হবে। অনেক ড্রেন ও খাল দখল করেছে। দখলদারদের ডাকছি বলছি এগুলোকে অপসাণ করে দেন। একদিনে হবে না পর্যায়ক্রমে সমস্যাগুলো সমাধান হবে। 

এ সময় মেয়রের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ: আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব), সিভিল সার্কেল খন্দকার মাহাবুব আলম প্রমুখ।

 

   

ফেনীতে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়ছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলায় অস্থায়ী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত কয়েক দিনের গরমের পর বৃষ্টিতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে। কিছু সড়কে ​​​​​​​অবৈধ মাটি পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে মাটি পড়ে তা বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় লোকজন। এছাড়াও খেটে-খাওয়া মানুষজন ও বিভিন্ন শপিং মল ও বিপনী বিতানের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।

ফেনী শহীদ মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী ফাহিম রিমু বলেন, ঈদ পর্যন্ত এখন প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখন বেচাবিক্রির সেরা সময়। বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। দোকানে ক্রেতাও খুব একটা নেই। মানুষজন বৃষ্টিতে সচারাচর ঘর থেকে বের হতে চায়না।

আবুল কাশেম নামে এক রিকশাচালক বলেন, রমজানে সারাদিন রোজা রেখে এমন আবহাওয়া স্বস্তির। তবে বৃষ্টির জন্য বাইরে রিকশা চালিয়ে কষ্ট হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো রাস্তায় তেমন যাত্রী ছিল না।

অন্যদিকে বৃষ্টির কারনে ফসলের বিভিন্ন ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি অফিস দিচ্ছে স্বস্তির খবর।

ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জমিতে পানি না জমলে বৃষ্টিতে ফসলের খুব বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বরং আউশ আবাদের জন্য এই সময়ের বৃষ্টি কৃষকের উপকার হবে। তবে সূর্যমুখী ও ভুট্টার গাছ নুয়ে পড়তে পারে। এছাড়া নিচু জমির পানি না নামলে ফলন কম হবে।

;

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে কমেছে উৎপাদন খরচ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে উৎপাদন খরচও কমেছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট সহ নানা কারণে একসময় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা। 

সরকারি প্রণোদনায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে অর্ধেক খরচে কম সময়ে গম কাটা ও মাড়াই করতে পারায় গম চাষ বেড়েছে কুষ্টিয়ায়। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ১২ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। 

মেশিনে প্রতি বিঘা জমির গম কাটা মাড়াইয়ে কৃষকের খরচ হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা; যা শ্রমিক দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের মজুরির অর্ধেকেরও কম। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে।

প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের আয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। 

দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া গ্রামের কৃষক রানা হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে গড়ে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। 

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। 

মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের খয়েপুর এলাকার কৃষক তিন কৃষক (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় দুই একর জমিতে বারি-৩০ গম আবাদ করেছেন। এতে করে গম আবাদে তুলনামূলকভাবে খরচ কম হওয়ায় এবং লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি করে গমের আবাদ করবেন। 

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান জানান, ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় আমাদের উপজেলার আমলা ব্লকে আব্দুল হালিম, আব্দুস সাত্তার ও মোস্তফা কামাল তারা যৌথভাবে দুই একর জমিতে গমের আবাদ করেন। এতে আমরা সার বীজ প্রণোদনা করেছি। পাশাপাশি কৃষি অফিসের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে গম কাটা ও মাড়াই যন্ত্র প্রদান করেছি।’  

এদিকে সরকারি প্রণোদনায় পাওয়া কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ১৫ বিঘা থেকে ২০ বিঘা জমির গম কাটা ও মাড়াই করছেন মেশিন মালিকরা। এতে তাদের উপার্জন বেড়েছে।

উন্নতজাত সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও প্রণোদনা প্রদানসহ সবধরনের সুবিধা দেওয়ায় কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশ হবে সমৃদ্ধ। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন কৃষকদের সবধরনের সুযোগ সুবিধার।

;

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা, 'পাচারকারী' আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় মনোরউদ্দিন নামে এক যুবককে ৭০ লাখ টাকা মুল্যের ৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক পাচারকারী মনোরউদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শরীরের পায়ু পথে লুকিয়ে স্বর্ণপাচারের কথা স্বীকার করলে এ স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়।

বিজিবি জানান, গোঁপন একটি তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পাচারকারীরা স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। এক পর্যায়ে রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইজিবাইক চালিয়ে সীমান্তের দিকে প্রবেশের সময় তাকে ধরা হয়। এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বাজারে রজনী ক্লিনিকে শরীর স্ক্যানিং করে পায়ুপথে ছয় পিস সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭০০ গ্রাম। এবং যার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার সোনাসহ এক পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার সোনার চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

;

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই আজকের এই আয়োজন। আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;