হাসপাতালে ঠাঁই নেই, চিকিৎসাসেবা গাছতলায়

  • সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে ঠাঁই নেই, চিকিৎসাসেবা গাছতলায়

হাসপাতালে ঠাঁই নেই, চিকিৎসাসেবা গাছতলায়

রাজবাড়ীতে ভয়াবহ আকারে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ২০ শয্যার ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ৫২ জন। উপায় না পেয়ে রোগীর অভিভাবকেরা হাসপাতালের পাশে ময়লার ড্রেনের পাশে পেতেছে বিছানা। এভাবেই চিকিৎসা সেবা চলছে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ২০ শয্যার হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ৫২ জন রোগী ভর্তি। হাসপাতালের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে একটি বিছানায় একাধিক রোগীরে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের মেঝেতে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। হাসপাতালের সিট না পেয়ে দুইজন রোগী হাসাপাতালে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়লার ড্রেনে পাশে গাছের নিচে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। নতুন করে রোগী আসছে।

বিজ্ঞাপন

গাছতলায় চিকিৎসা সেবা নেওয়া রোকসানা আক্তারের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত দুইদিন ধরে আমার স্ত্রী ডায়রিয়া ও বমি হচ্ছে। সোমবার সকালে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে আসি। হাসপাতালের ভেতরে জায়না পাইনি। তাই গাছ তলায় বিছানা পেতে চিকিৎসা করাচ্ছি। এখানে ড্রেনের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ আসে। মনে হচ্ছে আমার স্ত্রী আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

পৌরসভা এলাকার রাহেলা খাতুনকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিতে আনেন তার ছেলে আসলাম শেখ। তিনি বলেন একটি জেলা সদরের হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২০টা সিট কিভাবে বরাদ্দ থাকে। আমাদের জেলার চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাপনা কবে ভালো হবে। সরকার এত উন্নয়ন করেছেন। কই তার প্রমাণ?

বিজ্ঞাপন

হাসপাতালে ভর্তি ৮০ বছরের বৃদ্ধা আমেনা খাতুনের মেয়ে হোসনেয়ারা চম্পা বলেন, গত তিনদিন আগে আমার মেয়েও ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। আমার বৃদ্ধা মা পাবনা থেকে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। এখানে এসেই তিনি ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনই খুবই বাজে অবস্থা। এখানে থেকে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে রোগীরা।

মানুষকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সময় মূলত খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার। রোগীর চাপ সামাল দিতে আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আলাদা একটি ওয়ার্ড ডায়েরিয়া রোগীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।