সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকিতে
দেশে বর্তমানে প্রায় আড়াই কোটি কিডনি রোগী রয়েছেন। প্রতি বছরই আরও দুই লাখের বেশি নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। সম্প্রতি সাংবাদিকদের মধ্যে কিডনি সমস্যার রোগী পাওয়া গেছে ১৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটটি কাজ ও জীবনচর্চার মাধ্যমে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানান, ব্যয়বহুল হওয়ায় বেশিরভাগ কিডনি রোগী নিয়মিত চিকিৎসাসেবা নেন না। সরকারিভাবে বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালে সীমিত পরিসরে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া হয়। বেসরকারিভাবে ১৫০টির মতো হাসপাতালে এ সেবা চালু থাকলেও তা সাধারণের সাধ্যের বাইরে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেজ অ্যান্ড ইউরোলজির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বের প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। আমাদের দেশেও দুই কোটির বেশি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। যেভাবে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে আশঙ্কা, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যুবরণ করবেন।
গতকাল বুধবার (৯ মার্চ) এক মতবিনিময় সভায় ডা. মো. ফিরোজ খান বলেন, 'একবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কিডনি সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তাতে সাংবাদিকদের মধ্যে কিডনি সমস্যার রোগী পাওয়া গেছে ১৯ শতাংশ। সে সময় সাধারণ মানুষের চেয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে বেশি কিডনি রোগী পাওয়া গিয়েছিল। নারীদের চেয়ে পুরুষ রোগী বেশি পাওয়া যায়। নারীদের চিকিৎসকদের কাছে আসার হার কম বলে হয়ত এমন হয়েছিল।'
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আটটি কাজ ও জীবনচর্চার মাধ্যমে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কায়িক পরিশ্রম, খেলাধুলা ও নিয়মিত ব্যায়াম, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুপ্ত উচ্চ রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ব্লাড প্রেসার চেকআপ, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, যাতে শাকসবজি ও ফলমূল বেশি থাকবে, পর্যাপ্ত পানি পান, ধুমপান থেকে বিরত থাকা, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন না করা এবং নিয়মিত কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।