সাভারে পৃথক ঘটনায় দুই লাশ উদ্ধার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাভার

সাভার

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স এর সংঘর্ষে এক চালক নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে অন্তত তিন জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়ারপুর এর মধুমতি মডেল টাউনের সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে সাভারের প্রাইম হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স রোগীদের নিয়ে সাভারে আসছিলো এসময় এ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়ারপুর এর মধুমতি মডেল টাউনের সামনে পৌছলে মহাসড়কে একটি চলন্ত ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে এ্যাম্বুলেন্স এর চালক মিজানুর মিয়া (৩০) নিহত হন, এ্যাম্বুলেন্সের তিন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে খবর পেয়ে নিহত চালকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত এ্যাম্বুলেন্স চালকের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর এলাকায় বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সাভারের রাজাবাড়ি এলাকায় নিজ ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে এক (৩০) যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

দুটি লাশ উদ্ধার করার বিষয়টি নিশিচত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইসচার্জ ওসি আব্দুল আউয়াল।

 

   

নিজস্ব সক্ষমতায় স্বাস্থ্যসেবার কলেবর বৃদ্ধি করতে চাই: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এর কলেবর বৃদ্ধি করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের অনুরোধ করেছেন তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে হাজারীবাগে 'শহীদ শামসুনেনেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ' উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।

মেয়র তাপস বলেন, 'আমরা দেখি, মৌলিক সেবাগুলো এমনকি সন্তানদের খৎনা দিতে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা যেন না হয় এবং জনগণ যেন মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা পায় সেজন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আপনারা জানেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অত্যন্ত সুচারুভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। আমাদের যে নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে, যা আগামী বছর শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্প শেষ হলেও আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। সেজন্য জনবল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার যে বিষয়গুলো রয়েছে, তাতে আপনাদের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের) সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর জন্য এই সেবাগুলো নিশ্চিত করতে এবং কলেবর বৃদ্ধি করতে চায়।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে বলে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কিন্তু মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহারের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি নির্ধারিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা আজ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত। তারই ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মা ও শিশু মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অর্জন করতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী, তারই নেতৃত্বে আমরা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টও অর্জন করতে সক্ষম হবো।'

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, নগর মাতৃসদন ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত জনবলের অপূর্ণতা রয়েছে এবং ঢাকাবাসীকে আরও সুচারুভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সেসব প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত জনবল দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

ফতুল্লায় জাহাজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করছে/ছবি: সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করছে/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে আগুন লাগে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাজারের পাশে একটা জাহাজে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট কাজ করছে। আরও চারটি ইউনিট পথে আছে।

তবে কি ধরনের জাহাজ এখনো জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

;

লালমনিরহাটে বাস চাপায় নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে যাত্রীবাহী বাস চাপায় নুরজামাল ইসলাম (৬০) নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে লালমনিরহাট রংপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইমাম নুরজামাল ইসলাম সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ঢাকনাই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় উত্তর চিনিপাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদের খতিব।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের উত্তর চিনিপাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ সংলগ্ন মকতবে শিক্ষার্থীদের পড়াতে বাড়ি থেকে বাইসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন নুরজামাল ইসলাম। জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে রংপুরগামী একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইমাম নুরজামাল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে আধুনিক যৌন ব্যবসা, আয় শতকোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চক্রের হোতারা

চক্রের হোতারা

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতন চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফাঁদে ফেলতো একটি চক্র। এরপর ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে অনলাইনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হতো। দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শতশত তরুণীদের ফাঁদে ফেলে আধুনিক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে চক্রের মূলহোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি ‘র সাইবার পুলিশ সেন্টার)।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (২৫) ও তার প্রধান সহযোগী খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইলে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্পবয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ব্ল‍্যাক মেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদেরকে দেহব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর এক চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। এই চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যে সব তরুণীরা পারিবারিক ভাঙনের শিকার ও আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করত। চক্রটি কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে ইন্টারভিউতে ডাকত। এরপর তাদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নিতো। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদা মতো টাকা ও প্রয়োজন মিটাতো তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করত তারা।

সিআইডির সংবাদ সম্মেলন

এই চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান এবং তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তুলেছিল। তারা দুজনেই মেডিকেল শিক্ষার্থী। তারা চিকিৎসা বিদ্যার আড়ালে অল্পবয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে নানা অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করত। গত ৭ বছরে তারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় করেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি। তাদের আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক একাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।

যেভাবে কাজ করতো চক্রটি

শুরুতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, কখনও মডেল তৈরি, কখনোবা 'ট্যালেন্ট হান্ট' শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতো চক্রটি। এতে যারা সাড়া দিত তাদের নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলতো। তারপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি হাতিয়ে নিত চক্রটি। হাতিয়ে নেওয়া সেই সব অর্ধনগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগ্ন হয়ে ভিডিও কল বা সরসারি অসামাজিক কাজে বাধ্য করত। চক্রটির টেলিগ্রাম গ্রুপে হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। যারা একটি নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকতো। চক্রটি ভিডিও কলের সব কিছু গোপনে ধারণ করে রাখতো। এরপর মেয়েদের বাধ্য করা হতো চক্রটি ভুক্তভোগীদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতো। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌন দাসীতে পরিণত হয়েছিল শত শত তরুণী। দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার এই চক্রের মূল হোতা ও তার প্রধান সহযোগীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশ-বিদেশে চক্রটির রয়েছে শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক। নানা নামে তাদের শতাধিক চ্যানেলে গ্রাহক সংখ্যা কয়েক লাখ। বিভিন্ন বয়সী নারীদের ভিডিওকল ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে এবং গোপনে ধারণকৃত সেসব ভিডিও বিক্রি করে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। অর্থ লেনদেনের জন্য তারা ব্যবহার করতো এমএফএস বা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেদের আড়াল করার সব কলা-কৌশলও এই চক্রের জানা। ফলে শত শত মোবাইল সিম ব্যবহার করলেও তাদের কোনোটিই প্রকৃত ন্যাশনাল আইডি দিয়ে নিবন্ধন করা নয়। এক্ষেত্রে তারা নিম্ন আয়ের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিত। সামান্য অর্থ দিয়ে তোলা হতো সিমকার্ড। কন্টেন্ট আদান-প্রদান ও সাবস্ক্রিপশনের জন্য ছিল টেলিগ্রাম প্রিমিয়াম একাউন্ট এবং বিভিন্ন পেইড ক্লাউড সার্ভিস। অল্প বয়সী ভয়ানক চতুর এই দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর জিম্মায় কয়েক হাজার নারী রয়েছে। আছে টিকটক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সেলিব্রেটিও। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ ন্যুড ছবি ও ২০ হাজার এডাল্ট ভিডিওর সন্ধান পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার হওয়া চক্রের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

;