রংপুরের হারাগাছের ঘটনায় দুটি মামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হারাগাছ থানায় হামলা ও ভাঙচুর

হারাগাছ থানায় হামলা ও ভাঙচুর

রংপুরের হারাগাছে পুলিশের অভিযানে আটকের পর একজনের মৃত্যুর অভিযোগে হারাগাছ থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর এবং অপরটি থানায় হামলা ও ভাঙচুরসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নতুন বাজার বছির বানিয়ার তেপতি নামক স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় মাদক সেবনের অভিযোগে হারাগাছ পৌর এলাকার শওকত আলীর ছেলে তাজুল ইসলামকে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে তাজুলের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিলসহ থানা ঘেরাও করেন। এসময় তারা থানা ভবনে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ভাঙচুর চালায়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা পিছু হটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার জানান, সন্ধ্যায় নতুন বাজার বছিবানিয়ার তেপতি থেকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় আটক করে তাজুল ইসলামকে হাতকড়া পরানো হয়। এতে ভয়ে সে মলত্যাগ করে ফেলে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হাতকড়া খুলে দেয়। এর পর পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে যে তাজুল ইসলাম মারা গেছেন। এলাকাবাসী ভুল তথ্য পেয়ে থানা ঘেরাও করে ভাঙচুর করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে একটি অপমৃত্যুর ও অপরটি থানায় হামলা ও ভাঙচুরসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে। দুটি মামলায় পুলিশ বাদী হয়েছে।

আরপিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, হারাগাছের ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।