২২ মাস পূর্বে দায়িত্ব নিয়েছি, কালই সেই নির্বাচন: সিইসি

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

‘২২ মাস পূর্বে দায়িত্ব নিয়েছি, কালই সেই নির্বাচন’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এ কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

ভাষণে তিনি বলেন, রাত পোহালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২২ মাস পূর্বে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। আগ্রহী সকল রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশিজনের সাথে একাধিকবার সংলাপ ও মতবিনিময় করেছি। তাঁদের মতামত শুনেছি। সুপারিশ জেনেছি। আমাদের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছি। নির্বাচনে অনাগ্রহী নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলকেও সংলাপে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমন্ত্রণে তাঁরা সাড়া দেননি। নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছি।

 

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: নির্ভয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান সিইসি'র

 

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকে। সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠুু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। কমিশনও তার আয়ত্বে থাকা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সকল সহায়তা গ্রহণ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি বারংবার ব্যক্ত করেছে।

 

আরও পড়ুন: ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন আখ্যায়িত করা যাবে না’

 

তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাক্সিক্ষত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু অনস্বীকার্য যে, নির্বাচন প্রশ্নে, রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ রয়েছে। মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা কাম্য নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় নাশকতা ও সহিংসতা একেবারেই হচ্ছে না তা বলা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় ধন-সম্পদের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে। নির্দোষ, নিরীহ, নিষ্পাপ শিশু, নারী, পুরুষের মর্মান্তিক ও মর্মন্তুদ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। চলমান এহেন পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও অবসান প্রয়োজন। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে। আজকে না হলেও ভবিষ্যতের জন্য। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি আলাপ-আলোচনা ও গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হয়ে যে কোনো রাজনৈতিক সংকটের নিরসন সম্ভব।