স্বর্ণরাঙা গুটিতে ধরেছে কৃষকের স্বপ্ন



মোঃ আব্দুল হাকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বর্ণরাঙা মুকুলগুলো ক’দিন আগেও গাছের শাখা প্রশাখায় ঝলমল করছিল। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল গ্রামের সবুজ প্রকৃতি। চারপাশে মৌমাছির গুঞ্জরণ যেন নিমন্ত্রণ দিচ্ছিল আমের। কিন্তু সময় যত বাড়ছে অপেক্ষাও তত কমছে। এখন গাছের গাছের শাখে শাখে বেঁধেছে আমের গুটি দানা। আর সেই গুটিতেই স্বপ্ন বাঁধতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাছ, পাতা, মুকুল, গুটি আর আম নিয়ে বাঁধা তাদের নানান স্বপ্নের কথা।

চাষিরা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সর্বোচ্চ মুকুলে ছেয়ে গেছে বরেন্দ্রের আম বাগান। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়া আমগাছগুলোতে গুটি বাঁধতে শুরু করেছে সবুজ দানা। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে যেন উঁকি দিচ্ছে ছোট ছোট দানা। মুকুলের পর সবুজ দানাও নজর কাড়ছে সবার। মৌমাছির গুণগুণ শব্দ মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে স্বপ্নে বিভোর আম চাষিরা।

কৃষি বিভাগ বলছে, গত মৌসুমে শীত ও কুয়াশা তুলনামূলক কম হওয়ায় মুকুলের ক্ষতি কমেছে অনেকটাই। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলেও আশা করা যায়। এছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া ও ক্রমেই তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি আমের জন্য সুবিধাই বয়ে আনবে।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আম চাষ হয়েছিল ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। আম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন। এ বছর জেলায় আম চাষ হচ্ছে ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার জেলায় আমের চাষাবাদ বেড়েছে এক হাজার ৬৩ হেক্টর জমিতে। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।

জেলার আমের বাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে কীটনাশক স্প্রে, গোড়ায় পানি দেওয়াসহ সব রকমের যত্ন আত্তি চলছে পুরোদমে। বিশেষ করে রাজশাহী নগরীর হেতেম খাঁ, গৌরহাঙ্গা, লক্ষ্মীপুর, শিরোইল, কোর্ট স্টেশন, ভেড়িপাড়া, মালোপাড়া, কাশিয়াডাঙ্গা, মেহেরচণ্ডি ও পদ্মা আবাসিক এলাকায় বেশ কিছু গাছে গুটি বাঁধতে শুরু করেছে আমের মুকুল। নগরীর বাইরেও আমের নাম-যশে পূর্ণ জেলার বাঘা, চারঘাট, মোহনপুর ও বাগমারা এলাকায় দেখা মিলেছে আমের গুটি। সোনালি মুকুল ঝরে ক্রমেই শক্ত হতে শুরু করেছে সবুজ গুটি। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আর সবুজ দানা জাদুর মতো কাছে টানছে আমপ্রেমীদের। অনবরত আম গাছের মগডালেই নজর কাড়ছে পথচারীদের।

জানতে চাইলে বাঘার আম চাষি সাদিকুল ইসলাম বলেন, আম গুটি হওয়া শুরু হয়েছে। এবার বাঘা অঞ্চলের গাছে প্রচুর মুকুল হয়েছিল, গতবারের চেয়ে প্রায় ডাবল। তবে খিরসাপাত ও ল্যাংরা আমে গুটি কম হচ্ছে। অনেক দিন বৃষ্টি ছিল না, মাটি শুষ্ক ছিল। মাঝে একটু কুয়াশা হয়েছিল, হপার নামের এক প্রকার পোকারও উৎপাত ছিল, এসব কারণে কিছু মুকুল ছোট থাকায় গুটি কম হয়েছে। আর লকনা, ফজলি বা আশ্বিনা আমে গুটি বেশি হচ্ছে। গত বারের চেয়ে ডাবলের বেশি আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


দুর্গাপুর উপজেলার আম চাষি আলতাফ হোসেন বলেন, আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণেই আছে। আবহাওয়াও মোটামুটি ভালোই আছে, মাঝে একটু পঁচানি ও হপার নামের রোগ ধরছিলে। কীটনাশক স্প্রে করার পর অনেকটাই সমাধান হয়েছে। আশা করি গত বারের থেকেও ফলন ভালো হবে।

রাজশাহী তানোর উপজেলার চাষি বারিউল ইসলাম বলেন, চাষ এবং ব্যবসা উভয়ের সঙ্গেই আমি সরাসরি যুক্ত। মূলত পাতা কেনা দিয়েই শুরু হয় আমের কেনা-বেচা। বেশি পাতাওয়ালা গাছে ফলন ভালো হবে ধরে এ পাতা কেনা-বেচা হয়। গাছপ্রতি ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় মালিককে। অবশ্য যুগ যুগ থেকে পাতা কেনার এ প্রথা চলে এলেও এখন অনেকেই ভিন্ন নীতিতে ব্যবসা করেন। আগাম পাতা কেনায় ক্ষতির শঙ্কা থাকে। তাই ধীরে ধীর নিজেই বাগান গড়ে তুলেছি। এখন নিজেই চাষও করি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মোজদার হোসেন বলেন, আমরা অনেক ভালো ফলনের আশা করছি এবার। মুকুল যেটা হয়েছে খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত আবহাওয়াও ভালো রয়েছে, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হবে, রোদ হবে। এখন পর্যন্ত খারাপ কিছুই লক্ষ্য করা যায়নি। জেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

   

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা থেকে গাঁজা বিক্রি করতে এসে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ৬ কেজি গাঁজাসহ আটক হয়েছে সোহেল নামে এক মাদক কারবারি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলার সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ব্যাগের ভিতর থেকে ওই গাঁজাগুলো উদ্ধার করে জব্দ করে। ওই সময় তারা গাঁজা বহনকারী কারবারী সোহেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাদের জন্য বরগুনা জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

আটককৃত মাদক কারবারি সোহেল কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ধর্মপুর এলাকার বশিরুল্লাহর ছেলে। পেশায় সে একজন স্যানিটারী মিস্ত্রি। ভারত থেকে চোরাইপথে আসা গাঁজা আখাউড়া থেকে সংগ্রহ করে সড়ক পথে বরগুনার আমতলীতে বিক্রি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)'র অভিযানে ধরা পড়ে যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বশির আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে উপ- পরিদর্শক জ্ঞান কুমার দাস, মোঃ বশির আহমেদ, সহকারী পরিদর্শক রুবেল হাওলাদার, ডিবি সদস্য প্রিন্স সিমলাই, মাহমুদসহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গভীর রাত থেকে আমতলীর সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করি।

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী হানিফ পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ সোহেল নামে ওই মাদক কারবারীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হই। আটক কারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

;

রংপুরে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছায় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুজন ও শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই বাড়ি থেকে অপর দুজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমেদ জয় ওরফে আব্দুস সালাম (৪০), একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে শাহাজাহান মিয়া (৩৬), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা সবুজ মিয়া (২৮) ও একরামুল হক (২৬)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের আব্দুস ছালামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তল্লাশি করে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ আব্দুস ছালাম ও শাহাজাহান মিয়াকে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আব্দুস ছালামের বাড়িতে সেই গাঁজা কিনতে আসে ফুলবাড়ি থেকে সবুজ মিয়া ও একরামুল হক। খবর পেয়ে তাদেরকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, গাঁজাসহ দুজন ও পরবর্তীতে গাঁজা কিনতে আসা দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

;

লালমনিরহাটে ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ নারী কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও চার বোতল ভারতীয় হুইস্কিসহ স্বরসতী রানী (৩৩) নামে এক নারী মাদকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত স্বরসতী রানী কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোঙ্গাগাছ এলাকার পলাতক মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের বাড়িতে মাদকের বড় চালান ঢুকেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মফিজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে এ সময় স্বরসতী রানীর সহযোগিতায় বাশের তৈরী মাচা হতে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ বোতল হুইস্কি উদ্ধার করা হয়।

কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কমকে জানান, আটককৃত নারী মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

;

২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৮৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

;