রংপুরে গুল ফ্যাক্টরিতে আগুনে ২৫ লাখ টাকার মাল পুড়ে ছাই
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
জাতীয়
রংপুরের কাউনিয়ার হারাগাছে উৎপাদন বন্ধ থাকা একটি গুল তৈরির ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল ভষ্মীভূত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার কলোনিগ্রামের পাশে শামিম গুল ফ্যাক্টরিতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানায়, বিকালে হঠাৎ শামিম গুল ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হারাগাছ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ফ্যাক্টরিতে থাকা গুলের কৌটা ও তামাকসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ফ্যাক্টরির মালিক হাজী শামীম হোসেন বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে তা বুঝতে পারছি না। করোনার শুরুর দিক থেকে ফ্যাক্টরিতে গুল উৎপাদন বন্ধ থাকলেও প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
হারাগাছ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে আমরা এখনও পুরোপুরি অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হতে পারিনি।
ধান সংগ্রহে কৃষকদের হয়রানি না করার নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয়
চলতি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহে কৃষকরা যেনো হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেদিকে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই ল্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে
শিলাবৃষ্টিতে হাওরের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের ৯৮-৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শুকিয়ে তা ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওরকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানি না হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’
মন্ত্রী বলেন, কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন।
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৬টার দিকে হালদা নদীর রাউজানের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম পাওয়া যায়।
বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সোমবারের টানা কয়েকঘণ্টার বজ্রপাতসহ ভারি বর্ষণের ফলে হালদায় পাহাড় থেকে যে ঢল নেমেছে এতে নদীর নিচের দিকে ডিমের দেখা মিলেছে৷ আজ সকাল ৬টায় ভাটার শেষের দিকে হালদা নদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ ও সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে গবেষণা করে আমি একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছি, পানির তাপমাত্রা কমে বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টি হলে ৬ থেকে ১০ মের মধ্যে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। কাল এই সময়ের অমাবস্যার জো চলমান থাকবে।
পোনা সংগ্রহকারী সুনিলদাশ বলেন, সকালে আমরা নৌকা প্রতি আড়াই কেজি কার্প জাতীয় মাছের পোনা সংগ্রহ করেছি। গতকাল বৃষ্টি হওয়ার কারণে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে মা মাছ ডিম ছাড়তে অনুকূল পরিবেশ পায়নি। রাতের জোয়ার শেষে ভাটায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। আশা করি আরও ডিম সংগ্রহ করতে পারব।
সোমবার পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতরের পতেঙ্গা কার্যালয় তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চঙ্গা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
টানা তৃতীয় দিনেও সারাদেশের পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনরত নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, রোববার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি মঙ্গলবারও (৭ মে) দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন করছেন তারা। এসময় জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন তারা।
তারা জানান, একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার রয়েছে বিস্তর ফারাক। পদ, পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।
এসব বৈষম্যের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায়-সঙ্গত অধিকারের কথা বললেই নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এমনকী আন্দোলন শুরুর পরেও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আন্দোলন বন্ধে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, বৈষম্যের অবসান না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
সরকারের বিশেষায়িত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিতে গ্রাহকদের প্রান্তিকপর্যায়ে সেবা দিয়ে থাকে।
এদিকে, জরুরি বিদ্যুৎ ছাড়া অন্যান্য গ্রাহকসেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক। এভাবে চলতে থাকলে দেশজুড়ে লোডশেডিংয়ের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে প্রস্তুত কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়।
প্রতিবারের মতো এবারও কুঠিবাড়ির আঙিনায় বাঁশ-কাঠ-ত্রিপল দিয়ে সাজানো হয়েছে মঞ্চ ও দর্শনার্থীদের বসার স্থান। রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে রং-তুলির আঁচড়, ব্যবহৃত জিনিসপত্রকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও শেষ হয়েছে। জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে কুঠিবাড়ির পাশেই তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরাও সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
জেলার দুইটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও তীব্র গরমের কারণে তিনদিনের অনুষ্ঠান এবার দুই দিনে করা হচ্ছে। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আগত দর্শনার্থীদের জন্য নতুন করে ৪টি টিউবওয়েল বসিয়ে সুপেয় পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যবারের মতো থাকছে চিকিৎসক ও সেবক দল।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন কুষ্টিয়া-৫ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ।
এবছর স্থায়ীভাবে নির্মিত মঞ্চে চলবে কবিগুরুর সাহিত্য ও শিল্পজীবন নিয়ে আলোচনা, গান ও কবিতা। এখানে এসে কবিগুরুর শিল্প ও সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিজীবনে অনুপ্রেরণা যোগায় এমনটায় মনে করেন রবীন্দ্র ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।
বৈশাখের ঝড়-বৃষ্টিতে উৎসবের আয়োজন যাতে বিফলে না যায় তাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে নির্মাণ শ্রমিকেরা। পাশাপাশি আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন তারা।
সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ আয়োজনকে সফল করতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে।
এব্যাপারে শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল-আমিন জানান, বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার তিনদিনের স্থলে দুইদিন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই শিলাইদহ কুঠি-বাড়ির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ যে সকল কাজ আছে সেগুলো শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল কাজ শেষ হয়ে যাবে।
সাহিত্যিক ইমাম মেহেদী বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। কবিগুরুর দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ গভীর জীবনবাদী চিন্তা জাগানিয়া লেখায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে বাংলার জল, বাংলার মাটি, বাংলার ফল আর বাংলার আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা মানুষ।
তিনি সারা জীবন হৃদয়ের গহিনে লালন করেছেন মানব মুক্তির দর্শন। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই দর্শন অন্বেষণ করেছেন। তার কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাসসহ সব সৃষ্টি মানুষকে আজও সেই অন্বেষণের পথে, তার অনিষ্ট উপলব্ধির পথে আকর্ষণ করে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এই অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তী সময়ে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে জমিদার হয়ে আসেন। শিলাইদহে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনা করেন। এখানে অবস্থানকালে তিনি রচনা করে তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালীসহ আরও বিভিন্ন গ্রন্থ।
রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে বসেই গীতাঞ্জলী কাব্য গ্রন্থের অনুবাদের কাজ শুরু করেন। পরে ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী গ্রন্থের অনুবাদে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এখানে বসে রচনা করা বিশ্বকবির অসংখ্য গান, কবিতা ও সাহিত্যকর্ম বাঙলা সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। তাই রবীন্দ্র সাহিত্যে শিলাইদহের গুরুত্ব অন্যতম।