গোপনীয় নথি মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরেও গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়নি। ফলে নজির সৃষ্টি করলেন ট্রাম্প।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ফ্লোরিডায় গোপনীয় নথি রাখার দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমার অ্যাটর্নিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বাইডেন সরকার জানিয়েছে, আমি অভিযুক্ত। নথিভর্তি বাক্স নিয়ে ধাপ্পাবাজির (সর্বশেষ) পরিণতি এটি।’
মার্কিন ন্যায় ও বিচার বিভাগ অবশ্য এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে মঙ্গলবার মিয়ামির আদালতে ডাকা হয়েছিল। আমি জানিয়েছি, আমি নির্দোষ।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, সাতটি কারণে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরেও গোপনীয় নথি ব্যবহারের অভিযোগ যেমন আছে, তেমনই তদন্তে বাধা দেওয়ার বিষয়টিও আছে। এছাড়া তথ্য গোপন করা, মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া নিয়েও অভিযুক্ত হয়েছেন এই সাবেক প্রেসিডেন্ট।
অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি আর প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান। তবে এ নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা একমত হতে পারেননি।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল সেন্টারের অধ্যাপক ডেভিড সুপার সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) বহুবার অভিযুক্ত হতে পারেন। এর জন্য তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়া আটকাবে না। যদি দোষী প্রমাণিত হন, তা-ও তিনি লড়তে পারবেন।’
আবার কতিপয় বিশেষজ্ঞের মতে, দোযী প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের পক্ষে প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব হবে না।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কখনও ভাবতে পারিনি, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের এরকম অভিজ্ঞতা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কালো দিন। আমরা অধঃপাতে যাচ্ছি। আমার সবাই মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান করব।’
গত বছর ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিসোর্ট থেকে ১১ হাজার নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরমধ্যে ১০০ নথিতে গোপনীয় লেখা ছিল। গত সপ্তাহে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকারীরা ট্রাম্পের অডিও রেকর্ডিং পেয়েছেন, যেখানে সাবেক প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন, তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরেও গোপনীয় নথি নিজের কাছে রেখেছিলেন।