পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বাসযোগ্য আবাসন এখন দৃশ্যমান: মেয়র আতিক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বাসযোগ্য আবাসন এখন দৃশ্যমান: মেয়র আতিক

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বাসযোগ্য আবাসন এখন দৃশ্যমান: মেয়র আতিক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পাবে আধুনিক বাসযোগ্য আবাসন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গাবতলীয় এলাকায় পুরনো ডোবা ভরাট করে প্রায় ৪ একর জায়গার উপর নির্মাণ হচ্ছে ‘গাবতলী সিটি পল্লী’ নামে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসস্থল।

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আগের মেয়াদে এসে এই প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ এ দেখা গেছে গাবতলী সিটি পল্লীর  চুক্তিমূল্য ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৬১ দশমিক ৩১৯ টাকা। সংশোধিত মূল্য ৫৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪০৫ দশমিক ৩৭৯ টাকা। জিওবি ফান্ড থেকে নির্মিত এই প্রকল্পের সমাপ্তির সময়সীমা ছিল ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল।

বুধবার (২১ এপ্রিল) প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখতে যান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বাস্তবত যে অবস্থা তাতে এই প্রকল্প শেষ করতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে। প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে মেয়র বলেন, এটি এখন সংশোধিত হয়ে দাঁড়াবে ২২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪ গুণ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দৃশ্যমান ‘গাবতলী সিটি পল্লী’

পরিদর্শকালে মেয়রের সঙ্গে ছিলেন, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ: আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব), সিভিল সার্কেল খন্দকার মাহাবুব আলম, প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

ব্যয় বৃদ্ধির কারণ ও প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি সম্পর্কে মেয়র বলেন, “২০১৯ সালের ডিসেম্বর এই প্রকল্পের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে কাজ ধরার কথা ছিল কিন্তু যখন কাজ ধরবে তখন থেকে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া সেটা সম্ভব হয়নি।”

ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন, পাইলিং যখন শুরু হলো তখন দেখা গেছে ৯০ ফিট যাওয়ার পরে এখানে নিচের দিকে ‘ভ্যাকুয়াম’ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ এখানে ৯০ ফিট যাওয়ার পরে আরো ডিপ এ যেতে হবে। পরিকল্পনায় ছিল ৮৫ ফিট। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে কোথাও ৯৩, কোথাও ৯৫ ফুট। তাই ডিজাইনের একটা সমস্যা ছিল। ভাগ্যে ভালো সমস্যাটি আগে দেখা গেছে, তা নাহলে ভবন করার পর বড় ধরণের দুর্ঘটনাও সৃষ্টি হতে পারত। পরে এটি রিভাইজ করে এমআইএসটিতে ভেটিং করা হয়। এই জায়গাটি ৫০-৬০ বছর আগে এখানে পুরো ডোবা ছিল। একটি ডোবাতে পাইলিং করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রকল্প এখন দৃশ্যমান। আগে এটি দৃশ্যমান ছিল না এখন দৃশ্যমান। এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।

দৃশ্যমান ‘গাবতলী সিটি পল্লী’

যেখানে থাকবে ৪টি ১৬ ইউনিটের ১৫ তলা ভবন এবং ১ টি ৮ ইউনিটের ১৫ তলা ভবন। প্রতিটি ফ্ল্যাটে একটি মাস্টার্ড বেড, দুটি ছোট বেড রুম, বারান্দা ও কমন স্পেস থাকবে। এসব ভবনে মোট ৭৮৪টি পরিবারের বাসস্থান করার পরিকল্পনা নিয়ে ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর কার্যাদেশ দেয়া ডিএনসিসি। যদিও মেয়র বলেছেন ডিসেম্বরে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য একটি ৪ তলা স্কুল ভবন নির্মাণ করা হবে। পুরো প্রকল্প এলাকা কয়েকটি ভাগে ভাগ করে কাজ করা হচ্ছে। একটি ভবনের পাইলিং শেষে পিলার দাঁড়িয়ে গেছে। অন্যগুলো পাইলিং চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে মায়শা এন্টারপ্রাইজ ও জনি এন্টারপ্রাইজ এবং বঙ্গ বিল্ডার্স। 

 

   

দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে দক্ষ মানবশক্তি গড় তুলতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে তরুণ মানবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির কনফারেন্স হলে আয়োজিত অষ্টম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স-২০২৪ (বিআইজিএফ) এর Zero Digital Divide শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠান বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু প্রযুক্তি মানুষের জন্য, তাই প্রযুক্তির সাথে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উন্নত, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের ধরণ ভিন্ন।

সময়ের সাথে মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা চালকবিহীন গাড়ির চেয়ে আমাদের জরুরি প্রয়োজন উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা। দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে তরুণ মানবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) চেয়ারপারসন জনাব হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল বিভক্তি শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ হলেও যেহেতু প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়াতে হলে ডিজিটাল অবকাঠামো, ডিজিটাল সেবা এবং সেবা গ্রহণের বিষয়গুলো উন্নত ও সহজলভ্য করতে হবে। ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়লে অর্থনৈতিক বৈষম্য, নারী-পুরুষ বৈষম্য কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই জনবান্ধব, জলবায়ুবান্ধব ও নারীবান্ধব হতে হবে।

কমিশনের সিস্টেমস্ এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, তরুণ, নারী এবং যুবকদের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকাণ্ডে অংগ্রহণ এবং তাদের মতামতকে গ্রহণ করতে হবে। এআই, বিগ ডাটা, আইওটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই আমাদের এ প্রযুক্তি পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন করতে শিখতে হবে।

অনুষ্ঠানে ৮২ জন ফেলোর অংশগ্রহণে তিন দিনের কর্মসূচীতে বৈশ্বিক ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংগস (আইওটি) বিগ ডাটা , ডোমেইন নেইম সিস্টেম (ডিএনএস), ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম, নিরাপদ ইন্টারনেট প্রযুক্তি, ডাটা প্রটেকশন, টেলিযোগাযোগ ও ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড সম্পর্কে আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

;

বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ একদিকে যেমন সুরক্ষিত থাকবে অন্যদিকে এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত রেমিটেন্স মেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠাবেন তাদের জন্য ‘রেমিটেন্স এওয়ার্ড’ প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে। রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, তা বিবেচনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের কল্যাণে ও তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছেন।

এতে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

অনুষ্ঠানে রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন। মেলায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রধান ১৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কে মেলায় দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হয়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রবাসীদের স্বার্থ ও কল্যাণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

;

মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার

মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্লাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব 'আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনঃনির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মত প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এদেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।

এসময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়।

এরপর তিনি অতিথি ও বিজয়ীদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

ঝগড়া থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বউ-শাশুড়ীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে জয়নাল আকন্দ (৪০) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর আকন্দ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল আকন্দ ওই এলাকার মুসলিম আকন্দের ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে নিহতের চাচা খুরু আকন্দের মেয়ে ফুলেরা বেগমের সাথে পাশের বাড়ী শাবু মিয়ার ছেলে সাথে বিবাহ হয়। এর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তারই সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে ফুলেরা বেগমের সাথে তার শ্বাশুড়ীর ঝগড়া লাগে। এসময় ফুলেরার চাচাতো ভাই জয়নাল আকন্দ ঝগড়া থামাতে যায় ওই বাড়িতে। এক পর্যায়ে ফুলেরার শ্বশুর শাবু মিয়ার সাথে কাটাকাটি হয় জয়নাল আকন্দের। এসময় তাদের লাঠির গুরুতর আহত হয় জয়নাল ও নবিজল। এসময় সাফুল (৩০),আলমগীর (২৪) ও বাবুল (৩০) নামে আরও তিন জন আহত হন।

পরে আহতদের উদ্বার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। এসময় আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে জামালপুর নেওয়া পথে জয়নাল আকন্দের উচ্চ রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনার স্থলে আসছি। এঘটনার জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;