কুষ্টিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ ৩২৪ জন করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৯
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩০ নমুনা পরীক্ষায় ৩২৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) অস্তিত্ব মিলেছে। জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫০ জন এবং মারা গেছেন ২১১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৫৩৫ জন।
বুধবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৩২৪ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১১৩ জন, দৌলতপুরের ৪৯ জন, কুমারখালীর ৫৪ জন, ভেড়ামারার ৫২ জন, মিরপুরের ৩৩ জন এবং খোকসার ২৩ জন রয়েছেন। মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে একজন ভেড়ামারা উপজেলার এবং দুইজন করে সদর উপজেলা, দৌলতপুর, কুমারখালী এবং মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩০৪ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২০৪ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ১০০ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
এতে বলা হয়, কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এ সময় ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সব ধরনের দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহের জন্য কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এ লকডাউন। এ সময় ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সব ধরনের দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।