প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে সুবিধাভোগী আশ্রয়হীনদের জীবন। তারা মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছে।

গফরগাঁও উপজেলার গাভীশিমূল গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী সুফিয়া আক্তার (৪০) বলেন, "আমার এক পুত আর দুই ছেরি লইয়া মাইনসের জায়গাত ঘর বাইন্ধা থাকতাম। নিজের ঘর নাই দেইক্কা বড় ছেরিডার বিয়া খালি ভাইঙ্গা যাইতো। শেখ হাসিনা আমগরে এইহানো ঠাই দিছে। হের পরে ছেরি ডারে বুঝমতো বিয়া দিতারছি।"

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচভাগ ইউনিয়নের গাভীশিমুল গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫২ টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরে আশ্রয় মিলে সুফিয়ার পরিবারের।

সুফিয়ার তাঁর স্বামী ওয়াকিল মিয়ার সাথে পরের জমিতে ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বহু কষ্ট করে থাকতো। প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকেও বিয়ে দিতে পারছিলেন না। ঘর ছিলো না বলে মেয়ের জন্য ভালো কোন প্রস্তাব আসছিল না । সরকারের ঘর পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো। বড় মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারলেন। সরকারের দেওয়া ঘরে আশ্রয় পেয়ে সুফিয়া পরিবারের আয়েও ভূমিকা রাখতে শুরু করে। আশ্রয়ণের ঘরের পাশে একটি একচালা ঘরে গরু পালন শুরু করে। একটি গাভীর দুধ বিক্রি করে সে দৈনিক ১৬০ টাকা আয় করে এখন পরিবারের আয়ে ভূমিকা রাখছে।

অটোরিকশা চালক ফারজুল ইসলামের স্ত্রী হনুফা সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পেয়েছে। সেলাইয়ের কাজ করে আয় করে এখন পরিবারের ভূমিকা রাখছে। সে দক্ষ কারিগর বলে বাহির থেকেও তাঁর কাছে সেলাইয়ের কাজ আসে। এরকম আরও ৬ জন মহিলা সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পেয়েছে যা দিয়ে আয় করে পরিবারে ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুই শতাংশ জমির ওপর স্বপ্নের পাকা ঘরে ঠাঁই হয় ভূমীহীন সমলা খাতুন ও তার স্বামী কাজলের । স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে মিলে ৩ টি গরু পালন করে জীবন পাল্টে ফেলেছে। তাদের ঘরে যেতেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রধানমন্ত্রীর বড় একটা ছবি দেয়ালে ঝুলছে । শুধু তাই নয় ঘরের বাহিরের দেয়ালে চিত্রিত করেছে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

সমলা খাতুন বলেন," হাসিনা যে ঘর দিছে এটাতে যে হুততারি এটাই তো বড়। যে নেত্রী ঘর দিয়েছে তার ছবি থাকবে না। তাঁর নুন খাই তার গুন গাই"।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, 'আমাদের প্রিয় নেতা সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের পরামর্শে আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত উপকারভোগীদের আমরা ঘর দিয়েছি।'

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফামহী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, 'আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেশ ও জন কল্যাণমুখী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন স্বাধীনতা দিয়েছেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় দিয়েছেন। তেমনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পাশাপাশি লাখো অসহায় নিরাশ্রয় পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দরকার।'