দেশ পুনর্গঠনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে প্রেস ইনস্টিটিউটে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ৩৫০ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা নাহিদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষে যে সমঝোতার মাধ্যমে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, সেই সমঝোতা এখন বিঘ্নিত হচ্ছে। দেশ পুনর্গঠনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এখনও সংস্কার কাজ চলছে। কিছু মৌলিক সংস্কার করার আগে যদি নির্বাচন দেওয়া হয়, তা কেবল ক্ষমতার হাতবদলই হবে। তাই সেই সংস্কারের কাজ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি ইস্যুতে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে ছাত্ররা নিজেদের অধিকার ফিরে পাবে।
শ্রমিক বিরোধের জেরে বন্ধ থাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রাজশাহী নগর পুলিশ কমিশনারের মধ্যস্থতায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়।
শ্রমিকদের মারধরকে কেন্দ্র করে দুই জেলার শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল। যার ফলে গত রোববার সকাল থেকে দুই জেলার মধ্যে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরত্বের দুই জেলায় যাতায়াতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে রাজশাহীর একটি বাসে যাচ্ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বাস শ্রমিক। তার কাছে ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওই বাসের শ্রমিককে মারধর করা হয়। এনিয়ে গত রোববার দুই জেলার শ্রমিক নেতারা বসেছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আশ্বাস দিয়েছিল, আর কাউকে মারধর করা হবে না। কিন্তু সোমবার সকালে রাজশাহীর দুটি বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জে গেলে আবারও ছয়জন শ্রমিককে মারধর করা হয়।
এরপর থেকে রাজশাহী থেকে কোন বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে দিচ্ছিলেন না শ্রমিকরা। চাঁপাইনাবগঞ্জ থেকেও কোন বাস রাজশাহী আসছিল না। যাত্রীদের যাতায়াত করতে হচ্ছিল অটোরিকশায়।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি জানান, আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান দুপুরে দুই জেলার শ্রমিক নেতাদের নিয়ে তার কার্যালয়ে বসেছিলেন। তিনি সবাইকে কোলাকুলি করিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর বিকেল ৪টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে নব নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস সবুজ রূপান্তর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সুইডেনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশে সুইডিশ ব্যবসা বাড়াতে সুইডেনের আগ্রহের পুনরাবৃত্তিও করেন তিনি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে দেশটির রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতকে তার নিয়োগের জন্য অভিনন্দন এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের জন্য সুইডিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বর্তমান বিশ্বের জটিল রাজনৈতিক আবর্তে শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে গভীর ও মূল্যবান সম্পর্কের ওপর জোর দেন এবং বছরের পর বছর ধরে ব্যাপক সহযোগিতা বৃদ্ধিকে স্বীকৃতি দেন।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য সুইডিশ মানবিক সহায়তার কথা স্বীকার করেন এবং তাদের স্বদেশে আশু, স্বেচ্ছা ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এবং আগামী বছরগুলোতে রাজনৈতিক পরামর্শের মাধ্যমে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে।
পররাষ্ট্র সচিব সুইডিশ সরকারের সমর্থনকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে দায়িত্বকালে রাষ্ট্রদূতকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
লাউ চাষে সফলতার মুখ দেখছেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পারাগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল সামাদ। তার এই সফলতার মূলে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় লাউ চাষ।
লাউ চাষি সামাদ কঠোর পরিশ্রমী। তার শ্রমের সঙ্গে কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ ও লাউ চাষে রোগ বালাই কম ও ঝুঁকি না থাকায় সফল হয়েছেন তিনি ।
লাউ চাষে ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। তার সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। বীজ রোপণের দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। এর কিছুদিন পর গাছে লাউ শোভা পায়। ক্ষেত থেকে সেই লাউ সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য এগুলো নিয়ে যান বাজারে। আবার বাড়ি থেকেও পাইকাররা নিয়ে যান।রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয়নি বলে এ লাউ খেতেও খুব সুস্বাদু। তার সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
লাউ ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, আমরা প্রতিদিন সামাদের সবজি বাগান থেকে লাউ সহ অন্য জাতের সবজি ক্রয় করি। সে একজন সফল চাষি।
কৃষক সামাদ জানান, লাউ চাষাবাদে সঠিক পরিচর্যা করায় চারা রোপণের প্রায় ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর প্রায় ১০-১২ দিনের মধ্যে ওইসব লাউ পরিপক্ব বা খাওয়ার উপযুক্ত হয়। প্রতিদিন ৬০/৭০টি লাউ বিক্রি করা যায় । লাউ চাষ করেই আমার সংসার চলছে।
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান বলেন, এই উপজেলায় প্রায় ২১ হেক্টর জমিতে লাউ উৎপাদন হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন লাউ উৎপাদন হবে। আমরা কৃষি অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত নিরাপদ লাউ উৎপাদনের ট্রেনিং দিয়ে থাকি। এছাড়াও মাঠপর্যায়ের যারা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন তারাও কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন।