তারাকান্দায় আ.লীগ–বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের মোট ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জনতা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছে- তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন হামলা করেছে। ওই সময় গুলি ও ককটেলে অন্তত ৫ জন আহত হয়। অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বলেন, আমার নেতাকর্মীরা বাচনিক কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও নাইট শুটারগান দিয়ে আমাকে মারার জন্য হামলা করে। এসয়ম অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ধরনের হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বাসার সামনে আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীদেরও খোঁজ নিতে পারছিনা।

তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ফজলুল হক দাবি করেন, তারাকান্দা উত্তর বাজার থেকে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে সেই মিছিলে অতর্কিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে হামলা করে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। এসময় তার অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ফলাফল যা হবে তাই মেনে নেব এভাবেই নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য হামলার অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে এমন তথ্য আছে আমাদের কাছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে সত্য কিন্তু গুলির বিষয়টি যাচাই করতে হবে।

   

লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের আর্তি: ‘আমরা জানটা ভিক্ষা চাচ্ছি’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমরা নয় প্রবাসী বর্তমানে লিবিয়াতে আছি। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে আমরা এখানে এসেছি। কিন্তু এখানে কোনো কাজ নেই। ফলে আমরা খুব অভাব আর নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাদের দেওয়ার মতো এখন আর কিছু নেই। আমরা তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জানটা ভিক্ষা চাচ্ছি। যেভাবে হোক আমাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।’

দালালের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে গিয়ে লিবিয়ায় আটকে পড়াদের একজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ করিম তাঁর পরিবারের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এই আর্তি জানিয়েছেন। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে করিমের সঙ্গে লিবিয়ায় আটকে পড়া আরও আটজনকেও দেখা যায়। সেই দলের মাঝখানে বসে করিম জানান, তাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা। করিমের সেই ভিডিওবার্তা পেয়ে চোখ ভিজে যাচ্ছে নয় প্রবাসীর স্বজনদের। তারা ভিডিওটি নিয়ে প্রশাসনের কাছে দৌঁড়াচ্ছেন ভাই কিংবা ছেলেকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার আবেদন নিয়ে।

করিমের সঙ্গে আটকে পড়া বাকি আটজনও বাঁশখালীর বাসিন্দা। তারা হলেন গন্ডামারা ইউনিয়নের রুকনুল ইসলাম, মো. মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ কাউছার মিয়া, আজগর হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আশেক ও তার ভাই ইব্রাহিম খলিল এবং বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদীর আইয়ুব আলী।

লিবিয়ায় আটকে পড়া নয় যুবকদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে ৮ থেকে ১ বছর আগে দালালেরা তাদের নিয়ে যান। কিন্তু ইউরোপ না নিয়ে তাদের লিবিয়ার বেনগাজিতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানে গিয়ে তাদের কোনো কাজ দেয়া হয়নি। জঙ্গলে আটকে রেখে উল্টো আরও টাকার জন্য নির্যাতন করা হয়। সেসব শোনার পর অসহায় পরিবারগুলো জমি বিক্রি আর ধারদেনা করে টাকা পাঠিয়ে দালালের হাতে তুলে দেয়। নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক সহযোগিতা ও সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। এরপর ইউএনও উদ্যোগ নিলে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস ওই নয় প্রবাসীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে।

ছেলের ভিডিও পাওয়ার পর ঘুমাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন লিবিয়ায় আটকে পড়া মোহাম্মদ করিমের বাবা আবু আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেসহ নয়জন কি যে কষ্টে আছে তা ভিডিওবার্তা দেখার পর অনুভব করতে পারছি। তাদের কষ্টের কথা শোনার পর থেকে ঘুম আর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের। এত কষ্ট করে, জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠালাম এত কষ্ট পাওয়ার জন্য? আমি সরকারের কাছে শুধু একটাই আবেদন করছি-আমার ছেলেসহ সবাইকে একটু দয়া করে মা-বাবার বুকে ফিরিয়ে দিন।’

লিবিয়ায় আটকে পড়া দুই ভাই মোহাম্মদ আশেক ও ইব্রাহিম খলিলের মা সুনিয়া বেগম। স্বামী অলি আহমদ মারা গেছেন আগেই। এখন দুই ছেলের কষ্টের কথা শুনে শয্যাশায়ী বৃদ্ধা সুনিয়া। ছেলেদের কথা জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় গলা বুজে আসে সুনিয়ার। অস্ফুট স্বরে বলতে থাকেন, ‘আমার দুই ছেলেকে দেখে মরতে চাই। আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই।’ 

ভিডিও বার্তা দেখার পর গিয়াস উদ্দিনের বাবা আবদুল মজিদের অবস্থাও একই। অসহায় এই বাবা শুধু বললেন, ‘যদি টাকা থাকত, আমি নিজেই ছেলেকে নিয়ে আসতে লিবিয়া উড়ে যেতাম। কিন্তু আমার তো অত টাকা নেই।’

পুরো ভিডিওতেই মোহাম্মদ করিম একাই কথা বলেছেন। তাঁর দুই পাশে বাকি ৮জন দুঃখমাখা চেহেরায় নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

করিম এক নাগাড়ে তুলে ধরেন নির্যাতনের চিত্র, তুলে ধরেন এখন কেমন আছেন তা-ও। বলেন, ‘আমাদের মা বাবারা খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। আমাদের যেসব জমি ছিল, সব বিক্রির পরেও আমরা এখান থেকে যেতে পারছি না। আমাদের দুবার আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একেকজন থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা করে আদায় করেছে দালালেরা। এখন আমাদের দেওয়ার মতোও আর কিছু নেই।’

আটকে পড়া লিবিয়ারা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি সাহায্য চান স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। আর বর্তমানে তাঁদের নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আটকে পড়া নয় বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আলাপ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, দূতাবাসকে নয় বাংলাদেশী দালালের হাতে আটক থাকার বিষয়টি জানাই। এরপর দূতাবাসের উদ্যোগে তাঁদের দালালদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের ভিসা-পাসপোর্ট কিছু না থাকায় এখন কীভাবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে। পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওবার্তাটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’

;

বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার্ন ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফ। বগুড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কর্মরত শতাধিক ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টবর) সকাল ১০ টায় ব্যানার ও পোস্টার হাতে হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এ ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিধিমালা থাকলেও কোনো ইন্টার্ন স্যালারি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া  ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফদের কোনো হোস্টেলের সুবিধাও নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বাড়ি ভাড়াসহ প্রত্যেক ইন্টার্নের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশীপ করা অবস্থায় বাড়ি থেকে টাকা এনে সেই খরচ চালাতে হচ্ছে। ইন্টার্ন স্যালারি বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সকল ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফ অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশন (বিডিআইএনএ) বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সরকার বলেন, ‘সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে তারা বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা ও সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারা কোনো ইন্টার্ন ভাতা পাচ্ছেন না। লগবুকে ইন্টার্ন স্যালারির উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কোনো ইন্টার্ন স্যালারি দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’

এবিষয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন বলেন, তার হাসপাতালে যারা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে কাজ করেন তারা কর্মবিরতি শুরু করলে হাসপাতালের কাজে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে অব্যাহতভাবে যেকোনো ধরণের সভা-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করলে সেবাদান কাজে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের দাবির বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের বিবেচনার বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

;

বরিশালে দুই পুত্রবধুর হাতে শাশুড়ি খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম,বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক কলহের জেরে পুত্রবধুদের হাতে বৃদ্ধা শাশুড়ি হেরোনা বেগমকে (৬৩) খুনের অভিযোগ ওঠেছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই পুত্রবধু, ছেলে ও নিহতের স্বামী হায়দার প্যাদাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে জেলার গৌরনদী উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই তার বোন হেরোনা বেগমকে সৌদি প্রবাসী ভাগ্নের স্ত্রী রাখি বেগম, ছোট ভাগ্নে সুমন প্যাদা ও তার স্ত্রী তুলি বেগম শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। গত পাঁচদিন আগেও তার বৃদ্ধা বোনকে মারধর করে পুত্রবধুরা। সোমবার আমার বোনের মেয়েরা তাদের বৃদ্ধা মাকে (হেরোনা) দেখতে বাবার বাড়ি চর দিয়াশুর আসলে পুত্রবধুরা বৃদ্ধা হেরোনা ও তার মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায় হেরোনার মেয়েরা। এ নিয়ে ওইদিন রাতে পুত্রবধুদের সাথে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাশুরি হেরোনা বেগমের মাথায় সীল পাটার পূতো দিয়ে আঘাত করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগ করে নিহতের ভাই আরও বলেন, হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি বাথরুমে লাশের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাটু ভাজ করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

ঘটনার পর হেরেনা আত্মহত্যা করেছে বলে আমার ভাগ্নে (নিহতের ছোট ছেলে) সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন। একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুত্রবধু রাখি বেগম, তুলি বেগম, পুত্র সুমন প্যাদা ও স্বামী হায়দার প্যাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারমিন সুলতানা রাখী জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।

;

রংপুরে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু

রংপুরে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় শনাক্ত হয়েছেন ৪৯ জন। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বর্তমানে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালসহ বাসায় ১২৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ১৪, গাইবান্ধায় ১২, কুড়িগ্রামে ৫, নীলফামারীতে ২, লালমনিরহাটে ৪, দিনাজপুরে ১০ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ২ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আরও ৫২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ডেঙ্গুতে রংপুর ও গাইবান্ধায় বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে রোগীর খুব বেশি চাপ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছে তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।’

;