আজ রায় ঘোষণা না হওয়ায় হতাশ আবরারের বাবা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। এদিন রায় শুনতে আদালতে আসেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আজ রায়টা হয়ে গেলে ভালো হতো।

রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

বিজ্ঞাপন

আবরারের বাবা বলেন, এ রায় আজ হবে এমন আশা নিয়ে আসছিলাম। আমাকে বারবার কুষ্টিয়া থেকে আসতে হচ্ছে, যা খুবই কষ্টকর। অতিশিগগির ছেলে হত্যার বিচারের রায় হবে এটাই আমার চাওয়া।

তিনি বলেন, আমি সকল আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এরকম যেন আর কোন সন্তানের সাথে না হয়।

বিজ্ঞাপন

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওইদিন ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে মেরেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পেছাল