'সাংবাদিকদের নিজেদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে'
সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এভাবে চলতে থাকলে কোনো মেধাবী এই পেশায় আর আসবে না। এজন্য সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রয়াত সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান এবং আবুল বাশার নুরু’র স্মরণে আয়োজিত প্রাক্তন ছাত্রলীগ সাংবাদিক কোরাম-এর দোয়া ও স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের বড় শত্রু সাংবাদিকেরা জানিয়ে সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের সাংবাদিকেরা যখন মালিক হওয়া শুরু করেছে, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে চলে গিয়েছে, তখন থেকেই সমস্যাটা বাড়তে শুরু করেছে। তারা মালিকপক্ষকে বুঝিয়ে নিজে সুবিধা নিয়ে সাংবাদিকদের তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। দিন শেষে মানবেতর জীবনযাপন করে রোগে-শোকে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন সাংবাদিকেরা। একজন সাংবাদিকের মৃত্যুতে তার পরিবার পড়ছে চরম অনিশ্চয়তায়। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আর কোনো মেধাবী সাংবাদিকতার পেশায় আসতে চাইবেন না।
প্রয়াত সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান এবং আবুল বাশার নুরু বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, তাঁরা দু’জন সারাজীবন পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে শুধুমাত্র সাংবাদিকতাই করেননি, প্রগতিশীল আন্দোলন, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনাকে ধারণ করে সামনের দিকে যেমন এগিয়ে গেছেন, তেমনি উত্তরসূরীদের মধ্যেও সেই আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে কোনো দ্বৈতনীতি ছিল না। মনে যেটা লালন করতেন, সেটিই তিনি প্রকাশ করতেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাংবাদিক কাজী মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় স্মরণসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক 'দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ'-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামীম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি শুকুর আলী শুভ, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির (ক্র্যাব) সভাপতি কামরুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান খোকন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ, সাংবাদিক অমরেশ রায়, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক হালিমা আক্তার লাবণ্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ জামান সজিব, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক রুহুল আমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাংবাদিক রাহাত হোসাইন প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সিনিয়র সাংবাদিক শাহনেয়াজ দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসকে রেজা পারভেজ।