অর্ধেক জনবলে অফিস, সিদ্ধান্ত শিগগিরই

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্ধেক জনবলে অফিস, সিদ্ধান্ত শিগগিরই

অর্ধেক জনবলে অফিস, সিদ্ধান্ত শিগগিরই

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অফিস-আদালত অর্ধেক জনবলে চালানোর কথা ভাবছে সরকার। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেছেন, একটা মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রবিবারও মিটিং হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি অর্ধেক লোকবল দিয়ে অফিস-আদালত পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা শিগগিরই প্রজ্ঞাপন আকারে আসবে। গণপরিবহনে যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্য অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি গত ১৪ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে এ নিয়ে কভিডে এযাবৎ মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২০৯ জনে। এর মধ্যে চলতি জানুয়ারির ২২ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জনের।

বিজ্ঞাপন

গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ হাজার ৬১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় মোট নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্ত দুটিই কম। তবে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি। এ নিয়ে দেশে কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ জন। এদের মধ্যে এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯ জন। চলতি বছরের প্রথম ২২ দিনে দেশে ৮৮ হাজার ৬৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে কভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ৯০ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯ হাজার ৬১৪ জনের মধ্যে মহানগরসহ ঢাকা জেলাতেই শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫৬ জন। আর বাকি ২ হাজার ৫৫৮ জন দেশের অন্যান্য জেলার। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৭ হাজার ৩৯৬, ময়মনসিংহে ৭৩, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩৭৭, রাজশাহীতে ১৫৯, রংপুরে ৬৬, খুলনায় ১৬৩, বরিশালে ৫২ এবং সিলেট বিভাগে ৩২৮ জন শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে গত দুই বছরে কভিড সংক্রমণের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সংক্রমণের হার অনেক বাড়লেও নভেম্বর থেকে তা কমে এসেছিল। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য কভিডের ডেল্টা ও ওমিক্রন ধরনকে দায়ী করা হচ্ছে।