অর্পিত সম্পত্তির সব মামলা চলবে ট্রাইব্যুনালে: হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্পিত সম্পত্তি আইনের তিনটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা এখন থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। অন্য কোনো আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলবে না।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালত রায়ে বলেন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৯, ১৩ এবং ১৪ ধারা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নয়। অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন।

১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সময় যারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যায়, তাদের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। পরে সেসব সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়।

২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে আইন প্রণয়ন করে সরকার যা ২০০২ সালে কার্যকর হয়। সরকারের এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেওয়া। কিন্তু এর আগেই অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে লাখ লাখ মামলা হয়।

গেজেট হওয়ার আগেই ২০১২ সালে চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তি তাদের অর্পিত সম্পত্তি বিচারাধীন ছিল দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারে কি না, তা নিয়েও একটি রিট দায়ের করা হয়। তবে এ রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের আগে হওয়া অর্পিত সম্পত্তির লাখ লাখ মামলা বাতিল করে দেন। ফলে বলবৎ হয় ২০১২ সালের আইনটি।

   

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের যেখানেই প্রাইভেট কারের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে সেখানেই যানজট, সময় অপচয়, জ্বালানী অপচয়ের মত সমস্যাগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০২৩ উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমরা নীতিনির্ধারকদের কাছে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং হাঁটা, সাইকেল, গণপরিবহনবান্ধব নগর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিতের গুরুত্ব তুলে ধরতে চাই।

আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ২৭ এর মোড় থেকে আবাহনী খেলার মাঠ পর্যন্ত আয়োজিত “স্বল্প দূরত্বে হেঁটে ও সাইকেলে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ি পরিহার করি” শীর্ষক র‌্যালিতে বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে প্রায় ৪০০০ শহরে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও ২০০৬ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস আয়োজক সংস্থাসমূহের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত র‌্যালীতে রায়েরবাজার এলাকার শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ দুই শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট- এর সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মিঠুনের সঞ্চালনায় আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন। র‌্যালীর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী। আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক আদিল মোহাম্মদ খান, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মান্নান মনির, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেনসহ আরো অনেকে।

শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে সৃষ্ট সমস্যা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। গাড়িকেন্দ্রিক নগর যাতায়াত পরিকল্পনার কারণে গাড়ির সংখ্যা যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি ট্রাফিক জ্যামও বেড়েছে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গৃহীত হবে।

হাফিজুর রহমান ময়না বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বাংলাদেশে 'কার ফ্রি ডে' অনেক বছর ধরে উদযাপন করা হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কোন টেকসই উদ্যোগ বা দিবসটি জাতীয় পর্যায় থেকে পালনের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। এ বিষয়ে ডিটিসিএ, সিটি কর্পোরেশন, সড়ক পরিবহন বিভাগ-কে আরো সচেষ্ট হতে হবে।

হেলাল আহমেদ বলেন, যাতায়াত পরিকল্পনায় যান্ত্রিক যানবাহন যেভাবে প্রাধান্য পায় সেভাবে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াত প্রাধান্য পায় না। অনেকে আবার পথচারী ও সাইক্লিস্টদের যান্ত্রিক যান চলাচলের ক্ষেত্রে বাধা বলে মনে করেন। পথচারী ও সাইকেলবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।

আলমগীর কবীর বলেন, ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের প্রভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৮৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। দেশে বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ এবং যান্ত্রিক যানের নিয়ন্ত্রণহীন সংখ্যা বৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে আমাদের কর্তব্য ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ। আজকের এ আয়োজনের মাধ্যমে এ বার্তাই আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ধারণ ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ব্যক্তিগত গাড়ি ঢাকা শহরে রয়েছে। ফলে যানজট, দূষণসহ বিভিন্ন সমস্যাও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলেছে। যথাযথ নগর পরিবহন পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যক্তিগত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। সেই সাথে পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গাড়িমুক্ত রাস্তা তৈরি করা প্রয়োজন।

গাউস পিয়ারী বলেন, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় ১৩,৮৬৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১০ শতাংশ রাস্তা ২০ ফুটের বেশি চওড়া। অপ্রশস্ত সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল সময় নিয়ন্ত্রিত করা বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, এবং সপ্তাহে একদিন সমগ্র শহর ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
আবু নাসের খান বলেন, ঢাকা শহরে ৫-৭ শতাংশ মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। তাতেই যানজট এমন অবস্থা ধারণ করেছে যে গাড়ির গতি হাঁটার গড় গতির নিচে নেমে গেছে। ঢাকার বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বাস সার্ভিস উন্নয়ন এবং হেঁটে যাতায়াতের সুষ্ঠুু পরিবেশ নিশ্চিতের বিকল্প নেই।

;

ছেলের নির্যাতনে বাড়ি ছাড়া মা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামীহারা ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা নূর জাহান বেগম। জীবনের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে সন্তানদের লালন-পালন করে বড় করেছেন। অথচ জীবন সায়াহ্নে এসে ঠাঁই হলো না সেই সন্তানের কাছে।

এমনকি নিজের নামে যে জায়গা ছিল সেটিও কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠার অভিযোগ উঠেছে ছেলে শফিউল আলমের (২৫) বিরুদ্ধে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধা নূরজাহান সন্তানের ভয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন গাছ তলায়।

জানা যায়, বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের জে.এম ঘাট এলাকায় দুই মেয়ে আর দুই ছেলে নিয়ে ৫০ বছরের সংসার ছিল বৃদ্ধা নূর জাহানের। গত তিন বছর আগে স্বামী নজির আহমেদ মারা যাবার আগে সন্তানদের সম্পত্তির ভাগ বন্টন করে দিয়ে গেছেন । যেখানে স্ত্রী নূর জাহানের নামে দেওয়া হয় জমির কিছু অংশ। তবে সম্প্রতি নূর জাহানের সে জায়গা নিজের নামে করে নিতে ছেলে শফিউল আলম কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন নূর জাহান বেগম। এছাড়া তাকে করা হয় বাড়িছাড়া।

এ বিষয়ে শফিউল আলমের কাছ থেকে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আবদুল খালেক জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়ে কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী বৃদ্ধা নূর জাহানের পাওনা ২৪ কড়া জায়গা দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরও বিষয়টি আবারও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা বলেন, এ বিষয়ে অবগত না, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ উজরা জেয়ার



বাসস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চান বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উজরা জেয়া বলেছেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চান।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরাও চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন, বলেন তিনি।

এসময় মোমেন বলেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। ভোট কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় এলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমরা আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা।

বৈঠকে তারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন।

উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি (জেয়া) রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেন।

মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো শুরু করার আগে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত অন্যথায় এই অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে কারণ রোহিঙ্গারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত পড়েছে।

শেখ হাসিনা গাম্বিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক সমর্থনও চেয়েছেন।

;

গ্রামের নাম ‘ভন্ডগ্রাম’, পরিবর্তন চান এলাকাবাসী



রবিউল এহ্সান রিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামটির নাম ভন্ডগ্রাম। এ নামেই রয়েছে স্কুল,হাট-বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। নিজের গ্রামের নাম বললেই হাসিঠাট্টা, কটাক্ষ ও বিদ্রুপের শিকার হতে হয় গ্রামবাসীকে৷ এমন কটাক্ষ থেকে বাদ পড়েনা স্কুলের শিক্ষার্থীরাও৷ গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর৷

নাম দিয়ে নয়, কাজে আসল পরিচয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে নামেও অনেক কিছুর অর্থ বহন করে। এমন একটি নামের অর্থে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত, বিবাহবন্ধন কিংবা সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে নামটি বললেই নানা বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়৷ এমনি একটি গ্রামের নাম ভন্ডগ্রাম।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের একটি গ্রামের নাম ভন্ডগ্রাম। গ্রামটিতে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, সুজলা-সুফলা ফসলে মাঠ আর চারপাশ সবুজের সমারোহ। সকাল বেলা গবাদিপশু সহ কৃষক-কৃষাণীর মাঠে বেড়িয়ে যাওয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া, তপ্ত দুপুরে বয়ে যাওয়া ছোট নদীতে কিশোরদের গোসল আর বিকালে গ্রামে বসা হাটে চলে কেনা-বেচা।একটি আদর্শ গ্রামের যা বৈশিষ্ট্য তার সবকিছুর যেন উদাহরণ গ্রামটি৷


তবে গ্রামটির নাম নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। নিজের নাম বা পেশার পরে গ্রামের নাম বললেই কটাক্ষ আর উপহাসের সম্মুখীন হতে হয় এলাকাবাসীকে৷ গ্রামের নাম বললেই ‘ভন্ড’ বলে সম্বোধন করে বসেন অনেকে। যদিও কি কারণে এর নাম ভন্ডগ্রাম হল তা জানেননা এলাকার কেউই৷ গ্রামের এমন নাম প্রভাব ফেলছে পড়াশোনা, চাকরি, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে। নামটি বদলে দিয়ে নতুন কোন নাম হলে এমন বিড়ম্বনা থেকে বাঁচবে এলাকার মানুষ।

পড়াশোনা ও চাকরি ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় দিলে উপহাস করেন সহপাঠী আর সহকর্মীরা। নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম শুনলেই দৃষ্টিকটু চোখে সম্বোধন করেন সকলে। আর এর প্রভাব ফেলে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার ক্ষেত্রে। তাই স্কুল ও গ্রামের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়ার আহবান স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

বিপাকে পড়তে হয় নিজের জন্মস্থানের নাম বলতে। অনেকের ধারণা বিট্রিশ আমলের আগে থেকে এ নাম হয়ে আসছে। এখন গ্রামের নামে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামের সকল মানুষকে। নামটি বদলে গেলে জন্মস্থানের পরিচয় দিতে সম্মানিত বোধ হবে বলে জানান এলাকার মানুষ।


রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, ভন্ডগ্রাম নামটিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে গ্রামটিতে৷ দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় গুলোর নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনে কাজ করছে জেলা প্রশাসন৷ যদিও এটি জটিল প্রক্রিয়া তবে গ্রামের নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;