দিশাহারা পানিবন্দি কৃষকেরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরে পানিবন্দি ১৫০ গ্রাম। জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এবং সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এরই মধ্যে কাজিপুরের চরাঞ্চলের নানা স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আর গোয়ালন্দে গোখাদ্যের তীব্র সংকটে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি কৃষকরা। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদ ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার পানি কমলেও ভাঙা বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত আছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বন্যায় প্লাবিত এলাকা।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ১১টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আগামী দু’দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এতে এসব এলাকার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। গত এক সপ্তাহে বন্যাকবলিত এলাকার পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও উজানে বৃষ্টির কারণে ফের নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে, বগুড়ায় প্লাবিত এলাকায় ১১ হাজার ১৫০টি পরিবারের ৪৫ হাজার ২০০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জামালপুরে পানিবন্দি ২৫ হাজারের বেশি মানুষ; কয়েকটি উপজেলায় যমুনা নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় ১০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও গাইবান্ধায় কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, যমুনা-বহ্মপুত্র এবং গঙ্গা-পদ্মার পানি যেভাবে বাড়ছে তা ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভাগ্যকূল ও মাওয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে চলে যেতে পারে। এ সময় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় নদনদীর পানি কমছে। দেশের নদনদীগুলোর ১০৯টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ১৬টি পয়েন্টে এখন পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর এখন মোটামুটি সক্রিয়, বঙ্গোপসাগরে এর সক্রিয়তা মাঝারি ধরনের। এ অবস্থায় আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ফরিদপুরে গত কয়েক দিন ধরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের পাশাপাশি মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, গাছপালা ও বসতভিটা। জেলা সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের ফসল, রাস্তা ও নিচু এলাকার বসতঘর তলিয়ে গেছে।

যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল বিকেলে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। সব মিলে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় তীরবর্তী দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া, উজানচর ও ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। ফসলি মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি কৃষকরা। তাদের অনেকেই গোখাদ্য সংগ্রহে নৌকা নিয়ে পার্শ্ববর্তী উঁচু এলাকায় গিয়ে মাঠ থেকে ঘাস কেটে আনছেন।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কয়েক দিন ধরে ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির ফলে কাজিপুরের চরাঞ্চলের নানা স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ও পাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপত্সীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপত্সীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকা ও চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ফলে ওই সব এলাকা ও নিচু এলাকার আমন বীজতলা, রোপা আমন, পাট, মরিচ, বেগুন, পটোলসহ নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে।

নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর পানি কমায় থেমেছে ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপনী ইউনিয়নের ভেণ্ডাবাড়ী গ্রামে তিস্তার বাঁধের ভাঙন। তবে বাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে লোকালয়ে নদীর পানি প্রবেশ অব্যাহত আছে। সেটি ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামতকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

   

স্বস্তির খবর নেই যশোরে, আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের পর গতকাল রাজধানীসহ বেশকিছু জেলায় ঝড়ছিল স্বস্তির বৃষ্টি। কিন্তু যশোরে নেই কোন স্বস্তির খবর। আজও জেলাটি পুড়ছে তীব্র তাপপ্রবাহে।

শুক্রবার (৩ মে) যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুযায়ী, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগেও কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এ জেলায়।

এমন পরিস্থিতিতে নাকাল যশোরবাসী। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমতে থাকে। শুক্রবার ছুটির দিন থাকলেও এদিন সকালে যশোর শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে। তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা।

যশোর শহরের বিভিন্ন গাছতলায় কয়েকজন রিকশাচালককে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।

তাদের মধ্যে আল-আমিন ইসলাম নামে এক রিকশাচালক বলেন, একদিকে রোদের তেজ অন্যদিকে আজকে ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যেকারণে আজকে তেমন ভাড়া হয়নি। আমাদের তো পেটের দায়ে বের হতে হয়।

দড়াটানা মোড়ে ইজিবাইক চালক আলম শেখ বলেন, গরমে যেমন আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে তেমনি গরমে গাড়ির টায়ার জ্বলে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় পিচ গলে গেছে। রাস্তা অতিরিক্ত হিট হওয়ায় টায়ার বাস্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকের।

বশিরুল আমিন নামের এক পথচারী বলেন, ঘরেও গরম, বাহিরেও গরম। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই। আল্লাহ যে কবে মুখ তুলে চায় সে অপেক্ষায় আছি।

;

নির্বাচনে প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে হবে: ইসি রাশেদা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, তাদেরকে (প্রার্থীদের) অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট কেন্দ্রে অনেক সময় অনিয়ম হলেও প্রমাণের অভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে এজেন্টদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে আয়োজিত মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জেলার বেলকুচি উপজেলায় রাতের বেলায় থানার ভিতর ঢুকে পুলিশের সামনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীর ওপরে হামলা ও গালমন্দ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে থাকে, প্রার্থীকে আদালতে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে। আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শোনা কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো না।

এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ তিনজন বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জাংশনের কাজীপাড়া এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সাথে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আবগোমটি স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনার পর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আবগোমটি স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন বিভাগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর অন্য সড়ক দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত রেল দুটি উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। 

;

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সর্বসম্মতিক্রমে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের হলে প্রস্তাবটি উন্থাপন করেন।

শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

এই বছরের প্রস্তাবটি ১শ’ ১২টির দেশ সমর্থন করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: বাসস

;