হাসপাতালে স্ত্রী রেখে স্বামী নিখোঁজ, মরদেহ মিলল চা-বাগানে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

হাসপাতালে গর্ভবর্তী স্ত্রী রেখে দুইদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন স্বামী। নিখোঁজের দুই দিন পর স্বামীর মরদেহ মিললো চা-বাগানে। ততক্ষণে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু সেই আনন্দের খবরটা আর জানা হলো না নিখোঁজ সিতেশ চন্দ্র গোপ (৪০) এর। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা গুয়াবাড়ি এলাকায়।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাঠানটুলা গুয়াবাড়ি এলাকার আলী বাহার চা বাগানের কাটা টিলা থেকে সিতেশ চন্দ গোপ (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, কয়েকদিন আগে সিতেশ চন্দ তার স্ত্রীকে নিয়ে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। সেখানে তিনি তার স্ত্রীকে ভর্তি করান। সোমবার রাতে তার একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে সিতেশ নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে জালালবাদ থানায় একটি জিডি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।

নিহত সিতেশ হবিগঞ্জ সদরের ৮ নং ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া গ্রামের রাখাল চন্দ গোপের ছেলে।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারের সময় সিতেশের একটি হাত পাওয়া যায়নি। সেটি শিয়াল খেয়ে ফেলতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। মরদেহের পাশ থেকে একটি ছুরি ও রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহতের বড় ভাই গোপেশ চন্দ গোপ লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে স্থানীয়রা পাঠানটুলা গুয়াবাড়ি এলাকার আলী বাহার চা বাগানের কাটাটিলায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

এব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।