চট্টগ্রামে ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে মারল ছেলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বকাঝকা করায় ঘুমন্ত অবস্থায় মো. বাদশা (৬৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে এনামুল (২২)।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে উপজেলান পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পুর্ব-পুইঁছড়ি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. বাদশা সাওদাগর ওই এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় শাহাদাত মার্কেটের বাদশা ডেকোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক।

শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু সেখর হালদার।

তিনি বলেন, ভোরে স্থানীয় ইউপি সদস্য খবরে ঘটনাস্থল থেকে ব্যবসায়ী বাদশার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মধ্যরাতের যে কোন এক সময় এই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাদশার পরিবারের সবাইকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় তার ছোট ছেলে ইয়াকুব তার বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

'সে জানায়, তার বাবা তাকে প্রায় সময় বকাঝকা করতো, তার সঙ্গে রাগারাগি করতো। তাই বাবার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে প্রথমে বাদশার মাথায় একটি কুপ দেয়, পরে পেছনে ঘাড়ে আরেকটি কুপ দেয়, সর্বশেষ কানে তৃতীয় কুপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

তিনি আরও বলেন, ইয়াকুব ব্যবসায়ী বাদশার চার ছেলের মধ্যে ছোট। সে তার বাবার সঙ্গে ডেকোরেশন ব্যবসায় সহযোগিতা করত। তার আরও দুটি ছেলে ঘরে রয়েছে, আরেকজন বিদেশ থাকে।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই পরিদর্শক।

   

রাজশাহীর যুবলীগের দ্বন্দ্ব মিডিয়ার সৃষ্টি!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবলীগের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। যার কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি মিডিয়ার সৃষ্টি বলে দাবি করেছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।

নেতারা বলেন, যুবলীগের দ্বন্দ্ব নিয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে তা মিডিয়ার সৃষ্টি হতে পারে বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের কারণেও হতে পারে। এর কোনো ভিত্তি নেই। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে একটি সুন্দর নেতৃত্ব গঠন করা হবে। ক্লিন ইমেজ, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, ত্যাগী, পরীক্ষিতরা মূল নেতৃত্বে আসবে বলে জানান তারা।

দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নগরীর পাঠানপাড়া শিমুলতলা মোড়ে সকাল ১০টায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। ইতোমধ্যে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে।

এর আগে, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ মার্চ রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সভাপতি পদে রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোশাররফ হোসেনকে মনোনীত করা হয়।

;

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যা আতঙ্কে মানুষ



আমিনুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিরাম ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তাসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সে.মি, বদরগঞ্জের যমুনেশ্বরীর বদরগঞ্জে ১৪ সে.মি ও পুনর্ভবার দিনাজপুর পয়েন্টে ১ সে.মি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিকাল তিনটার দিকে পানি কিছুটা কমেছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।

পাউবো জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, কুলিখ, টাঙ্গন, যমুনেশ্বরী এবং পুনর্ভবা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করায় ইতিমধ্যে তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির স্রোতের কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিস্তা ব্যারেজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। নদীর অববাহিকা, চর, দ্বীপচরের মানুষদের সতর্ক থাকাসহ প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, উত্তর চিলাখাল, সাউথপাড়া, মটুকপুর, গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, মহিষাসুর, রমাকান্ত, আলালচর, জয়দেব এলাকা এবং নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়ন, নীলফামারীর ডিমলার কালিগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, ডাউয়াবাড়ী, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারীর মহিষখোচা, পলাশী ও সদরের ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর এবং গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের কেল্লাপাড় এলাকার এনাম ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উজানের ঢল। এতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইতিমধ্যে আঙিনায় হাঁটুপানি হয়েছে। বড় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মিটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী বলেন, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ জন্য চরাঞ্চলের মানুষকে সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়ায় সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

;

বগুড়ায় রাতারগুলের সৌন্দর্য



মাহবুবা পারভীন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর বাজারে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে ছোট্ট একটি কালভার্ট। কালভার্টে দাঁড়িয়ে দেখা মেলে স্বচ্ছ মিষ্টি নদীর পানি। চারদিকের পরিবেশ দেখে মনে হয় এ যেনো এক টুকরো রাতারগুল।

কালভার্ট থেকে নেমে কিছুটা এগিয়ে দেখা মিলল স্বচ্ছ জলে নৌকা বাইতে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের একটি দল। তারা মুরাদপুর ভদ্রাবতী নদী  ও বগুড়ার বুকে এক টুকরো রাতারগুলের নাম শুনেছেন ইউটিউবে। সেখান থেকেই তাদের ইচ্ছে হয় এই ভদ্রাবতী নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তাই শহর থেকে ছুটে আসেন মুরাদপুর গ্রামে। আরও খানিকটা এগোতেই চোখে পড়ল এই গ্রামের বাসিন্দারা কেউ মাছ ধরছেন, কেউ আবার স্বচ্ছ পানিতে ঝুপ করে নাইতে নেমেছেন।

দুই ধারে গাছপালা তার মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে ভদ্রাবতী নদী। নদীর দুই ধারের গাছগুলো বেশ ডালপালা ছড়িয়ে আছে। গাছগাছালির ভেতর দিয়ে নদীতে ঘুরতে মনে হচ্ছে এ যেনো রাতারগুল। আহ! রাতারগুল বগুড়ায়! সুন্দর সবুজ মনোরম পরিবেশে ভদ্রাবতী নদী যেনো সেজেছে তার অলৌকিক রূপে। নৌকার তলায় ঢেউয়ের শব্দে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হলো। নীরব প্রকৃতি আর মৃদুমন্দ বাতাসে এরই মধ্যে নিস্তব্ধতা ভাঙে গাছে বসে থাকা পাখির ডাকে, হঠাৎ ফুড়ুৎ করে উড়াল দেয় একঝাঁক পাখি।


কোলাহলহীন শান্ত-স্নিগ্ধ ভদ্রাবতী ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদল করে চলে। এই ভদ্রাবতী নদীর উৎপত্তি নিয়ে কল্প কাহীনিও শোনা যায় এলাকাবাসীর মুখে। নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের শেষপ্রান্তে রয়েছে ভদ্রাবতী নদী। বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার শাবরুল বিল থেকে উৎপত্তি ভদ্রাবতী নদীর।

এই নদীর সঙ্গে সিংড়ার চলনবিল ও যমুনা নদীর সংযোগ রয়েছে। বুড়ইল ইউনিয়নের চকরামপুর গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুর কুদ্দুসের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি বলেন, দাদার মুখে শুনেছি রাজার শাসন আমলে শাবরুল দিঘীর বুক চিরে ভদ্রানদীর আবির্ভাব ঘটে। সেন বংশের অচিন্ত কুমার নামের শেষ রাজার আমলে তার কন্যা ভদ্রাবতীর নাম অনুসারে নদীর নামকরণ। আগে বর্ষা মৌসুমে ভরা পানিতে নদী থৈ থৈ করতো। এখন নদীতে পানি থাকেনা। এলাকার মানুষ হিসেবে কুদ্দুসের দাবি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ভদ্রাবতী খননের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও একটি সুইচ গেট।

ভদ্রাবতীর সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন শেরপুর উপজেলা থেকে শামিম নামের এক ছাত্র। শামিম বলেন,  ইউটিউবে দেখলাম বগুড়ায় রাতারগুল, রাতারগুল সিলেটে অবস্থিত হওয়ার কারণে এবং অনেক খরচের জন্য আমি যেতে পারিনি তাই এলাকার পাশে হওয়ায় দেখতে চলে এলাম। আমার খুব ভালো লেগেছে। ইউটিউবে দেখেছি সিলেটের রাতারগুল, আর এখানে এসে দেখলাম অনেকটাই মিল আছে। এটা আমার কাছে গরিবের রাতারগুল বললে ভুল হবে না।


শামিম হোসেন নামের এক মাঝি বলেন, আমাদের এলাকায় এই ভদ্রাবতী নদী একটি দর্শনীয় স্থানের মত হয়ে গেছে।

বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জবায়ের আহমেদ বলেন জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ এই তিন মাস পানি থাকে তারপরে আর পানি থাকে না নদীতে। পানি কম হওয়ার কারণে বাকি সময় নৌকাও চলে না। ১৩ কিলেমিটার জুড়ে নদীটির দুই পাশে সবুজ গাছ পালা দিয়ে যে সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেটি দেখতে ছুটে আসছে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনাথীরা।

;

খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী একথা জানান।

বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয় উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, পরিবর্তন করতে হলে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থান আনতে হবে। এরপর অন্য বিবেচনা করা যাবে। তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।

এর আগে, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন গত ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে এখন তার পরিবারকে আদালতে যাওয়ার কথা বলা সরকার সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয়।

তার আগে, গত শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন করলে খালেদা জিয়ার বিষয়টি দেখা যাবে।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

;