সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৬৪ শতাংশের বেশি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৬৪ শতাংশের বেশি

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৬৪ শতাংশের বেশি

সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দফা সাত দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বগতিতে ঠেকেছে। সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। জেলায় একদিনে এটি করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার। এনিয়ে জেলায় রোববার (১৩ জুন) পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৭৬ জন।

এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামের নজরুল (৭০), একই উপজেলার ভালুকাচাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম (৮৫), আশাশুনি উপজেলার শোভনালী গ্রামের মোক্তার (৬৫) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ি গ্রামের ঈসমাইল হোসেন (৪৫)। এ নিয়ে ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৪৮ জন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫২ জন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ জুন) সকাল থেকে সাতক্ষীরা শহরের মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশের তল্লাশি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। লকডাউনে খানিকটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন এবং সীমান্ত দিয়ে কেউ যাতে পারাপার না হতে পারেন সেজন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

অপরদিকে, সাতক্ষীরায় পর্যাপ্ত বেড ও ডাক্তার জনবল সংকটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে জেলায় ৬৯৬ জন করোনা পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরমধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন ও সদর হাসপাতালে ২৮ জন ভর্তি রয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮টি আইসোলেশন ও ১৫০টি বেড ছাড়াও আট বেডের আইসিইউ রয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বেড রয়েছে মাত্র ৩৫টি।