বন্যার্তদের তোপে দ্রুত সটকে পড়লেন পাউবো'র প্রকৌশলী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বন্যার্তদের তোপে দ্রুত সটকে পড়লেন পাউবো'র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী

বন্যার্তদের তোপে দ্রুত সটকে পড়লেন পাউবো'র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর ডান তীর ২ নম্বর স্প্যার বাঁধের ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসে বন্যার্তদের তোপের মুখে পড়ে দ্রুত চলে যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। 

সোমবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৪টায় ২ নং স্প্যার বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় সেখানে আশ্রণ প্রকল্পসহ প্রায় ৫০০ পরিবার ভাঙনের শিকার হয়। এতে বসবাসরত পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত তিন দিনে সলেডি স্প্যার-২ এর উজানে ভেন্ডাবাড়ী এলাকায় কুটিপাড়ার ২০০ পরিবার ও কয়েকশ একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে।

আজ দুপুর ১২ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুর বিভাগীয় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবার রহমানসহ অনান্য কর্মকর্তাগণ। ঘটনাস্থলে গিয়েই বন্যার্তদের তোপের মুখে পড়েন তারা। অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হয় এলাকাবাসী। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ওই কর্মকর্তা এবং সাথে থাকা কয়েকজন ঠিকাদার।

বিজ্ঞাপন
বন্যার্তদের তোপে দ্রুত সটকে পড়লেন পাউবো'র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৭ দিন ধরে নদীর স্প্যার বাঁধটির উজানের অংশের ভেন্ডাবাড়ী কুঠিপাড়া গ্রামে ভাঙনের মুখে ১৫০টি পরিবার অন্যত্র সরে এসেছে। এই বাঁধটিও ৪ দিন থেকে ভাঙন হুমকির মুখে ছিল। সেখানে নামমাত্র কয়েকটি জিওব্যাগ ফেলে কাজ শেষ করা হয়েছে। গতকাল পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আপেল মাহমুদ দেখে গিয়ে জিও ব্যাগ ফেলা বন্ধ করে দেয়। আমরা বার বার বলা সত্বেও তিনি বলেছেন  আর লাগবে না। কিন্তু রাতেই বাঁধ ভেঙে যায়।

ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছে ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আশরাফুল   ইসলাম বলেন, গতকাল বার বার বলার পরও জিও ব্যাগ ফেলায়নি পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আপেল মাহমুদ। রাতেই ভেঙে গেল। সব শেষ আমার সব।

ডিমলা উপজেলা আওয়মী কৃষক লীগের সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক সরকার জানান, আমার বাড়ি পাশ্ববর্তী গ্রামে। আমি গতকাল থেকেই বন্যার্তদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল আমরা বলা সত্ত্বেও এখানে জিওব্যাগ ফেলা হয়নি। অল্প কয়েকটি মাটির বস্তা হলেই আজ স্প্যার বাঁধটি ভেঙে যেত না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জানান, স্প্যার বাঁধ-২ এর ৫০ মিটার অংশ গতকাল রাত ৪ টায় ভেঙে গেছে। গতকাল থেকে আমাদের টিম সেখানে কাজ করছে, পানি কমে গেলেই আমরা কাজ শুরু করব।

দ্রুত পরিদর্শন স্থল ত্যাগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি বাদ দেন।সে রকম কিছু হয়নি। আমি সটকে পড়িনি, অন্য সাইটে গিয়েছি কাজ দেখতে।