‘কাপ্তাই হ্রদ পাহাড়ের মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়নের ধারক-বাহক’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্প-জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও বেকার হয়ে পড়া জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বিএফডিসি’র ঘাটে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র আয়োজনে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।

মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শি পরিকল্পনায় এবং বর্তমান সরকারের সুদক্ষ পরিচালনায় কাপ্তাই হ্রদ এখন পাহাড়ের মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়নের মূল ধারকবাহকে পরিণত হয়েছে। এই হ্রদের মাধ্যমেই জীবন জীবিকা নির্বাহে জড়িয়ে আছে লাখো মানুষ। কাপ্তাই হ্রদ এখন দেশের অন্যতম মৎস্য ভান্ডার। যার মাধ্যমেই দেশের আমিষের চাহিদার বিরাট একটি অংশ পূরণ হচ্ছে।

কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ ও মাছের বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময় মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। যাতে করে এই হ্রদের উপর নির্ভরশীল আপনারা পরবর্তী সময়ে অধিক মাছ পেতে পারেন। তাছাড়া বন্ধকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়া জেলেদের মাঝেও খাদ্যশস্য উপহার দেওয়া হয়। তাই বন্ধকালীন সময়ে যাতে কোনো প্রকার মাছ শিকার করা না হয়, সেজন্য আপনাদের সচেতন থাকতে হবে।

কাপ্তাই হ্রদের মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিএফডিসি নিজস্ব হ্যাচারিতে উৎপাদিত ৭০ মেট্রিক টনের অধিক মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করা হবে। পাশাপাশি যেসব কার্প জাতীয় মাছ হ্রদ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব মাছের পোনা বেশি অবমুক্ত করার কথা জানান সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠান শেষে বেলুন উড়িয়ে কাপ্তাই হ্রদে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎসবীজীদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়।

এদিকে, কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধে সরকারী নির্দেশনার প্রায় একমাস পর চলতি মৌসূমে বৃহস্পতিবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম কিস্তি মাছের পোনা হ্রদে অবমুক্ত কার্যক্রম শুরু করল বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ। চলতি নিয়মানুসারে এই পোনা মাছগুলো আগামী দুই মাসের মধ্যে কতটুকু বৃদ্ধি হবে এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে ভিজিএফ কার্ডের ২৫ হাজার জেলে পরিবারকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম নৌ-পুলিশ সুপার আ.ফ ম. নিজাম উদ্দিন, রাঙামাটি বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:শাহনেওয়াজ রাজু প্রমুখ।

আজ বাজারে আসছে রংপুরের ‘হাঁড়িভাঙা আম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের খ্যাতি ছড়ানো অতি সুমিষ্ট আঁশহীন হাঁড়িভাঙা আম নির্দিষ্ট সময়ের ১০ দিন আগেই বাজারে আসছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি কারণে ২০ জুনের পরিবর্তে আজ শনিবার (১০ জুন) গাছ থেকে আম পারা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

রংপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ৭ জুন এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে। আম চাষিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, পদাগঞ্জ থেকে হাঁড়িভাঙা আম চাষিরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তাতে তারা দাবি করেছিলেন হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাতে ২০ জুনের পরিবর্তে ১০ জুন করা। কারণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আম পাকা শুরু হয়েছে, আম পরিপুষ্ট হয়েছে। তবে আমের সাইজও ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আম বাগানে রাখা যাচ্ছে না। সে কারণে সরকার নির্ধারিত ২০ জুন যদি আম বাজারজাত শুরু হয়, তাহলে অনেক আম বাগানেই পেকে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আম চাষি, বাগানি ও ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বে। ফলে তারা তারিখ এগিয়ে আনার দাবি জানান।

জেলা প্রশাসক জানান, স্মারকলিপি পাওয়ার পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তাদের প্রকাশ করা প্রতিবেদনের আলোকে ২০ জুনের পরিবর্তে এবার হাঁড়িভাঙা আম ১০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করা হবে। আবহাওয়ার কারণেই মূলত আগেই হাঁড়িভাঙা আম এবার পেকেছে এ কারণে এই সিদ্ধান্ত।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

কৃষি বিভাগ জানায়, হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করে অর্থনৈতিক খাতে যুক্ত হবে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আখিরাহাট, পদগঞ্জ, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গাপোলপুর, লাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর নগরের বড়বাড়ী, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউপিরকাটাবাড়ি এলাকায় প্রায় তিন হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে সব জাতের আমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে হাঁড়িভাঙা আম।

জেলায় আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আম।

;

পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৯ জুন) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের সাড়ে নয় মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের হাগুড়া গছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শেখ ফরিদ (২৪) ও একই এলাকার জনাব আলীর ছেলে শরিফুল (২৫)।

জানা যায়, রোববার রাতে শেখ ফরিদ পঞ্চগড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে শরিফুলকে মোটরসাকেল করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। একসময় সাড়ে ৯ মাইল এলাকায় মহাসড়কে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা রাস্তার ওপর মোটরসাকেলসহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্ত করা হয়।

;

জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিল ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে জামায়াতে ইসলামীকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো লিখিত কোনো অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি।

এর আগে, শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে এক অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পাবে কি না সে সিদ্ধান্ত শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার সকালের মধ্যে জানাবে ডিএমপি।

জামায়াতের সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন, জামায়াতের অতীত ইতিহাস রয়েছে। তারা পুলিশের ওপর নানা নির্যাতন করেছে। বিভিন্ন বোমা হামলার ঘটনায় তাদের নাম এসেছে। দীর্ঘদিন তারা প্রকাশ্যে আসেনি। এখন তারা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করতে চায়।’

গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াত সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করেছে। তারা শনিবার বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করতে চায়। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য চেয়েছি জামায়াত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে কি না। আমরা তথ্য পেয়েছি।

উল্লেখ্য, মাঠের রাজনীতিতে আবারও সরব হতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এর অংশ হিসেবে ১০ জুন সমাবেশ করতে চায় দলটি।

;

অশান্তি তৈরি করলে রাজপথে জবাব: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শান্তি বিনষ্ট করে অশান্তি তৈরি করলে রাজপথে জবাব দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইকুরিয়া বেপারী পাড়া এলাকায় একটি সড়কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মো. ইকবাল হোসেন, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি মো. সাকুর হাসেন সাক প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আগামী নির্বাচনে সবাইকে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের পাড়া-মহল্লায় এখন থেকে কাজ করার আহবান জানান। হারিকেন নিয়ে সড়কে মিছিলকারী বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, মুসলিম লীগের চেতনা আর পাকিস্তানের চেতনা নিয়ে তামাশা চলবে না। হারিকেন ছিল মুসলিম লীগের প্রতীক।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের আমলে ১৪টি বছর কেরানীগঞ্জের মানুষ অন্ধকারে ছিল। এখন কেরানীগঞ্জ নয় সারা বাংলাদেশের মানুষ আলোকিত। দেশের প্রতিটি গ্রামে আজ আলো পৌঁছে গেছে।

;