বাজারে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পাটের দাম, দিশেহারা কৃষক



মো. আব্দুল হাকিম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে পাটের চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। গত দুই মৌসুমে পাটের ভালো দাম পেলেও, এবার কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা। পাট বিক্রি করে খরচের টাকায় উঠছে না। চাষিদের দাবি- গত বছরের তুলনায় এবছর একই সময়ে প্রতিমণে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা কম দামে পাট কেনাবেচা হচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। চাষিদের উৎপাদন খরচ বিবেচনায় পাট বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাটের দাম কমিয়ে রেখেছেন এমনটা দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন- পাট চাষে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে। মজুরির ব্যয়, সার, কীটনাশক ও বীজসহ চাষাবাদের খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি বিঘা পাটের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হচ্ছে ৫ থেকে ৬ মণ। এক মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা পাট চাষে লোকসান হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। বাজারে পাটের দাম পড়তির দিকে। গত বছর এ সময় পাট ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ ছিল। এক বছরের ব্যবধানে পাটের দাম প্রতি মণে প্রায় এক হাজার টাকা কমেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। গতকাল রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুরহাটে পাট বিক্রি হয়েছে প্রতিমণ ১৯শ থেকে ২২৫০ টাকা দরে। একই মানের পাট গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩২শ টাকা দরে। সেই হিসাবে পাট চাষিরা এবছর পাট বিক্রি করে প্রতি মণ ১ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন।

উপজেলার দুর্গাপুরহাটে পাট বিক্রি করতে আসেন আশরাফুল হক। তিনি জানান, আমার এক বিঘা জমিতে পাটের বীজ, সার, কীটনাশক, মজুরির ব্যয়, লিজ খরচ ও পুকুর ভাড়া দিয়ে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। পাট উৎপাদন হয়েছে ৬ মণ। ১৮০০ টাকা দরে ৬ মণ পাট বিক্রি করে ১২ হাজার টাকা হয়েছে। আমার ৪ হাজার টাকা লোকসান। গত বছরের তুলনায় পাটের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমার মতো সকল পাট চাষির লোকসান হচ্ছে। পাটের দাম বৃদ্ধি না করলে যে ফসলে লোকসান হচ্ছে, সেই ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দিবে কৃষক। পাট চাষ করে আমাদের পোষাচ্ছে না। এবার পাটের চাহিদাও কম। ব্যবসায়ীরা পাটের প্রতি তেমন আগ্রহী না। পাট চাষিদের প্রতি সরকার নজর দিক, দাম বৃদ্ধি করে দিক। তাছাড়া লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে আগামীতে অনেকেই পাট চাষ করা বন্ধ করে দিবে।

পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন ১ বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, পাট চাষে যে পরিশ্রম করি সেই টাকা পাই না। গত বছরের চেয়ে এবছর পাটের দাম মণে ১ হাজার টাকা কম। পানির সংকটের কারণে এবছর পাট জাগ ক্ষেত সংকুচিত হওয়ায় কৃষকের অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ভেদে এক বিঘা জমির পাট কেটে পানিতে জাগ দিতে একেক কৃষকের খরচ হয়েছে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, পাট শুকানো, পাট বাধাই করা, গাড়িতে করে হাটে নিয়ে আসা পর্যন্ত কৃষকের খরচ হয়। অনেক ব্যবসায়ী গত বছরের পাট বিক্রি করতে পারেনি। এজন্য এ বছর ঝুঁকি নিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। পাট চাষি ও ব্যবসায়ীরা উভয়েই বিপাকে পড়েছে।

কৃষকদের লোকসান হচ্ছে, খরচের টাকাও তুলতে পারছে না তারা। এই দামে পাট বিক্রি করে কৃষকের লোকসান হচ্ছে। এবছর পাটচাষে কৃষকের বেশি খরচ হয়েছে। কীটনাশকের দাম বেশি। বৃষ্টিপাত হয়নি। এসব কারণে পাটের ফলন কম হয়েছে। তারপরে পাটের দাম কম। কৃষক পাট জাগ দেওয়ার জন্য পানি পাচ্ছে না। ফলে খাদ-গর্তে সেচ দিয়ে পানি জমিয়ে পাট জাগ দিচ্ছে। এর আগে পাটকাটা, পরিবহন খরচ, পানিতে জাগ দেওয়া, শ্রমিক দিয়ে সেই পাট তুলে পারিষ্কার করা- পরে রোদে শুকিয়ে হাট-বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ভালো, তবে দাম কম। ২ হাজার থেকে ২১শ টাকা মণ দরে পাট কেনা বেচা হচ্ছে। খাটনি হিসেবে টাকা নাই কৃষকের। এই দামে পাট বিক্রি করে টাকা উঠবে না। এই পাটের বাজার ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা মণে বিক্রি করতে পারলে কৃষকের কিছু টাকা হতো।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে পাট কাটা শুরু হয়েছে। এ বছর রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৪৪২ হেক্টর বেশি জমিতে এই পাটের চাষ হয়েছে। চাষিদের মধ্যে অনেকের জমিতে এখনও পাট রয়েছে। অনেকেই পাট কেটে জাগ দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার বিক্রিও করছেন হাট-বাজারে। তবে বেশির ভাগ উপজেলায় বর্তমানে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছড়ানো এবং শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রতিদিনই রাজশাহী জেলার কোনো না কোনো উপজেলায় পাটের হাট বসে। কৃষকরা তাদের পাট নিয়ে বিক্রি করতে আসেন হাটে। জেলার পুঠিয়া তাহেরপুরে পাটের হাট বসে সপ্তাহের শুক্রবারে। সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার পুঠিয়ার বানেশ্বরহাটে পাট কেনাবেচা হয়। আর রোববার ও বুধবার দুর্গাপুর উপজেলায় পাটের হাট বসে। বৃহস্পতিবার পবা উপজেলার নওহাটা ও পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় হাট বসে। যদিও এই দিনগুলো সাপ্তাহিক হাট বার।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় প্রতিমণে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা পাটের দাম কম। তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, যে সকল দেশ বাংলাদেশের কাঁচা পাট কেনে, তারা বিশ্বমন্দার কারণে পাট কিনছে না। ফলে আমাদের দেশের পাট রফতানি করতে পারছি না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যাচাই বাচাই করে পাট কিনছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এবছর পাটচাষিরা বিপাকে পড়েছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে পাটের ফলন ভালো হয়নি। তার উপরে পাট উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এখন আবার কৃষক পাটের দাম পাচ্ছে না। লক্ষ্য করা যায়, যে কোন ফসল উঠার সময় সিন্ডিকেটের দখলে পড়ে যায়। সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি সরকারকে দেখা দরকার। কোনোভাবেই কৃষকদের হতাশ করা যাবে না। সরকারকে প্রতিবছর পাটের একটা ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে।

   

খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী একথা জানান।

বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয় উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, পরিবর্তন করতে হলে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থান আনতে হবে। এরপর অন্য বিবেচনা করা যাবে। তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।

এর আগে, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন গত ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে এখন তার পরিবারকে আদালতে যাওয়ার কথা বলা সরকার সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয়।

তার আগে, গত শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন করলে খালেদা জিয়ার বিষয়টি দেখা যাবে।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

;

মাছ কাটায় ফিরছে পরিবারের সচ্ছলতা, ঘুচছে বেকারত্ব 



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মাছ কাটায় ফিরছে পরিবারের সচ্ছলতা, ঘুচছে বেকারত্ব 

মাছ কাটায় ফিরছে পরিবারের সচ্ছলতা, ঘুচছে বেকারত্ব 

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকবছর আগেও রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন লোকমান হোসেন। তবে তা দিয়ে কোনোভাবে সংসার চললেও সঞ্চয় ছিল না কিছুই।

তবে এখন লোকমানের দিন ভালোই যাচ্ছে। কাওরান বাজার এলাকায় মাছ কেটে প্রতিদিন তার আয় হচ্ছে ৫’শ থেকে ১ হাজার টাকা। এতে সংসার খরচের পাশাপাশি মাসে মোটা অংকের টাকা সঞ্চয় হচ্ছে তার।

শুধু লোকমান হোসেনই নন। কাওরান বাজারে মাছ কেটে এমন জীবন বদলেছে এখানকার ১ হাজারের বেশি পরিবারের৷ দারিদ্রতা কাটিয়ে মাছ কেটেই স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে তাদের জীবন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এই মানুষগুলো ছিল দারিদ্র্য সীমার নিচে। শুধু মাছ কেটেই এখন তাদের পরিবারে ফিরেছে সচ্ছলতা। বেকারত্ব ঘুচেছে অনেকের।

এছাড়া নারীরাও আগ্রহী হচ্ছেন এ পেশায়। মাছ কেটেই সংসারের খরচ চালাতে বড় ভূমিকা রাখছেন। বাসা-বাড়ির কাজ কিংবা গার্মেন্টস পেশার থেকে কম কষ্টেই  বেশি আয় হচ্ছে বলছেন তারা। 

লোকমান হোসেন বলেন, ‘আগে রিকশা চালাতাম। কষ্টে দিন যাইত। এখানে ৫ বছর থেকে মাছ কাটি। ভালোই দিন যায়। মাসে ভালো টাকাও জমে।’

সুরাইয়া বেগম নামের একজন বলেন, ‘এই পেশায় ঝামেলা নাই। গার্মেন্টস বা বাসা বাড়ির কাজের থেকে অনেক ভালো। খরচ বাদ দিয়েও ৪-৫'শ টাকা জমে।

মাছ কাটায় ফিরছে পরিবারের সচ্ছলতা, ঘুচছে বেকারত্ব

এদিকে মাছ কাটার এই যোগ্যে উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষও। অল্প টাকায় মাছ কাটার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ব্যস্ত শহরের বাসিন্দারা। সুবিধা ভোগীরা বলছেন, মাছ কিনে সাথে সাথে কাটার সুযোগ থাকায় বেঁচে যাচ্ছে সময়।

প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন ইমরান হোসেন। দুই হাজার টাকার মাছ কিনে কাওরান বাজারেই কেটে নিচ্ছিলেন তিনি। এসময় বার্তা২৪.কমের কথা হয় ইমরানের সাথে।

তিনি বলেন, ‘আসলে এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো। মাছ কেটে নিচ্ছি কেনার সাথে সাথে। এতে সময় বেঁচে যাচ্ছে। বলতে পারেন পরিবারের বড় একটা ঝামেলার সমাধান হচ্ছে।’ 

আরমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অল্প টাকাতে এখানে মাছ কেটে নিতে পারছি। এতে যেমন আমাদের কাজ সহজ হচ্ছে, তেমনি এখানে যারা মাছ কাটছেন তাদেরও কর্মসংস্থান হচ্ছে। তারা সকালে মাছ কাটলে বিকেলে অন্য কাজ করতে পারেন। এতে তাদের একাধিক পেশায় আয় করে অর্থনৈতিক মুক্তি মিলছে।’

;

লালবাগে মিষ্টির দোকানে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লালবাগে মিষ্টির দোকানে ভয়াবহ আগুন

লালবাগে মিষ্টির দোকানে ভয়াবহ আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর লালবাগে মদিনা মিষ্টান্নভাণ্ডার নামের একটি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ।

তবে আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

;

শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিলে ব্যবস্থা: র‍্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যেকোনো শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাটিকাটা ইসিবি চত্ত্বর মেইন রোডে র‍্যাব-৪ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় র‍্যাব-৪ এর রোবাস্ট পেট্রোল টিমের একটি বিশেষ মহড়াও প্রদর্শন করা হয়।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে র‍্যাব বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট মোতায়েন করছে।

র‍্যাব জানায়, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে না পারে সেলক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে র‍্যাব কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক অপরাধ, হত্যা, চুরি, ছিনতাই রোধে নিয়মিত র‌্যাব-৪ এর বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট মোতায়েন থাকবে।

জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের সময় বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের মাধ্যমে দেশের আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতার আশঙ্কা দেখা দিলে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তায় র‌্যাব-৪ এর বিশেষ ফোর্স কাজ করবে বলে জানান তিনি।

রোবাস্ট পেট্রোল ছাড়াও যেকোনো ধরনের উদ্ভুত পরিস্থিতি, সহিংসতা বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় র‌্যাব স্পেশাল ফোর্স টিম, র‌্যাবের হেলিকপ্টার, ডগ স্কোয়াড, ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও যেকোনো গুজব অপপ্রচার রোধে র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে।

;