মিয়ানমারে ফিরলেই রোহিঙ্গারা সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন ও ভবিষ্যৎ কেবল তাদের দেশেই নিশ্চিত করা যায় এবং মিয়ানমারে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াই তাদের জন্য ভালো।

সোমবার (২৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ কেবল মিয়ানমারেই সম্ভব, বাংলাদেশে নয়। আত্মবিশ্বাস তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই ভালো। মোমেন বলেন, মিডিয়া যে ইস্যুগুলো তুলেছে তা নয়, চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা করতে।

চীনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (চীনা উপমন্ত্রী) সেই বিষয়টির কাছাকাছিও ছিলেন না। মোমেন বলেন, চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করছে।

রোববার বাংলাদেশ ও চীন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের চলমান প্রচেষ্টার পর্যালোচনা করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ‘আন্তরিক প্রচেষ্টা’ করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

রোহিঙ্গারা কবে থেকে মিয়ানমারে ফিরতে শুরু করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এবং চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং উভয়েই একই মত প্রকাশ করেছেন যে সমস্যাটির একটি জরুরি সমাধান প্রয়োজন, কারণ যদি আর কোনো সমাধান না করা হয় তবে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বাস্তব হুমকি হিসেবে বিকশিত হতে পারে।

মোমেন বলেন, ত্রিপক্ষীয় প্রচেষ্টা রয়েছে। আমাদের অগ্রাধিকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দেখা। তিনি বলেন, অনেক রোহিঙ্গা ফিরে যেতে ইচ্ছুক এবং কিছু রোহিঙ্গা নাগরিকত্বের মতো সমস্যা উত্থাপন করেছে।

রোববার ড. মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মোমেন বলেন, চীনের ভাইস মিনিস্টার পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশ গত ১০ বছরে এমন কিছু সম্ভব করেছে যা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, চীনের উপমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালেও ঢাকা জানিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী ওই সময় নিউইয়র্কে থাকবেন।