'গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র'
গত ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধা হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদেরও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হতে পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রত্যাশা করে বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বা এর কার্যক্রম সংকীর্ণ করে দেয় এমন কোন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নেবে না।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ভিসা নীতি নিয়ে মানুষ যেন ভুল না বোঝে সেজন্য বিষয়টি আরও পরিষ্কার করার প্রয়োজন। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করলে সেটা মনে হয় না খুব একটা ভালো সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে নিশ্চয়ই আপনাদেরও (গণমাধ্যমকর্মীদের) একটা বক্তব্য রয়েছে। সে দেশের (যুক্তরাষ্ট্র) রাষ্ট্রদূত কেন এটা বললেন, এটা নিশ্চয়ই সেই দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) খতিয়ে দেখবে।
ভিসা নীতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিসা নীতি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা এটাকে গ্রহণ করেছি তবে এটা যেন আরবিটরিটেশন না হয়। যাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে তখন আমরা সেটা জানতে পারবো। সেখানে যদি ব্যতিক্রম কোনো কিছু দেখি তখন আমরা মার্কিন দূতাবাস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে জানাব।
তবে ভিসা নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতি যারা করেন তাদের জন্য এটা কোনো বিষয় নয়। যারা বিদেশে গিয়ে আবাস খোঁজেন এবং সুর্নিষ্টভাবে ওই দেশে যদি কারও কোনো পরিকল্পনা থাকে তারা এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত।
করোনার সময় বাংলাদেশের মানুষের যুক্তরাষ্ট্রে সফর কমে গেলেও চলতি বছরের আগস্টের শেষ দিন পর্যন্ত যেকোন বছরের তুলনায় সবচেয়ে সংখ্যক বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, তার দেশ ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা এর আওতায় রয়েছে।