গাইবান্ধায় ভোট কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ, ব্যালট বাক্স ও গাড়ি ভাঙচুর

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

গাইবান্ধা-৩ আসনের পলাশবাড়ি উপজেলার রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কেন্দ্রে হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করে। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। ঘটনার পর কেন্দ্রটিতে আধাঘণ্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বিশ্রামগাছী এলাকার রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইটিং কর্মকর্তা মো. মোদাচ্ছের হোসেন তালুকদার জানান, হঠাৎ করে কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এসময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে আহত হন কয়েকজন। ঘটনার পর কেন্দ্রটিতে ৩০ মিনিট ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। বর্তমানে ভোট গ্রহণ চলছে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডলের বাড়িতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুরসহ নৌকার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়।

বিজ্ঞাপন

একইদিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বিশ্রামগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তৌহিদুল মন্ডলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এবিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, হঠাৎ করেই ২০ থেকে ২৫ জন মাস্ক ও হিলমেট পরে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। শুধু তাই নয়, হামলাকারীরা বাড়ির উঠানে থাকা তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারসহ বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করে।

হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত দাবি করে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা সকলেই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরজু মো. সাজ্জাত জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।