সাংবাদিক আটকের ঘটনায় এডিটরস গিল্ডের উদ্বেগ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম আলোর সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ।

গণমাধ্যমের জন্য মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা সবার কর্তব্য। প্রথম আলো যদি সাংবাদিকতার নীতি বিরুদ্ধ  কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, তাহলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারে। প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমেই এর নিষ্পত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে এডিটরস গিল্ড।

এর আগে বুধবার ভোর চারটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া হয়। সিআইডির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন।

   

২৭ বছর পর ‘খুঁজে পাওয়া’ হাসানকে খুন করে টুকরো টুকরো করল স্ত্রী-সন্তান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মোহাম্মদ হাসান

মোহাম্মদ হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন মোহাম্মদ হাসান। ৬১ বছরের মানুষটা কোথায় ছিলেন তা-ও অজানা ছিল স্ত্রী-সন্তানদের কাছে। কিছুদিন আগে হুট করে বাড়ি ফিরে আসেন ‘নিখোঁজ’ হাসান। সেই ফেরাটাই কাল হলো তার জন্য। কোথায় বহুদিন পর খুঁজে পাওয়া হাসানকে মায়ায় জড়াবেন। উল্টো সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হাসানকে হত্যা করে মরদেহ ‍টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছেন খাল ও নালায়।

চট্টগ্রামে দুই দিন আগে ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার হওয়া মানবদেহের খণ্ডগুলো এই হাসানের। তার পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

স্ত্রী-সন্তান ও পুত্রবধূর হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হাসানের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে। তবে পিবিআইয়ের উদ্ধার করা জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) হাসানের অস্থায়ী ঠিকানা লেখা আছে, সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির জামাল মিয়ার গ্যারেজ। ধারণা করা হচ্ছে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সিলেটের এই এলাকায় এতবছর ধরে থাকছিলেন হাসান।

পিবিআই নদী ও নালা থেকে ৮টি খণ্ডাংশ উদ্ধার করলেও মাথার হদিস এখনো পায়নি। সেটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেটে একটি ট্রলিব্যাগ পায় পুলিশ। কফি রঙের সেই ট্রলিব্যাগে মানবদেহের ২ হাত, ২ পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ ছিল। এই ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে এক বা একাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচনে মাঠে নামে পিবিআই।

আঙুলের ছাপ ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে প্রথমে হাসানের পরিচয় নিশ্চিত হন পিবিআই। এরপর আকমল আলী রোড এলাকায় হাসানের ছোট ছেলের বাসার সন্ধান পান তারা। পরে বাসার আশপাশের সিসি ক্যামরার ফুটেজ সংগ্রহের পর পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় পিবিআইয়ের কর্মকর্তাদের কাছে। তারা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান হত্যার পর ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শরীরের অংশবিশেষ বস্তায় ভরে বের করছিলেন হাসানের ছোট ছেলে সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পিবিআই জানতে পারে, হত্যাকাণ্ডে শুধু ছোট ছেলে নয় ওই বাসায় হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছোট ছেলের স্ত্রী আনারকলিও সেই বাসায় ছিলেন। হাসানের অবস্থানও ছিল সেখানে।

মূলত হাসানকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রমাণ গায়েব করতে। তবে পিবিআইয়ের তদন্তের জালে হাসানের স্ত্রী ও বড় ছেলে আটকা পড়ার পর বেরিয়ে আসে কোথায় ফেলা হয়েছে লাশের খণ্ডাংশ।

১৯ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়কের পকেট গেইট এলাকার জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় হাসানকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, বাসাটি ছিল হাসানের ছোট ছেলের। সেখানে তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ থাকেন। হত্যাকাণ্ডের দশদিন আগে চিকিৎসার নামে হাসানের স্ত্রী ছোট ছেলের সেই বাসায় আসেন। ঘটনার দিন বড় ছেলে মোস্তাফিজুরও সেই বাসায় যান। কৌশলে ডেকে নেওয়া হয় হাসানকেও। জমি নিয়ে রাতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্ত্রী, দুই ছেলে এবং ছোট ছেলের স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে হাসানকে খুন করেন।

লাশটি কেটে টুকরো টুকরো করা হয় জানিয়ে পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রথমে ট্রলিব্যাগে করে লাশের আট টুকরো ফেলা হয় পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট এলাকার খালে। মাথা এবং বুকসহ শরীরের আরও কিছু অংশ ফেলা হয় নানা স্থানে। ছোট ছেলেই লাশের টুকরোগুলো নানাস্থানে ফেলার কাজটি করেন।

স্ত্রী ও বড় ছেলেকে হেফাজতে নেওয়ার পর তাদের তথ্য অনুযায়ী শনিবার আকমল আলী সড়কের খালপাড়ে একটি খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় টেপে মোড়ানো শরীরের একটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মাথাটি এখনো পাওয়া যায়নি।

পিবিআই সূত্র জানায়, বিচ্ছিন্ন থাকার ২৭-২৮ বছর পর সম্প্রতি ঘরে ফিরে আসেন হাসান। বাঁশখালীতে তার কিছু পৈতৃক সম্পদ আছে। ফেরার পর স্ত্রী-সন্তানেরা সম্পদগুলো তাদের নামে লিখে দিতে হাসানকে চাপ দিচ্ছিলেন। তবে হাসান তাদের কথা শোনেননি। এ কারণেই মূলত হত্যার শিকার হতে হলো তাকে। স্ত্রী ও বড় ছেলেকে আটক করা হলেও পালিয়ে গেছেন ছোট ছেলে ও তার স্ত্রী। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পিবিআই।

;

মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধ বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদানে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধের কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক একটি কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার পর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা সময়ে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধকে খুব ভালো বলে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, আমি মনে করি, এটা খুব ভালো। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে তাদেরকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সরকার পক্ষ থেকে আমরা সবসময় বলেছি, গতকাল প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে তার বক্তব্যেও এটা বলেছেন। তারা নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও তাই চাই। আমরা তো বাধা দিতে চাই না। যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা স্যাংশন হবে।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শুধু বাধা না, সহিংসতার কথাও বলেছে। আপনারা জানেন, প্রধান বিরোধী দল, তারা প্রকাশ্যে বলছে যে ‘আমরা নির্বাচন হইতে দিব না।’ গতকালও বলেছে যে, শেখ হাসিনার অধীন নির্বাচন হইতে দিব না। কেমনে হইতে দিবেন না? একটাই পথ, ভায়োলেন্স করে বাধা দিবেন। আমি মনে করি, যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিবে। এটা খুবই ভালো। ডোনাল্ড লু যে ইন্টারভিউ দিয়েছেন সেখানে বলেছেন, বিরোধী দল, ক্ষমতাসীন দল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য— যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধেই নেবে

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলে দিয়েছে যে, স্যাংশন আসছে, সেটা বিরোধীদল, সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সুতরাং সবাই তালিকায় থাকছে। দেখা যাক, কাদের নাম আসে!

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি পর্যবেক্ষক না পাঠায় তাহলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌মোটেও না। পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা, সেটা তো তাদের ব্যাপার। আমার ইলেকশন আমি সংবিধান অনুযায়ী করবো।

;

এক কেজি ইলিশের দামে দুই কেজি গরু!



মোঃ আব্দুল হাকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বিভাগীয় শহরের অন্যতম মাছ বিক্রয় কেন্দ্র নগরীর সাহেববাজার। এ বাজারে এখন এক কেজি ইলিশের মূল্য ১৭৫০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭৫০ টাকায়। সে হিসেবে এক ইলিশের দামে দুই কেজিরও বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাবে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায় নিরবতা। আগের মতো সরগরম নেই। মাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ী কিছু ইলিশসহ অন্যান্য জাতের মাছ বিক্রি করছেন। বিক্রির জন্য নেই আগের মত হাঁকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেক ব্যবসায়ী আর শ্রমিকরা অবসরে বসে আছেন, আবার কেউ আড়তেই ঘুমাচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নদীতে মাছের পরিমাণ কমে গেছে। জেলেদের জালে মাছ আটকা পড়ছে না। সারাদিন নদীতে মাছ শিকার করে অল্প পরিমাণে নিয়ে আড়তে ফিরছেন জেলেরা। ইলিশের পরিমাণ একেবারেই কমে গেছে। দু-একটি ধরা পড়লেও তা সাইজে খুবই ছোট। একারণেই মূলত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে কয়েকজন যুবক ইলিশ কিনতে এসেছেন। দরদাম করছেন। কিন্তু তাদের বাজেটের মধ্যে না হওয়ায় কিনতে পারছেন না। আড়ত ঘুরে ঘুরে দেখছেন। প্রায় প্রত্যেক আড়তেই ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।

নগরীর উপশহর এলাকা থেকে বাজার করতে এসছেন আব্দুল আজিজ মিয়া। তিনি বলেন, গরু খাবো নাকি ইলিশ, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। এক কেজি ইলিশের বিনিময়ে দুই কেজির বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে ইলিশ না খেয়ে গরু খাওয়া তো অনেক ভালো।


রাজশাহী শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ প্রতিকেজি ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় কেজি প্র্রতি ২০০ থেকে ৩০০ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ইলিশ মাছ নয়; ছোট বড় প্রায় সব মাছ কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা মাছ বিক্রি ১৩০০ টাকা, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে, রুই ৪০০ টাকা, চিংড়ি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছে দাম বাড়লেও মাংসের বাজার রয়েছে স্বাভাবিক। গরুর মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। আর খাসির মাংশ ১২০০ টাকা করে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগী ১৮০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা।

রাজশাহীর সাহেব বাজারের মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, গত এক বছর ধরে গরুর মাংস সাতশত থেকে আটশো টাকার মাঝেই আছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি মাংসের বাজার স্বাভাবিক রাখার। যাতে করে, নিম্ন থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মাংস খেতেও কিনতে পারে।

;

‘বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশ থেকে যদি কোনো প্রচেষ্টা নেওয়া হয় দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না বলে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের কোনো পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, যদি কোন কারণে নির্বাচন বানচালের কোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন, বিরোধী দলসহ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এটা ভালো হবে কারণ, বিএনপি জোট ২০১৩-১৪ সালের মতো নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে কোনো অগ্নিসংযোগ করতে পারবে না।

সরকারপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, যে দেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা উভয় পক্ষ থেকে বা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ কারো শক্তির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসেনি। আমি জনগণের শক্তি এবং তাদের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তারা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দেবে বা দেবে না তা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। তা সত্বেও সরকার প্রধান হিসেবে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড স্থগিত করে বাড়িতে থাকার এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তার সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) এর আওতা থেকে বের করে এনে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রথম আইন প্রণয়ণের পাশাপাশি তাদের সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে কারচুপির জন্য ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে উপনির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অসংখ্য নির্বাচন করেছে যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদেরকে সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। যারা বিশৃঙ্খলা বা দেশের সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায় তাদের ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেন।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি থাকলে বাংলাদেশ বিশাল উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারতো না। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার শুধু মেগা প্রকল্পই তৈরি করেনি, উন্নয়নকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।

সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না। তিনি বলেন, কিছু লোক আছে যারা দেশের কল্যাণ চায় না। প্রবাসীরা সচেতন থাকলে এই স্বার্থান্বেষী মহল সফল হতে পারবে না।

;