রামপালে একদিনে একসাথে দুইটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন ইউএনও
বাগেরহাটের রামপালে একদিনে একই এলাকার দুইটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন জানান, উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিগিরমোল্লা ও সিংগরবুনিয়া গ্রামে পৃথক দুইটি বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিলো।
এ খবর পাওয়া মাত্রই শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন পুলিশ নিয়ে সাথে সাথে সেখানে ছুটে যান। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন জিগিরমোল্লা গ্রামের শেখ ফরিদের মাদ্রাসা পড়ুয়া কন্যা মরিয়ম খাতুন (১৬)কে ও সিংগরবুনিয়া গ্রামের রহুল আমিন হাওলাদারের স্কুল পড়ুয়া কন্যা তাছলিম লামিয়া (১৫) কে বাল্যবিবাহ দিচ্ছিলেন তাদের পরিবার।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে দুইটি বন্ধ হয়। এ সময় বাল্যবিয়ের আয়োজনকারী দুইটি পরিবারের অভিভাবকেরা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেন। মুচলেকায় তারা তাদের মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে অঙ্গিকার করেন। মুচলেকা দেয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক ক্ষমা করে সর্তক করে দিয়েছে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন বলেন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম স্যারের নির্দেশ বাল্যবিবাহ শুণ্যের কোঠায় রাখার। তাই কোনভাবে বাল্যবিবাহ হতে দেয়া হবেনা। কোন বাল্যবিবাহের সাথে যদি স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা কেউ সম্পৃক্ত থাকেন তাদের কেউকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।
বাল্যবিবাহ দেয়া পরিবার ও তাতে সহযোগীতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বাল্যবিবাহ রোধে দুই একদিনের মধ্যে রামপালের সকল কাজীদের নিয়ে বসা হবে।
যাতে আর একটিও বাল্যবিবাহের ঘটনা এখানে না ঘটে। যদি কোন কাজী বাল্যবিবাহ পড়ান এমন খবর পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। বাল্যবিবাহ বন্ধে সকলকে সচেতন ও প্রশাসনকে সহায়তা করার আহবাণ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন।