কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তাসহ ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদীর।
ইতিমধ্যে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে জেলার নদ-নদীর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চগুলো। তলিয়ে গেছে আমন আবাদসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি স্তরে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি দেখে এখানকার মানুষেরা অনেক দুঃশ্চিতায় আছে। তাছাড়াও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের বারোমাসেই কষ্ট।
ধরলা নদীর অববাহিকার চর সিতাইঝাড় এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, আবার ধরলা নদীর পানি বাড়ার কারণে বাড়ির চারিদিকে পানি চলে আসছে।
এভাবে যদি আরও ২-৩ দিন পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, পানি নেমে গেলে সবঠিক হয়ে যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিও। আশা করা হচ্ছে ২-৩ দিনের মধ্যে নদ নদীর পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।