সিরাজগঞ্জে বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নে বিষাক্ত রেকফাইড স্পিরিট পানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চারজন হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়ার পথে পিন্টু শেখের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে। একইসঙ্গে স্পিরিট পানে সাবেক ইউপি সদস্য বাবু সেখ ও হযরত আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা সনজিদ কুমার ভৌমিককে বিষাক্ত রেকটিফাইড স্পিরিটসহ আটক করেছে।
মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল ওয়াহাব (৩২), সিকিম আলীর ছেলে মো. আব্দুল (৪৫), সড়াইচন্ডি নতুনপাড়া গ্রামের কালু সেখের ছেলে তাহের সেখ (৪৮) ও বিলধলি পুকুরচালা এলাকার মৃত ঘুইয়া শেখের ছেলে পিন্টু শেখ (৪০)।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত ৭ আগস্ট ৬ জন মিলে পাশ্ববর্তী কামারখন্দ উপজেলা সদরের কাকলী হোমিওপ্যাথিক দোকানদার সনজিদ কুমার ভৌমিকের কাছ থেকে রেকটিফাইড স্পিরিট কিনে শ্যামপুর এলাকার একটি শ্বশানঘাটের কালিমন্দিরের পাশে বসে সবাই মিলে পান করেন। এরপর সবাই যার যার বাড়িতে চলে যান। ওইদিন কিছু না হলেও ৮ আগস্ট রাতে বিষক্রিয়া শুরু হওয়ায় ৬ জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ৬ জনকেই জেলা সদরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। ৬ জনের মধ্যে সোমবার ভোরে দুইজন হাসপাতালে এবং একজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
মৃতদের স্বজনরা পুলিশকে অবহিত না করে সোমবার সকালে আব্দুল ওয়াহাব ও আব্দুলকে দাফন করেন।
বিষয়টি সকালে জানতে পেরে দ্রুত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাফনের পূর্ব মুহুর্তে তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি সুরুতহাল শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাবেক ইউপি সদস্য বাবু সেখ, পিন্টু শেখ ও হযরত আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পিন্টু শেখকে রাতে বগুড়ায় নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।
সদর সার্কেল মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, স্পিরিট পানে অসুস্থ একজনের তথ্যের ভিত্তিতে কামারখন্দ বাজারের কাকলী হোমিওপ্যাথিক দোকানে অভিযান চালিয়ে স্পিরিট বিক্রেতা সনজিদ কুমার ভৌমিককে আটক করা হয় এবং তার দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ রেকটিফাইড স্পিরিট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান শেখ জানান, ৬ জনই মাঝে মধ্যে মদ পান করতো। শুনেছি শনিবারও তারা মদপান করায় পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ৬ জনের মধ্যে চারজন মারা যায়।